A Tale of Terrorism
গত কয়েকদিন আগে একটা প্রশ্ন রেখেছিলাম। Keeping in mind the reiterated rhetoric that terrorists have no religion (which I too, personally believe) why, in reality do we find that the Muslims exhibit greater tendency & higher probability to convert into terrorists all over the globe? Since terrorist organizations target people from all the spheres of the society, why are the Muslims proven to be more vulnerable to fall prey?
এই প্রশ্নের উত্তরে, বহু বন্ধু বহুভাবে আমাকে enlighten করেছেন। অনেক মুসলমান এবং অনেক অমুসলমানরা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার অনেকে জানিয়ে দিয়েছেন যে আমি কৌশলে বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করলেই একমাত্র তা সকলের জন্য মঙ্গলজনক, এমনকি, মুসলমানদের জন্যও। আমি বিশ্বাস করি মানুষের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো উচিত নয়, কিন্তু কুকর্ম এবং পাপের নাশ করতে গেলে প্রথমতঃ প্রয়োজন সেই পাপের অস্তিত্ব এবং তার প্রকৃতি সম্বন্ধে সচেতন থাকা। আর সচেতনতা আসতে পারে একমাত্র তথ্য ও মুক্ত চিন্তার মাধ্যমে সেই তথ্যের বিশ্লেষণের দ্বারা। তাকে বিদ্বেষ ছড়ানো বলে ভাবার ভুল অন্ততঃ পশ্চিমবঙ্গের মুক্তমনের মানুষেরা করবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
Calcutta Liberals গ্রুপে একজন অমুসলমান, মুক্তমনা বন্ধু আমাকে প্রচুর তথ্য সরবরাহ করেছেন এটা প্রমাণ করতে যে মুসলমানদের একটি অতি সামান্য, অকিঞ্চিৎকর ভগ্নাংশই terrorism এ লিপ্ত। তাদের জন্য সমগ্র মুসলমান সমাজকে terrorist বলে দাগিয়ে দেওয়াও উচিত নয় এবং অবিশ্বাস করাও উচিত নয়। তাঁর সঙ্গে একমত হয়েই আমি তাঁর দেওয়া তথ্য এবং তার arithmetic analysis আমি আপনাদের সামনে রাখতে চাই। ধরা যাক, এই মুসলমান-দরদী, মুক্তমনা বন্ধুটি হলেন SD.
SD বলছেন,
"Please get the original fact now. A Pew Research Study places the number of Muslims worldwide to be around 1.6 billion (or 23% of the world's population).
There are around 106,000 individuals members associated with Islamic terrorist organizations. So doing some basic math, we get that about .006625% of the Muslim population are "extremist".
http://www.cnn.com/2014/09/26/opinion/bergen-schneider-how-many-jihadists/
http://www.cnn.com/2014/09/26/opinion/bergen-schneider-how-many-jihadists/
ওঁর data অনুযায়ী ২০১০ সালে পৃথিবীতে খ্রীষ্টানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী, ২.২ বিলিয়ন এবং তারপরেই মুসলমানরা। ১.৬ বিলিয়ন।
ওঁর এই data দেখে আমার (অর্থাৎ DB'র) বক্তব্য ছিল যে ২০১০ এর data ২০১৭ তে এসে অনেক পুরোনো হয়ে গেছে, ৭ বছরে জনবিস্ফোরণ ঘটে গিয়ে থাকতে পারে।
তা সত্ত্বেও data striking fact reveal করছে। ইসলাম ধর্মের বয়স খ্রীশ্চানিটির থেকে প্রায় ৬০০ বছর কম। তার মধ্যেই ইসলামের জনসংখ্যা, খ্রীশ্চান জনসংখ্যার চাইতে খুব কম কিছু নয়। ২২০ কোটি - ১৬০ কোটি = ৬০ কোটি। ধর্মের বয়স ৬০০ বছর কম হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের সংখ্যা খ্রীশ্চানদের থেকে মাত্র ৬০ কোটি কম।
উপরন্তু তুল্যমূল্য জনসংখ্যার প্রকৃত চিত্র পাওয়ার জন্য আমাদেরকে শুধু জনসংখ্যার absolute value কত, তা জানলেই চলবে না। 'জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার' কেও compare করতে হবে মুসলমান ও খ্রীশ্চানদের মধ্যে। আমরা যদি বর্তমানে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যাবৃদ্ধির হারকে তুলনা করি, তাহলে হয়ত দেখব, মুসলমানদের সংখ্যাবৃদ্ধির হার খ্রীশ্চান বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় অনেক বেশী। এবং এই হারে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বা ৭০ বছরেই হয়ত মুসলমানরাই হবেন পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যা, খ্রীশ্চানরা নন।
তার চেয়েও বড় কথা হল, আমাদেরকে দেখতে হবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এবং zone এ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাবৃদ্ধির হার কি? কোন zone সবচেয়ে বেশী সংখ্যায় terrorist সরবরাহ করছে এবং সেই zone গুলিতে ইসলামের জনবৃদ্ধির হার কেমন এবং গত মাত্র দু-তিন বছরে terrorist এর সংখ্যা ঠিক কত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এত তথ্য অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই ওঁর কাছে ছিলনা। SD তখন google তথ্য দিয়ে বললেন যে
Now 1.8 billion.
