আত্মপ্রচার ও একটি আবেদন
ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়েছিলাম 24th সেপ্টেম্বর। এমন টাইটেল দেওয়ার কারণ হল বন্ধুদের দৃষ্টি ও মনোযোগ আকর্ষণ করা।
কাল ছিল রবিবার। ছুটির দিন। ফলে অনেকেই নেমেছিলেন রাস্তায় উত্তর দিনাজপুরে বাংলা ভাষার ওপর পুনরায় নেমে আসা উর্দু আগ্রাসনের প্রতিবাদে। বস্তুত, রাস্তায় নামারই এখন সময়। জায়গায় জায়গায়। সর্বত্র। কারণ মানুষ যা কিছু tangible তা-ই দেখতে পায়। তাই যাঁরা কাল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের সকলকে জানাই আনত প্রণাম।
আমিও প্রস্তুত ছিলাম বিকেলে বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে জমায়েতে যোগদান করার জন্যে। তারপর হঠাৎ উপলব্ধি করলাম যে পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, অভারতীয় ভাবসম্পন্ন, অসভ্য, বর্বরদের কাছে আমার রাজ্য তথা দেশ মা'কে যেভাবে ধাপে ধাপে বেচে দিচ্ছে এরা, তার বিরুদ্ধে যতটা প্রতিবাদ তিল তিল করে জমা হয়েছে আমার মনে, যতটা পর্যবেক্ষণ আমি করেছি দিনের পর দিন নানা ঘটনা observe করার মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা সংবাদ সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে, রাস্তায় নেমে তার গোটাটা মানুষকে বলার সুযোগ আমি পাবো না। বরং এই বিষয়ে আমার সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ ধাপে ধাপে তুলে দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং আশা করব চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাক সেগুলো। আত্মবিজ্ঞাপনের জন্য নয়, আমার ব্যক্তিগত লড়াইয়ের সর্বাধিক সুফল যাতে আমার রাজ্য পায়, তার জন্য। আমি চাই আমার রাজ্য once & for all এই বর্বরতামুক্ত হোক্।
তাই অনবরত লিখব। যাতায়াতের পথে, অফিসের কাজের ফাঁকে সময় পেলেই। রাত জেগেও। আমি যা কিছু দেখছি, তা দেখাবো আপনাদের সবাইকে। তারপর বিচার করবেন আপনারাই, প্রত্যেকে নিজের মত করে। আমার বিচারধারাকে গ্রহনই যে করতে হবে এমন কথা বলার ধৃষ্টতা নেই আমার।
তবে এটা অবশ্যই চাই যে যাঁরা রাজনৈতিকভাবে আমার সমমনস্ক নন, তাঁরাও পড়ুন আমার পর্যবেক্ষণ। একমত না হলেও ক্ষতি নেই। উপেক্ষা করুন। কিন্তু পড়ুন অবশ্যই। কারণ অনেক সময়েই রাজনৈতিক মতাদর্শ আমাদের biased করে তোলে। আমরা খোলা চোখে দেখতে পাই না।
ভাবছেন তো, আমিও তো biased হতে পারি? আমার পর্যবেক্ষণই যে unbiased, তার গ্যারান্টি কোথায়? উত্তরে বলি, এ বিষয়টি আমার দেশকে বেচে দেওয়ার ইস্যু। এই বিষয়ে সমস্ত রকম biasকে সচেতন প্রয়াসের দ্বারা দূরে সরিয়ে রেখে দেখার চেষ্টা করেছি। পেরেছি কি না জানি না। কিন্তু চেষ্টা করেছি আন্তরিকভাবে। উল্টোদিককার প্রশ্নগুলোকেও address করার চেষ্টা করেছি। সেগুলিরও সদুত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি।
কেউ কেউ এমনও ভাবতে পারেন, আমি কে এমন যে আমার পর্যবেক্ষণ আপনাদের পড়তে হবে? আমি কি সেলেব্রিটি? নাকি বিরাট কোনো বুদ্ধিজীবী? উত্তরে বলব, আমি সেলেব্রিটি না হলেও একজন স্বাধীনচেতা, সচেতন, চিন্তক নাগরিক। আমি #FutureBharat এর একটি একক। আর শিক্ষাগত, শিক্ষার মানগত ও পেশাগতভাবে বুদ্ধিজীবী আমি বটেই। আমার কর্মক্ষেত্রে চিরকাল আমার বুদ্ধিকেই বিক্রি করেছি আমি। তবে এ রাজ্যে বুদ্ধিজীবী বলতে যাঁদের বোঝায়, আমি সেরকম নই। আমি মূলতঃ কর্পোরেট দুনিয়ার মানুষ।
