ইসলামপুর-এপিসোড: রাজ্যে ইসলাম আগ্রাসনের হিমশৈলের চূড়ামাত্র: পর্ব ১
আগেই বলেছি যে ইসলামপুরের ঘটনা যে পশ্চিমবঙ্গে ইসলাম ও উর্দু আগ্রাসনের হিমশৈলের চূড়ামাত্র, তা নিয়ে আমি ক্রমাগত চর্চা করব। আপনাদের অনুরোধও করেছি যে পর্যবেক্ষণ যদি আদৌ পছন্দ হয় তবে তা ছড়িয়ে দিন কারণ উদ্দেশ্য তাতেই সফল হবে। এটি তৃতীয় পর্ব।
ফেসবুকে পোস্টটি দিয়েছিলাম 28th সেপ্টেম্বর, ব্লগে তুলছি এখন।
https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=338088650090889&id=100016692693608
ইসলামপুরের ঘটনাটিও এমনভাবেই ঘটানো হচ্ছিল যে কেউ জানতে পারত না। কিন্তু এমন কিছু ঘটল এবং এমন সময়ে সেখানকার ছাত্ররা প্রতিবাদ করল, যার ফলে বিষয়টা সকলের নজরে এসে গেল। নাহলে এই উর্দুশিক্ষকের নীরব নিয়োগ হয়ে যেত কেউ জানতেও পারত না যেভাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে অনেক কিছুই ঘটেছে যা মানুষ জানতে পারে নি। ইসলামপুরের ঘটনাটি জনসমক্ষে এসে যাওয়ায় জেহাদী সরকারের রাগের নানা প্রকাশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারই সাম্প্রতিকতম নির্লজ্জ, বেআইনি ও মরিয়া প্রদর্শন হল দেবজিৎ সরকারকে পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর মধ্য দিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুসলিম এমপাওয়ারমেন্ট & hence Islamization কিভাবে হচ্ছে, তার একটা detailed account আমি আগেই দিয়েছি "রিকশ, রোহিঙ্গা, রামনবমী ও রাজনীতি" শীর্ষক একটি ব্লগে।
তবে এই পোস্টটিতে এমন কতগুলো তথ্য দেব যেগুলো পরোক্ষ প্রমাণ। চাইলে আপনি ইগনোরও করতে পারেন। ভাবতেই পারেন, এ থেকে কি প্রমাণিত হয়? কিন্তু যদি তলিয়ে ভাবেন তাহলে সব কিছুর মধ্যে একটা প্যাটার্ণ লক্ষ্য করতে পারবেন।
শরদিন্দুবাবুর 'বহ্নিপতঙ্গ' যদি পড়া থাকে তবে নিশ্চয় মনে পড়বে যে অপরাধী কে, ব্যোমকেশ তা conclusive ভাবে guess করতে পেরেছিল কাহিনীর নায়িকা শকুন্তলাদেবীর আঁকা ছবিতে রাজা দুষ্মন্তের চোখের মণির রঙ দেখে। ব্যোমকেশের যুক্তি ছিল, মানুষ প্রেম চেয়েও লুকোতে পারে না। গোপন প্রেম প্রকাশ করে মানুষ তৃপ্তি পায়।
তেমনি bias বা গোপন agenda ও লুকোনো যায় না। না চাইলেও, অনেক আপাত গুরুত্বহীন ঘটনার মাধ্যমেও তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
আজকে যে ছবিগুলি দিচ্ছি, তার মধ্যে ১ম ছবিটি লক্ষ্য করুন। হজ করে ফিরে আসা মানুষদের স্বাগত জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন হল সেকুলার দেশের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কি ধর্মীয় তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানানোর বা address করার সাংবিধানিক অধিকার আছে?
না, নেই। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর আছে। তাহলে এই পোস্টারে মমতা তাঁর মুখ্যমন্ত্রী ডেসিগনেশনটা লিখলেন কেন? তৃণমূল নেত্রী লিখতে পারতেন না কি?