এর বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়, গত সাত বছরে ২০১০ থেকে ২০১৭ র মধ্যে মুসলমান সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ কোটি। ১.৬ বিলিয়ন থেকে হয়েছে ১.৮ বিলিয়ন। অর্থাৎ গোটা পৃথিবীতে মুসলমানরা সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছেন প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ৮৫ লক্ষ, ৭১ হাজার ৪২৮ জন হারে in last 7 years! 😳😳কি সাংঘাতিক বৃদ্ধির হার!
SD আরও বলেন যে ২০১০ এ নথিভুক্ত terrorist এর সংখ্যা ছিল, ১০৬০০০ জন। আমরা যেন কাল্পনিকভাবে ধরে নিই যে ২০১৭ তে এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,০০০,০০. অর্থাৎ পৃথিবীর ১৮০ কোটি মুসলমান জনসংখ্যার মধ্যে ২০১৭ সালে ১০,০০০,০০ জন terrorist (ওঁর কথা অনুযায়ী)।
আলোচনার ঠিক এই জায়গায় আর এক বন্ধু কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখেন। ধরা যাক এই বন্ধুর নাম FS. আমি ওঁর ভাষাই তুলে দিচ্ছি আপনাদের সামনে।
Understood your point. It is true that when compared w.r.t. the total population, the proportion of terrorists is very meagre even among muslims. But sir, can you kindly enlighten me a little further by comparing it with similar proportions from among the population of other religions. For example, to be more precise, what is the total no. of Christian terrorists and what percentage is it compared to the total Christian population. Similarly what is the total no. of Hindu or Buddhist terrorists and what are their percentage proportions compared to the corresponding total population of respective religion. I'll remain grateful if you kindly enlighten me with such data.
অর্থাৎ মুসলমানদের মোট জনসংখ্যার মধ্যে যতজন terrorist, তার তুলনায় খ্রীশ্চানদের মোট জনসংখ্যার কতজন terrorist? বা হিন্দুদের? বা বৌদ্ধদের? অর্থাৎ ratio of No. of terrorists
: Total population কে তুলনা করতে হবে। দেখা যাবে, মুসলমানদের মধ্যে এই ratio টা অন্যদের মধ্যে এই ratioর চাইতে অনেক, অর্থাৎ statistically significant ভাবে বেশী।
এর উত্তরে SD'র উত্তর কি ছিল, তা আমি ওঁর ভাষাতেই তুলে দিচ্ছি।
Thank you very much for your kind reply.
It may be ZERO for all other religion. I'll be very glad if it is so. But here my priority was different. What was it?
I just tried to help those who had the misconception that most of the Muslims are terrorist.
I just tried to prove it logically that MOST OF THE MUSLIM are also piece loving people like all other religion. People shouldn't hate the entire community just because of that that 0.006625%(or assume it 0.01% if you wish) people(!!!).
According to me, we should boycott that 0.006625%, not the the whole community.
Now coming to your question...
Sorry, but I'll not do it now as it is not required. But if any day I find people to vituperate Christians or Buddhist or any other religion just because of the very less percentage of terrorist, you'll surely find me there to protest against it.
That is what I had to say. Thank you.
আমি আবার SDকে প্রশ্ন করি, বর্তমানে মোট মুসলিম জনসংখ্যা যদি হয় ১.৮ বিলিয়ন এবং সন্ত্রাসবাদীর সংখ্যা যদি হয় ১০ লাখ (যা কিনা SD নিজেই বলেছেন assume করতে) তাহলে ১,৮০,০০,০০,০০০ কে ১০,০০,০০০ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ১৮০০ আর প্রতি ১৮০০ জনে একজন মানে শতাংশের হিসাবে (১/১৮০০)x১০০ = ০.০৫৫৫৬%| এর অর্থ দাঁড়ালো ২০১৭ তে এসে পৃথিবীতে প্রতি ১৮০০ জন মুসলমানের মধ্যে ১ জন terrorist! অর্থাৎ যদি পরিবার পিছু পাঁচজন লোক ধরি তাহলে ১৮০০ / ৫ = ৩৬০ টি পরিবারপিছু ১ জন terrorist. কি বিভীষিকা! 😱😱
আমাদের আলোচনা আরও এগিয়েছিল। ২০১০ এর SD'র দেওয়া google তথ্যের বিশ্লেষণ করলে দেখা গেল, ২০১০ সালের ১.৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৬০ কোটি মুসলমানের মধ্যে নানা terrorist organisation এ officially নথিভুক্ত terrorist এর সংখ্যা (SD'র তথ্যানুযায়ী) ছিল ১০৬০০০. অর্থাৎ ১৬০,০০,০০,০০,০ কে ১০৬০০০ দিয়ে ভাগ করলে দাঁড়ায় ১৫,০৯৪.৩৩৯৬= ১৫০০০.
