Posts

Showing posts from October, 2018

শবরীমালা: বিতর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

মন্দিরে মানুষ যায় কেন? মন্দিরে অধিষ্ঠিত দেবতাকে ভালোবেসে, তাঁকে পূজা নিবেদন করতে! পূজা কাকে নিবেদন করে? যে দেবতার প্রতি বিশ্বাস আছে, যে দেবতার মূলভাবের প্রতি সমর্পণ আছে, তাঁকে। শবরীমালা আয়াপ্পার মূলভাবটি কি? ব্রহ্মচর্য, সংযম, কামিনী নারীর সংস্পর্শ পরিহার করে চলা। তাহলে reproductive age এর যে নারী লর্ড আয়াপ্পার এই ভাবটিকে সম্মান করেন, তিনি কি আয়াপ্পার প্রতি ভক্তি নিবেদন করতে তাঁর মন্দিরে ঢুকবেন? নাকি আয়াপ্পাকে ভালোবাসেন বলেই মন্দিরে ঢোকা থেকে বিরত থাকবেন? অবশ্যই দ্বিতীয়টা করবেন। কারণ যে নারী আয়াপ্পাকে ভক্তি করেন, তিনি তাঁর বিশ্বাসের জায়গা থেকেই শবরীমালা মন্দিরে হাজির হয়ে আয়াপ্পাকে বিরক্ত করতে চাইবেন না। শবরীমালায় তাঁর অনুপস্থিতিই তাঁর পূজা, আয়াপ্পার প্রতি তাঁর ভক্তির  প্রদর্শন।  তাহলে এ থেকে কি প্রমাণিত হয়? প্রমাণিত হয় যে শবরীমালায় ঢুকতে চাইবে সেই মেয়েরাই, মন্দিরের দেবতার উপর যাদের আদৌ কোনো বিশ্বাস, ভক্তি বা সমর্পণ নেই। অর্থাৎ যারা আদৌ আয়াপ্পার ভক্তই নয়, তারা। তাহলে অভক্ত নারীর শবরীমালায় ঢোকার জন্য দড়িছেঁড়া হয়ে ওঠার কি প্রয়োজন? প্রয়োজন সম্ভবতঃ নিশ্চিতভাবেই রা

দুর্গাপুজোয় 'সরকারি চাঁদা': আশীর্বাদ না অভিশাপ?

https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=332731913959896&id=100016692693608 বন্ধুদের কাছে অনুরোধ এই পোস্টটি নানা পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কাছে দয়া করে পৌঁছে দিন। ফেসবুকে এটি দিয়েছিলাম গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর। মমতাদেবী ঘোষণা করেছেন যে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এবছর তিনি ২৮ কোটি টাকার অনুদান দিতে চলেছেন। প্রশ্ন হল, একথা হঠাৎ আজ ঘোষণা করলেন কেন? এমন তো নয় যে অনুদান সংস্কৃতি তিনি আজই সবেমাত্র শুরু করলেন এ রাজ্যে। পুজোয় অনুদান, পুরষ্কার ইত্যাদি তিনি দিচ্ছেন সেই ২০১৩ সাল থেকেই। তাহলে আজ কি এমন হল যে ঘটা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হল ওঁকে? মমতাদেবীর এই ঘোষণার পিছনের কারণটা ধরতে গেলে এবং আজকের এই ঘোষণার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তাবড় হিন্দুদের অদূর ভবিষ্যতে ,  I mean নির্বাচনের আগে কি মূল্য দিতে হতে পারে, এর ভবিষ্যৎ implications কি হতে পারে, তা বুঝতে গেলে কয়েকবছর পিছিয়ে যেতে হবে। রাজ্যটা যেহেতু এখনও পশ্চিমবঙ্গ এবং তথাকথিত সেকুলার ভারতবর্ষের একটি অঙ্গরাজ্যমাত্র, তাই মুসলমানরা মক্কায় তীর্থ করতে যাবেন সেই উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে শতাধিক কোটি টাকা খরচ করে হজ্জ্ব হাউস বানালে যদি মমতাদেব