আরও খেয়াল করুন। একপাশে পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির লোগো, আর এক পাশে রাজ্যের লোগো। কিভাবে হয়? হজ কমিটির সাথে State এর কি সম্পর্ক? নাকি সম্পর্ক আছে? সেকুলারিজমকে deny করাই কি উদ্দেশ্য? ইসলামাইজেশন যে হচ্ছে, মুসলিমরা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা একটু একটু করে বুঝিয়ে দেওয়াই কি উদ্দেশ্য? শরীরে বিষ একটু একটু করে প্রবেশ করিয়ে বিষের প্রতি tolerance তৈরি করানোর নাম বিষপ্রাশন।
এই আগাগোড়া বেআইনি অসাংবিধানিক পোস্টার কেউ কি করে লাগায়? নাকি পার্ক সার্কাস মুসলিম অধ্যুষিত বলে সেখানে ভারতের আইন খাটবে না? সেই বার্তাই কি নীরবে দেওয়া হয়ে যাচ্ছে এই ধরণের পোস্টারের মাধ্যমে?
আপনি যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে তো ওঁর / ওঁদের কিছু করার নেই! তাই না?
এইবার আসুন ২য় ছবিতে। কবিতা সম্মেলনের পোস্টারে এ রাজ্যের 'সম্মানীয় বুদ্ধিজীবী'রা। পোস্টারের রঙ সবুজ।
আবার "বাংলার তাঁতের হাট" এর বিজ্ঞাপনী পোস্টারের রঙও সবুজাভ, যে শাড়িটি বিজ্ঞাপিত হয়েছে, তারও রঙ সবুজ। এ হল সেই কালার বায়াস যা হয়ত অজান্তেই প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। অবশ্য অজান্তে না-ও হতে পারে। এত স্পষ্টভাবে না করলে হয়ত যে কম্যুনিটিকে তুষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে, তারাই বুঝতে পারবে না। ফলে তুষ্টও হবে না। তাই এই সুস্পষ্ট সবুজায়ন।
যে কটা বিজ্ঞাপনের ছবি দিয়েছি, প্রত্যেকটাই যথেষ্ট sophisticated হতে পারত, কিন্তু হয় নি। কারণ যিনি final approval দেন তাঁর যে personal bias towards some colour, attitude, orientation, সেটা রিফ্লেকটেড হয়ে যায় তাঁর চয়েসের মধ্য দিয়ে।
উদাহরণগুলো আপাতদৃষ্টিতে গ্রাহ্য করার মত কিছু না। কিন্তু অনেক কিছু বলে। পশ্চিমবঙ্গ লাল থেকে নীল হয়ে সবুজের দিকে যাত্রা করেছে এবং এগিয়েও গেছে বহুদূর। (ক্রমশঃ)
ফেসবুকে পোস্টটি দিয়েছিলাম 28th সেপ্টেম্বর, ব্লগে তুলছি এখন।
https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=338088650090889&id=100016692693608
ইসলামপুরের ঘটনাটিও এমনভাবেই ঘটানো হচ্ছিল যে কেউ জানতে পারত না। কিন্তু এমন কিছু ঘটল এবং এমন সময়ে সেখানকার ছাত্ররা প্রতিবাদ করল, যার ফলে বিষয়টা সকলের নজরে এসে গেল। নাহলে এই উর্দুশিক্ষকের নীরব নিয়োগ হয়ে যেত কেউ জানতেও পারত না যেভাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে অনেক কিছুই ঘটেছে যা মানুষ জানতে পারে নি। ইসলামপুরের ঘটনাটি জনসমক্ষে এসে যাওয়ায় জেহাদী সরকারের রাগের নানা প্রকাশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারই সাম্প্রতিকতম নির্লজ্জ, বেআইনি ও মরিয়া প্রদর্শন হল দেবজিৎ সরকারকে পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর মধ্য দিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুসলিম এমপাওয়ারমেন্ট & hence Islamization কিভাবে হচ্ছে, তার একটা detailed account আমি আগেই দিয়েছি "রিকশ, রোহিঙ্গা, রামনবমী ও রাজনীতি" শীর্ষক একটি ব্লগে।
তবে এই পোস্টটিতে এমন কতগুলো তথ্য দেব যেগুলো পরোক্ষ প্রমাণ। চাইলে আপনি ইগনোরও করতে পারেন। ভাবতেই পারেন, এ থেকে কি প্রমাণিত হয়? কিন্তু যদি তলিয়ে ভাবেন তাহলে সব কিছুর মধ্যে একটা প্যাটার্ণ লক্ষ্য করতে পারবেন।
শরদিন্দুবাবুর 'বহ্নিপতঙ্গ' যদি পড়া থাকে তবে নিশ্চয় মনে পড়বে যে অপরাধী কে, ব্যোমকেশ তা conclusive ভাবে guess করতে পেরেছিল কাহিনীর নায়িকা শকুন্তলাদেবীর আঁকা ছবিতে রাজা দুষ্মন্তের চোখের মণির রঙ দেখে। ব্যোমকেশের যুক্তি ছিল, মানুষ প্রেম চেয়েও লুকোতে পারে না। গোপন প্রেম প্রকাশ করে মানুষ তৃপ্তি পায়।
তেমনি bias বা গোপন agenda ও লুকোনো যায় না। না চাইলেও, অনেক আপাত গুরুত্বহীন ঘটনার মাধ্যমেও তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
আজকে যে ছবিগুলি দিচ্ছি, তার মধ্যে ১ম ছবিটি লক্ষ্য করুন। হজ করে ফিরে আসা মানুষদের স্বাগত জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন হল সেকুলার দেশের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কি ধর্মীয় তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানানোর বা address করার সাংবিধানিক অধিকার আছে?