শিক্ষাগত ও পেশাগতভাবে আমি একজন ফার্মাসিউটিক্যাল এঞ্জিনিয়ার ও একজন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল। পেশাগতভাবে আমি কর্পোরেট দুনিয়ার মার্কেটিং কমিউনিকেশন ফিল্ডের মানুষ। সেই কারণেই রাজনীতি এবং যে কোনো বিষয়ের প্রেজেন্টেশন স্কিল আমার আয়ত্ত। কিন্তু রাজনীতি বলতে মানুষ এতকাল যে অপরাজনীতিটিকে বুঝত, আমি মনে করি, তার দিন ফুরিয়েছে। এবং সেই জন্যই রাজনীতিক হওয়ার প্রতি আদৌ আগ্রহী হয়েছি আমি।
মনে রাখতে হবে রাজনীতির খোলা ময়দানে প্রতিটি মানুষও এক একটি ব্র্যাণ্ড। প্রতিটি ব্র্যাণ্ডেরই প্রয়োজনীয়তা অর্থাৎ niche utility area থাকে এবং তার জন্য প্রতিটি ব্র্যাণ্ডের একটি specific positioning এরও প্রয়োজন হয়। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, রাজনীতিক্ষেত্রে আমার নিজের positioning করতে চাই একজন চিন্তাবিদ, সমাজ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংবাদ-বিশ্লেষক হিসেবে।
Please kindly note, এখন থেকে কয়েকদিন ক্রমাগত লিখব উত্তর দিনাজপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার টাইমলাইনে। সকলকে অনুরোধ প্লিজ পড়ুন ও অন্যদেরও পড়ান। আবারও বলছি, আত্মবিজ্ঞাপনের জন্য নয়। আমার লড়াইটা এভাবেই লড়তে চাই। পাশে থাকবেন তো?
যে কোনো যুদ্ধ যুদ্ধক্ষেত্রে যতটা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি হয় মানুষের মনোভূমিতে। এ বক্তব্য আমার নয়, মহাভারতের। অর্থাৎ মস্তিষ্ককে আগে সমস্ত উপচার দিয়ে প্রস্তুত করতে হয় যুদ্ধের জন্য। কথায় বলে, "ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।" একদম সাধারণ মানুষকে সেই ভাবানোর কাজটিই করতে চাই। আমার অন্যতম পর্যবেক্ষণ হল, বহু মানুষ এমন আছেন যাঁরা ভাবতে অভ্যস্ত নন। এবং সাধারণ দৈনন্দিনতার বাইরে ভাবার তেমন কিছু আছে বলে সাধারণভাবে অনুভবও করতে পারেন না। অথচ সভ্যতার পরিবর্তন প্রথম আসে এই ভাবনার জগতেই। প্রথমে চিন্তা ও কনসেপ্ট, তারপর তাকে কার্যে পরিণত করা। এই কনসেপচুয়ালাইজেশনের জায়গাটাতেই কাজ করতে চাই। শিক্ষা ও পেশাগতভাবেও তা করতে আমি equipped & experienced এবং সেই প্রসঙ্গেই আপনাদের সকলকে জানিয়ে রাখলাম রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজেকে ঠিক কিভাবে পোজিশন করতে চাই আমি।
যাঁরা রাস্তায় নেমেছেন তাঁদেরকে আবারও আভূমি প্রণাম জানিয়ে সবিনয়ে বলতে চাই, রাস্তায় নেমে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর আগে সাধারণ মানুষের মনে চিন্তার চেইন রিঅ্যাকশনটা স্টার্ট করে দেওয়াই আমার রাজনৈতিক অবজেকটিভ। কিভাবে করতে চাই সেটা? আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, যদি আমার পর্যবেক্ষণ আপনাদের মনে দাগ কাটতে পারে, তাহলে আমাকে ফলো করতে পারেন (আমার টুইটার হ্যাণ্ডল DebjaniBhatta20) এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়, অর্থাৎ ফেসবুক, ওয়াটস্অ্যাপ ও টুইটারে আপনার ফ্রেণ্ডলিস্টের অন্যান্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিন পোস্টগুলি। অর্থাৎ এই চেইনটা যেন কোথাও ছিন্ন না হয়। তবে যদি আমার পর্যবেক্ষণ আপনাদের মনে দাগ কাটতে পারে, একমাত্র তাহলেই এই অনুরোধ প্রযোজ্য।