ইসলামপুর-এপিসোড: রাজ্যে ইসলাম আগ্রাসনের হিমশৈলের চূড়ামাত্র: পর্ব ২

এই সিরিজের টাইটেলটি যথার্থ। ইসলামপুর-এপিসোড আসলে রাজ্যে ইসলাম আগ্রাসনের হিমশৈলের চূড়ামাত্র দেখিয়েছে। প্রকৃত আগ্রাসনের থাবা ঠিক কতদূর এগিয়েছে, তা বোধ হয় আমরা সঠিক অনুমান করতে পারছি না। তার অংশমাত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড চিত্রে। ইসলামপুরের দারিভিট স্কুলে জোর করে উর্দু শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ ও গোলযোগ ঘনিয়ে উঠতেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল একের পর এক এমন সব ঘটনা যেগুলো আপাত বিচ্ছিন্ন হলেও, সবকটি ঘটনাই মাইনরিটি কম্যুনিটির সঙ্গে সম্পর্কিত। কাকতালীয়? উদাহরণ দিই। 2nd অক্টোবর দমদম নাগের বাজারে হঠাৎ বিষ্ফোরণ ঘটল। মারা গেল একটি সাত বছরের শিশু, বিভাস। বেশ কয়েকজন আহত হলেন। বিষ্ফোরণ ঘটার প্রায় সাথে সাথেই রাজ্যের নেতা ও মন্ত্রীরা অবিলম্বে বিবৃতি দিলেন যে বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে RSS. তারপর সংবাদে প্রকাশিত হল যে ঐ দমদমেই নাকি ঘাঁটি গেড়ে বাস করে আল কায়দার জঙ্গীরা। https://www.sangbadpratidin.in/kolkata/al-qaeda-militants-climbed-in-dum-dum-explosion/ তারপর প্রকাশিত হল, দমদম বিষ্ফোরণের পিছনে হাত আছে বাংলাদেশের এক জঙ্গীগোষ্ঠীর। নাম আনসারুল্লা বাংলা টিম বা ABT. https://kolkata24x7.co

আত্মপ্রচার ও একটি আবেদন

ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়েছিলাম 24th সেপ্টেম্বর। এমন টাইটেল দেওয়ার কারণ হল বন্ধুদের দৃষ্টি ও মনোযোগ আকর্ষণ করা। কাল ছিল রবিবার। ছুটির দিন। ফলে অনেকেই নেমেছিলেন রাস্তায় উত্তর দিনাজপুরে বাংলা ভাষার ওপর পুনরায় নেমে আসা উর্দু আগ্রাসনের প্রতিবাদে। বস্তুত, রাস্তায় নামারই এখন সময়। জায়গায় জায়গায়। সর্বত্র। কারণ মানুষ যা কিছু tangible তা-ই দেখতে পায়। তাই যাঁরা কাল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের সকলকে জানাই আনত প্রণাম। আমিও প্রস্তুত ছিলাম বিকেলে বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে জমায়েতে যোগদান করার জন্যে। তারপর হঠাৎ উপলব্ধি করলাম যে পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, অভারতীয় ভাবসম্পন্ন, অসভ্য, বর্বরদের কাছে আমার রাজ্য তথা দেশ মা'কে যেভাবে ধাপে ধাপে বেচে দিচ্ছে এরা, তার বিরুদ্ধে যতটা প্রতিবাদ তিল তিল করে জমা হয়েছে আমার মনে, যতটা পর্যবেক্ষণ আমি করেছি দিনের পর দিন নানা ঘটনা observe করার মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা সংবাদ সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে, রাস্তায় নেমে তার গোটাটা মানুষকে বলার সুযোগ আমি পাবো না। বরং এই বিষয়ে আমার সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ ধাপে ধাপে তুলে দেব সোশ্যাল মিডিয়ায

রাজ্যে ইসলাম আগ্রাসনে বাংলাপক্ষের ভূমিকা: পর্ব ৪

পশ্চিমবঙ্গের ইসলাম আগ্রাসন বুঝতে গেলে বাংলাপক্ষ নামক অর্গানাইজেশনটির গুরুত্ব বোঝা প্রয়োজন। বিশদে যথাসম্ভব সহজ উপায়ে বলার চেষ্টা করছি। সকলের পড়া উচিত বলে মনে করি। এটি ৪র্থ পর্ব। ফেসবুকে দিয়েছিলাম 2nd অক্টোবর। https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=339531596613261&id=100016692693608 ইসলাম আগ্রাসন facilitate করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুধু মুসলিম তোষণ করছেন তা নয়, আরও নানাভাবে পশ্চিমবঙ্গের টোট্যাল পপুলেশনকে নিজের দিকে টানবার চেষ্টা করছেন। বাংলাপক্ষ এ বিষয়ে তাঁর অন্যতম উইং কম্যাণ্ডার। এই সংস্থাটির কথা বার বার আসছে কারণ এই এটি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামাইজেশনে instrumental. বাংলা ও বাঙালী সেন্টিমেন্টকে স্টিমুলেট করে একটা বৃহত্তর ভাষা আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে এঁরা আড়াল করছেন বলে সন্দেহ হয়। এঁরা মুখে বাঙালীত্বের কথা বলেন। আগামী নির্বাচনে হয়ত ভোটেও দাঁড়াবেন, পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষের মন ভোলানোর ও ভোট আদায়ের চেষ্টা করবেন এবং তারপর সময় এলেই হয়ত বলবেন বাঙালী মানেই বাংলাদেশ। বাংলাপক্ষের কর্ণধার বলেছেন যে "চাইনিজে কথা বলব, কিন্তু হিন্দি বলব না"।

