Posts

Showing posts from July, 2019

ভারতরত্নোত্তর শ্যামাপ্রসাদ

SPM কে 'ভারতরত্ন' দিয়ে ছোট করা হোক কোনোদিন চাই নি। অনেক eminent ব্যক্তিরাও তা চেয়েছেন বটে কিন্তু তাঁদের সাথে একমত হতে পারি নি। স্বাধীনতার ৭২ বছর পর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে 'ভারতরত্ন' দেওয়া হলে তা হত SPMকে অপমান করা। ঠিক একইভাবে, একই কারণে চাইনি সুভাষ বোসকে 'ভারতরত্ন' দেওয়া হোক। কিন্তু সুভাষ বোসকে 'ভারতরত্ন' দিতে চেয়ে তাঁকে অপমান করার কাজটি কংগ্রেস সেরে রেখেছিল। কিন্তু NDA সেই একই অপমান SPM কে করে নি। NDA কে ধন্যবাদ। বাস্তব হল, সুভাষ বা শ্যামাপ্রসাদকে 'ভারতরত্ন' দিয়ে মাপা যায় না। এঁদের 'ভারতরত্ন' দিলে দিতে হত পুরষ্কারটির প্রথম ঘোষণাতেই। এতদিন বাদে নয়। 'ভারতরত্ন' পুরষ্কারটির তো রেট্রস্পেক্টিভ এফেক্ট দেওয়া সম্ভব নয়! সম্ভব হলে আলাদা বিষয় ছিল। এতদিন বাদে ওঁদেরকে 'ভারতরত্ন' দিলে ওঁদের অবদানকে ছোট করা হয়। বাস্তবে যেখানে ভারতের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা-উত্তরকালের ভারতীয় রাজনীতিতে সুভাষ ও শ্যামাপ্রসাদের ভূমিকা অনেক বেশি নিঃস্বার্থ, দেশকেন্দ্রিক, জনদরদী ও সংস্কারমুখী এবং জওহরলালের ভূমিকা আত্মকেন্দ্রিক, ব্যক্তিস্বা

চেতনাচ্ছন্ন বাঙালী: চিরান্ধকার নাকি পুনর্জাগরণের পথে?

দেখছিলাম অক্ষয়কুমার অভিনীত 'কেশরি' মুভিটি। আগেও একবার দেখেছি যদিও। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি একটা আগাগোড়া কমার্শিয়াল ফিল্ম। সারাগড়ির দূর্গ রক্ষার্থে ১০,০০০ পাঠানের বিরুদ্ধে ২১ শিখের প্রাণান্তক যুদ্ধ যাতে পাঠানদের মিশনকে ব্যর্থ করেছিল ঐ ২১ জন। ঐতিহাসিক সত্য। যাই হোক্, এই সামান্য মুভিটি থেকে একটা উপলব্ধি হঠাৎই এল যেটা বর্ণনা করতে চাই। সামান্যই সে উপলব্ধি, কিন্তু নিতান্ত অগভীর নয়। সিনেমাটিতে একটি ডায়লগ আছে—'মেরে শর কাট লে, লেকিন পাগ কো হাথ মত লগানা'—নিতান্তই sentiment-filled একটা স্টেটমেন্ট যা দর্শকের আবেগকে স্পর্শ করে যায়। সেই একই আবেগ যা রবীন্দ্রনাথ portray করেছিলেন তাঁর 'প্রার্থনাতীত দান' কবিতায়। বন্দী শিখ তরুসিংকে অপমান করার জন্য নবাব তাকে বলেছিলেন যে তরুসিং যদি তার বেণীটি কেটে দিয়ে যেতে রাজী হয়, তবে নবাব তাকে প্রাণ ভিক্ষা দেবেন। জবাবে— তরুসিং কহে, "করুণা তোমার হৃদয়ে রহিল গাঁথা— যা চেয়েছ তার কিছু বেশি দিব, বেণীর সঙ্গে মাথা।" অর্থাৎ 'বেণীটি আমার দেব না। প্রাণ দিতে রাজি'। শিখের বেণী বা কেশ, তার পাগড়ি, তার ধর্মের প্রতীক, তার সম

রথযাত্রা: কুমুদরঞ্জন মল্লিক

আজকের দিনে কুমুদরঞ্জন মল্লিকের "রথযাত্রা" কবিতাটি সকলের পাঠ্য। এ-ই প্রকৃত জগন্নাথ-বন্দনা এবং এ-ই জগন্নাথের প্রকৃত রূপ, যিনি জাতপাতের ঊর্ধ্বে। আজকের দিনে ভগবান নিজে আসেন ভক্ত-দর্শনে। যাঁরা জাতপাতের দোষ ধরে হিন্দুত্বকে গালাগালি দিয়ে থাকেন, তাঁরা হয় জানেন না, নয়ত জেনেও স্বীকার করতে চান না যে হিন্দুত্বের প্রকৃত স্বরূপ আদতে এ-ই। প্রকৃত হিন্দুত্ব এই কবিতায় বর্ণিত হয়েছে। একদা কবিতাটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের 'কবিতা সংকলন' গ্রন্থে সংকলিত ছিল এবং ক্লাস নাইনের পাঠ্য ছিল। আজকাল এসব কবিতা আর পড়ানো হয় না এবং ইন্টারনেটেও সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলা ভাষার স্বত্ব চলে গিয়েছে ইসলামিক বাংলাদেশের হাতে অথচ বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী আদতে হিন্দু বাঙালী। এই কবিতাটি কবির 'উজানি' কাব্যগ্রন্থে 'চণ্ডালী' নামে প্রকাশিত। রথযাত্রা কুমুদরঞ্জন মল্লিক বৃদ্ধ খঞ্জ চণ্ডালী এক শ্রীমুখ দেখিতে রথে একাকিনী যায়, চলে ধীরি ধীরি মেদিনীপুরের পথে। দিবসে যে শুধু হাঁটে এক ক্রোশ, তাহার একি গো দায়, গৃহ হতে দূরে একশত ক্রোশ পুরীধাম যেতে চায়। দলে দলে চলে পুরীর