ভুললে চলবে না, দেশ মানে মানুষ। রাজ্যের মানুষের কাছে অনুরোধ, আমার ভাবনা আমি তুলে ধরব আপনাদের কাছে। যদি তা আপনার মনকে নাড়া দিতে পারে, তবে, বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু তা ছড়িয়ে দিন অন্যদের মধ্যেও।
এই অবজেকটিভ কতটা সফল হল, তা বুঝতে পারব অটোমেটিক্যালি। পলিটিক্যাল ডিসকোর্সের এভলিউশনের মধ্যে দিয়ে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার যে আমি যা লিখে থাকি, তা সাহিত্য রচনা করার উদ্দেশ্যে নয়। চারপাশের ঘটনাগুলির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যে। সেই বিশ্লেষণের মাধ্যমেই মানুষের মনের দুয়ারে ঘা দিতে চাই।
পশ্চিমবঙ্গবাসী বাঙালীর আর নিশ্চিন্তে, নির্ভাবনায়, happy-go-lucky হয়ে থাকার উপায় নেই। সে চিত্রই তুলে ধরতে চাই সবার কাছে। নিরলসভাবে। তেমন ভয়ংকর কিছু ঘটার আগেই।
অনাচারী, বর্বর, অসভ্য, ম্যানিপুলেটিভ ও মানবতাবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে সেই হবে আমার mode of protest & retaliation. আমার স্বার্থ অবশ্যই আছে। কিন্তু সে স্বার্থ ব্যক্তিস্বার্থ নয়। কথাটা শুনতে খুব loud লাগতে পারে, tall claim মনে হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি যে স্বাধীনতার ৭০ বছর বাদে প্রকৃত স্বাধীনতা আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ভারতবর্ষে। সেই crucial সময়ে নিজের রাজ্য ও দেশের জন্য ইতিবাচক রাজনীতি করাই আমার একমাত্র স্বার্থ।
কাল ছিল রবিবার। ছুটির দিন। ফলে অনেকেই নেমেছিলেন রাস্তায় উত্তর দিনাজপুরে বাংলা ভাষার ওপর পুনরায় নেমে আসা উর্দু আগ্রাসনের প্রতিবাদে। বস্তুত, রাস্তায় নামারই এখন সময়। জায়গায় জায়গায়। সর্বত্র। কারণ মানুষ যা কিছু tangible তা-ই দেখতে পায়। তাই যাঁরা কাল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের সকলকে জানাই আনত প্রণাম।
আমিও প্রস্তুত ছিলাম বিকেলে বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে জমায়েতে যোগদান করার জন্যে। তারপর হঠাৎ উপলব্ধি করলাম যে পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, অভারতীয় ভাবসম্পন্ন, অসভ্য, বর্বরদের কাছে আমার রাজ্য তথা দেশ মা'কে যেভাবে ধাপে ধাপে বেচে দিচ্ছে এরা, তার বিরুদ্ধে যতটা প্রতিবাদ তিল তিল করে জমা হয়েছে আমার মনে, যতটা পর্যবেক্ষণ আমি করেছি দিনের পর দিন নানা ঘটনা observe করার মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা সংবাদ সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে, রাস্তায় নেমে তার গোটাটা মানুষকে বলার সুযোগ আমি পাবো না। বরং এই বিষয়ে আমার সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ ধাপে ধাপে তুলে দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং আশা করব চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাক সেগুলো। আত্মবিজ্ঞাপনের জন্য নয়, আমার ব্যক্তিগত লড়াইয়ের সর্বাধিক সুফল যাতে আমার রাজ্য পায়, তার জন্য। আমি চাই আমার রাজ্য once & for all এই বর্বরতামুক্ত হোক্।