রাজ্যে ইসলাম আগ্রাসনে বাংলাপক্ষের ভূমিকা: পর্ব ৩

ইসলামপুরের ঘটনা নিয়ে এই সিরিজ যাঁরা পড়ছেন এবং শেয়ার বা কপি পেস্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা জানেন যে সিরিজের ২য় পর্বে লিখেছিলাম যে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রুলিং পার্টির একাংশ এমন আছেন, যাঁরা বাংলা ও বাঙালী সেন্টিমেন্টকে স্টিমুলেট করে আসলে একটা বৃহত্তর ভাষা আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে আড়াল করছেন বলে সন্দেহ হয়। এই পর্বটি ফেসবুকে দিয়েছিলাম 29th সেপ্টেম্বর। https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=338550050044749&id=100016692693608 ইসলামপুরে চুপিসাড়ে বাংলা শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যখন পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তখন নিম্নোক্ত সংবাদ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের একশ্রেণীর মানুষ বাংলা ও বাঙালী প্রীতিপ্রদর্শন করার উদ্দেশ্যে দুর্গাপুজোর একটি প্যাণ্ডেল জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছেন। কেন? কারণ প্যাণ্ডেলটিকে "হলুদের প্যাণ্ডেল" না বলে বলা হয়েছে "হলদি কা প্যাণ্ডাল"। তাঁদের মতে এ হল দুর্গাপুজোয় হিন্দি আগ্রাসন। এবার দয়া করে ভাবুন, যাঁরা বাঙালী, খাঁটি বাঙালীয়ানা যাঁদের আত্মায় অবস্থান করে, তাঁরা কি কস্মিনকালেও, কোনো কারণেই, পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই

ইসলামপুর-এপিসোড: রাজ্যে ইসলাম আগ্রাসনের হিমশৈলের চূড়ামাত্র: পর্ব ১

আগেই বলেছি যে ইসলামপুরের ঘটনা যে পশ্চিমবঙ্গে ইসলাম ও উর্দু আগ্রাসনের হিমশৈলের চূড়ামাত্র, তা নিয়ে আমি ক্রমাগত চর্চা করব। আপনাদের অনুরোধও করেছি যে পর্যবেক্ষণ যদি আদৌ পছন্দ হয় তবে তা ছড়িয়ে দিন কারণ উদ্দেশ্য তাতেই সফল হবে। এটি তৃতীয় পর্ব। ফেসবুকে পোস্টটি দিয়েছিলাম 28th সেপ্টেম্বর, ব্লগে তুলছি এখন। https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=338088650090889&id=100016692693608 ইসলামপুরের ঘটনাটিও এমনভাবেই ঘটানো হচ্ছিল যে কেউ জানতে পারত না। কিন্তু এমন কিছু ঘটল এবং এমন সময়ে সেখানকার ছাত্ররা প্রতিবাদ করল, যার ফলে বিষয়টা সকলের নজরে এসে গেল। নাহলে এই উর্দুশিক্ষকের নীরব নিয়োগ হয়ে যেত কেউ জানতেও পারত না যেভাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে অনেক কিছুই ঘটেছে যা মানুষ জানতে পারে নি। ইসলামপুরের ঘটনাটি জনসমক্ষে এসে যাওয়ায় জেহাদী সরকারের রাগের নানা প্রকাশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারই সাম্প্রতিকতম নির্লজ্জ, বেআইনি ও মরিয়া প্রদর্শন হল দেবজিৎ সরকারকে পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর মধ্য দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুসলিম এমপাওয়ারমেন্ট & hence Islamization কিভাবে হচ্ছে