না, নেই। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর আছে। তাহলে এই পোস্টারে মমতা তাঁর মুখ্যমন্ত্রী ডেসিগনেশনটা লিখলেন কেন? তৃণমূল নেত্রী লিখতে পারতেন না কি?
আরও খেয়াল করুন। একপাশে পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির লোগো, আর এক পাশে রাজ্যের লোগো। কিভাবে হয়? হজ কমিটির সাথে State এর কি সম্পর্ক? নাকি সম্পর্ক আছে? সেকুলারিজমকে deny করাই কি উদ্দেশ্য? ইসলামাইজেশন যে হচ্ছে, মুসলিমরা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা একটু একটু করে বুঝিয়ে দেওয়াই কি উদ্দেশ্য? শরীরে বিষ একটু একটু করে প্রবেশ করিয়ে বিষের প্রতি tolerance তৈরি করানোর নাম বিষপ্রাশন।
এই আগাগোড়া বেআইনি অসাংবিধানিক পোস্টার কেউ কি করে লাগায়? নাকি পার্ক সার্কাস মুসলিম অধ্যুষিত বলে সেখানে ভারতের আইন খাটবে না? সেই বার্তাই কি নীরবে দেওয়া হয়ে যাচ্ছে এই ধরণের পোস্টারের মাধ্যমে?
আপনি যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে তো ওঁর / ওঁদের কিছু করার নেই! তাই না?
এইবার আসুন ২য় ছবিতে। কবিতা সম্মেলনের পোস্টারে এ রাজ্যের 'সম্মানীয় বুদ্ধিজীবী'রা। পোস্টারের রঙ সবুজ।
আবার "বাংলার তাঁতের হাট" এর বিজ্ঞাপনী পোস্টারের রঙও সবুজাভ, যে শাড়িটি বিজ্ঞাপিত হয়েছে, তারও রঙ সবুজ। এ হল সেই কালার বায়াস যা হয়ত অজান্তেই প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। অবশ্য অজান্তে না-ও হতে পারে। এত স্পষ্টভাবে না করলে হয়ত যে কম্যুনিটিকে তুষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে, তারাই বুঝতে পারবে না। ফলে তুষ্টও হবে না। তাই এই সুস্পষ্ট সবুজায়ন।
যে কটা বিজ্ঞাপনের ছবি দিয়েছি, প্রত্যেকটাই যথেষ্ট sophisticated হতে পারত, কিন্তু হয় নি। কারণ যিনি final approval দেন তাঁর যে personal bias towards some colour, attitude, orientation, সেটা রিফ্লেকটেড হয়ে যায় তাঁর চয়েসের মধ্য দিয়ে।
উদাহরণগুলো আপাতদৃষ্টিতে গ্রাহ্য করার মত কিছু না। কিন্তু অনেক কিছু বলে। পশ্চিমবঙ্গ লাল থেকে নীল হয়ে সবুজের দিকে যাত্রা করেছে এবং এগিয়েও গেছে বহুদূর। (ক্রমশঃ)
Comments
Post a Comment