তাই অনবরত লিখব। যাতায়াতের পথে, অফিসের কাজের ফাঁকে সময় পেলেই। রাত জেগেও। আমি যা কিছু দেখছি, তা দেখাবো আপনাদের সবাইকে। তারপর বিচার করবেন আপনারাই, প্রত্যেকে নিজের মত করে। আমার বিচারধারাকে গ্রহনই যে করতে হবে এমন কথা বলার ধৃষ্টতা নেই আমার।
তবে এটা অবশ্যই চাই যে যাঁরা রাজনৈতিকভাবে আমার সমমনস্ক নন, তাঁরাও পড়ুন আমার পর্যবেক্ষণ। একমত না হলেও ক্ষতি নেই। উপেক্ষা করুন। কিন্তু পড়ুন অবশ্যই। কারণ অনেক সময়েই রাজনৈতিক মতাদর্শ আমাদের biased করে তোলে। আমরা খোলা চোখে দেখতে পাই না।
ভাবছেন তো, আমিও তো biased হতে পারি? আমার পর্যবেক্ষণই যে unbiased, তার গ্যারান্টি কোথায়? উত্তরে বলি, এ বিষয়টি আমার দেশকে বেচে দেওয়ার ইস্যু। এই বিষয়ে সমস্ত রকম biasকে সচেতন প্রয়াসের দ্বারা দূরে সরিয়ে রেখে দেখার চেষ্টা করেছি। পেরেছি কি না জানি না। কিন্তু চেষ্টা করেছি আন্তরিকভাবে। উল্টোদিককার প্রশ্নগুলোকেও address করার চেষ্টা করেছি। সেগুলিরও সদুত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি।
কেউ কেউ এমনও ভাবতে পারেন, আমি কে এমন যে আমার পর্যবেক্ষণ আপনাদের পড়তে হবে? আমি কি সেলেব্রিটি? নাকি বিরাট কোনো বুদ্ধিজীবী? উত্তরে বলব, আমি সেলেব্রিটি না হলেও একজন স্বাধীনচেতা, সচেতন, চিন্তক নাগরিক। আমি #FutureBharat এর একটি একক। আর শিক্ষাগত, শিক্ষার মানগত ও পেশাগতভাবে বুদ্ধিজীবী আমি বটেই। আমার কর্মক্ষেত্রে চিরকাল আমার বুদ্ধিকেই বিক্রি করেছি আমি। তবে এ রাজ্যে বুদ্ধিজীবী বলতে যাঁদের বোঝায়, আমি সেরকম নই। আমি মূলতঃ কর্পোরেট দুনিয়ার মানুষ।
শিক্ষাগত ও পেশাগতভাবে আমি একজন ফার্মাসিউটিক্যাল এঞ্জিনিয়ার ও একজন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল। পেশাগতভাবে আমি কর্পোরেট দুনিয়ার মার্কেটিং কমিউনিকেশন ফিল্ডের মানুষ। সেই কারণেই রাজনীতি এবং যে কোনো বিষয়ের প্রেজেন্টেশন স্কিল আমার আয়ত্ত। কিন্তু রাজনীতি বলতে মানুষ এতকাল যে অপরাজনীতিটিকে বুঝত, আমি মনে করি, তার দিন ফুরিয়েছে। এবং সেই জন্যই রাজনীতিক হওয়ার প্রতি আদৌ আগ্রহী হয়েছি আমি।
মনে রাখতে হবে রাজনীতির খোলা ময়দানে প্রতিটি মানুষও এক একটি ব্র্যাণ্ড। প্রতিটি ব্র্যাণ্ডেরই প্রয়োজনীয়তা অর্থাৎ niche utility area থাকে এবং তার জন্য প্রতিটি ব্র্যাণ্ডের একটি specific positioning এরও প্রয়োজন হয়। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, রাজনীতিক্ষেত্রে আমার নিজের positioning করতে চাই একজন চিন্তাবিদ, সমাজ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংবাদ-বিশ্লেষক হিসেবে।
Please kindly note, এখন থেকে কয়েকদিন ক্রমাগত লিখব উত্তর দিনাজপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার টাইমলাইনে। সকলকে অনুরোধ প্লিজ পড়ুন ও অন্যদেরও পড়ান। আবারও বলছি, আত্মবিজ্ঞাপনের জন্য নয়। আমার লড়াইটা এভাবেই লড়তে চাই। পাশে থাকবেন তো?
যে কোনো যুদ্ধ যুদ্ধক্ষেত্রে যতটা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি হয় মানুষের মনোভূমিতে। এ বক্তব্য আমার নয়, মহাভারতের। অর্থাৎ মস্তিষ্ককে আগে সমস্ত উপচার দিয়ে প্রস্তুত করতে হয় যুদ্ধের জন্য। কথায় বলে, "ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।" একদম সাধারণ মানুষকে সেই ভাবানোর কাজটিই করতে চাই। আমার অন্যতম পর্যবেক্ষণ হল, বহু মানুষ এমন আছেন যাঁরা ভাবতে অভ্যস্ত নন। এবং সাধারণ দৈনন্দিনতার বাইরে ভাবার তেমন কিছু আছে বলে সাধারণভাবে অনুভবও করতে পারেন না। অথচ সভ্যতার পরিবর্তন প্রথম আসে এই ভাবনার জগতেই। প্রথমে চিন্তা ও কনসেপ্ট, তারপর তাকে কার্যে পরিণত করা। এই কনসেপচুয়ালাইজেশনের জায়গাটাতেই কাজ করতে চাই। শিক্ষা ও পেশাগতভাবেও তা করতে আমি equipped & experienced এবং সেই প্রসঙ্গেই আপনাদের সকলকে জানিয়ে রাখলাম রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজেকে ঠিক কিভাবে পোজিশন করতে চাই আমি।
যাঁরা রাস্তায় নেমেছেন তাঁদেরকে আবারও আভূমি প্রণাম জানিয়ে সবিনয়ে বলতে চাই, রাস্তায় নেমে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর আগে সাধারণ মানুষের মনে চিন্তার চেইন রিঅ্যাকশনটা স্টার্ট করে দেওয়াই আমার রাজনৈতিক অবজেকটিভ। কিভাবে করতে চাই সেটা? আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, যদি আমার পর্যবেক্ষণ আপনাদের মনে দাগ কাটতে পারে, তাহলে আমাকে ফলো করতে পারেন (আমার টুইটার হ্যাণ্ডল DebjaniBhatta20) এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়, অর্থাৎ ফেসবুক, ওয়াটস্অ্যাপ ও টুইটারে আপনার ফ্রেণ্ডলিস্টের অন্যান্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিন পোস্টগুলি। অর্থাৎ এই চেইনটা যেন কোথাও ছিন্ন না হয়। তবে যদি আমার পর্যবেক্ষণ আপনাদের মনে দাগ কাটতে পারে, একমাত্র তাহলেই এই অনুরোধ প্রযোজ্য।
ভুললে চলবে না, দেশ মানে মানুষ। রাজ্যের মানুষের কাছে অনুরোধ, আমার ভাবনা আমি তুলে ধরব আপনাদের কাছে। যদি তা আপনার মনকে নাড়া দিতে পারে, তবে, বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু তা ছড়িয়ে দিন অন্যদের মধ্যেও।
এই অবজেকটিভ কতটা সফল হল, তা বুঝতে পারব অটোমেটিক্যালি। পলিটিক্যাল ডিসকোর্সের এভলিউশনের মধ্যে দিয়ে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার যে আমি যা লিখে থাকি, তা সাহিত্য রচনা করার উদ্দেশ্যে নয়। চারপাশের ঘটনাগুলির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যে। সেই বিশ্লেষণের মাধ্যমেই মানুষের মনের দুয়ারে ঘা দিতে চাই।
পশ্চিমবঙ্গবাসী বাঙালীর আর নিশ্চিন্তে, নির্ভাবনায়, happy-go-lucky হয়ে থাকার উপায় নেই। সে চিত্রই তুলে ধরতে চাই সবার কাছে। নিরলসভাবে। তেমন ভয়ংকর কিছু ঘটার আগেই।
অনাচারী, বর্বর, অসভ্য, ম্যানিপুলেটিভ ও মানবতাবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে সেই হবে আমার mode of protest & retaliation. আমার স্বার্থ অবশ্যই আছে। কিন্তু সে স্বার্থ ব্যক্তিস্বার্থ নয়। কথাটা শুনতে খুব loud লাগতে পারে, tall claim মনে হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি যে স্বাধীনতার ৭০ বছর বাদে প্রকৃত স্বাধীনতা আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ভারতবর্ষে। সেই crucial সময়ে নিজের রাজ্য ও দেশের জন্য ইতিবাচক রাজনীতি করাই আমার একমাত্র স্বার্থ।
Comments
Post a Comment