অর্থাৎ ২০১০ সালে পৃথিবীর প্রতি ১৫০০০ জন মুসলমানের মধ্যে একজন terrorist। ☠️☠️☠️😱
যদি এই global data কে পশ্চিমবঙ্গে adopt করি এবং ধরি একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই জনা ১৫০০০ এর বাস, তবে, প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতপিছু একজন terrorist. যেহেতু ১৬ টি করে গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে একটি ব্লক, ফলে প্রতি ব্লকে তার মানে ১৬ জন করে terrorist. সর্বনাশ! ভাবতে পারছেন কি? ১জন terrorist কে কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে মারাত্মক ভুল হবে!!!!😳😳😳😳
আমার বক্তব্য হল, আমাদের দেশে ১৫০০০ সংখ্যাটা জনসংখ্যা হিসেবে খুব বড় কোন সংখ্যা নয়। যে কোন সাধারণ ভিড়ভাট্টার মধ্যেও ১৫০০০ লোক থাকে। এবার ভেবে দেখুন মাত্র ১৫০০০ অসচেতন, নিরীহ, সাধারণ মানুষের উপর মাত্র একজন প্রশিক্ষিত terrorist এর কি বিধ্বংসী প্রভাব থাকতে পারে! ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়। ভুললে চলবে না এই data google এর declared data. সুতরাং বাস্তবে terrorist এর সংখ্যা আরও বেশী! আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, data টা ২০১০ এর। ২০১৭ তে officially recorded terrorist এর সংখ্যা কত as per Google, সেটা জানা নেই। কিন্তু গত ৭ বছরে সংখ্যাটা যে leaps and bounds এ বেড়েছে তা নিশ্চয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না! 😱😱😱
মুসলমানদের defend করতে গিয়ে SD প্রকৃতপক্ষে সেমসাইড করে বসলেন। Unknowingly he ended up giving a clear, precise & correct picture of the horrific situation of Islamic terror!😱😱😧
এর পরে SD বললেন, (ওঁর ভাষাতেই পড়ুন)
"১৫০০০ জনে এক জন আতঙ্কবাদী থাকলে আপনি কি বাকি ১৪৯৯৯ জনকেও আতঙ্কবাদী হিসেবেই ধরে নেন?
এবং আমার বক্তব্য ঠিক এই জায়গাতেই। এই ১ জনের জন্য ১ টা সুন্দর দেখে বুলেট রেখে বাকি ১৪৯৯৯ জনকে সুস্থভাবে বাচতে দিন। সবসময় মুসলমান মানেই জঙ্গি এই বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে বাকি ১৪৯৯৯ জনের জীবন জর্জরিত করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত???
মানে পশ্চিমবঙ্গে ২.৪৬ কোটি মুসলিমের মধ্যে ১৬৩০ জন আতঙ্কবাদী। অর্থাৎ ২৪৬০০০০০ কোটি মুসলিমের মধ্যে ২৪৫৯৮৩৭০ জন সাধারন মুসলিমকে আতঙ্কবাদীর দলে ফেলা উচিৎ নয়। যেটা অনেকেই করছেন!"
SD' র এই বক্তব্যের সঙ্গে theoretically একমত না হয়ে তো পারা যায় না। কিন্তু মুশকিল হল, এরা তো মিশে আছে! বুঝতে পারলে তো মিটেই যেত! তাহলে তো আর এই কথাই উঠত না। কিন্তু বিপদ এবং সাধারণ নিরীহ মুসলমানদের প্রতিও সন্দেহটা রয়েই যাচ্ছে কারণ ঐ সামান্যসংখ্যক terrorist কেও আমরা তো আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারিনা এবং তারা সাধারণ মুসলমানদের ভিড়ে মিশে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার দায় গোটা মুসলমান সমাজকে বহন করতে হয়। এবং অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে তাঁরা অমুসলমান অনেকেরই অবিশ্বাসের পাত্র হয়ে থাকেন।
আমার মনে হয়, এর জন্য সাধারণ মুসলমানদেরকেই রুখে দাঁড়াতে হবে, নিজেদের ভেতর থেকে বেছে বেছে terrorist দের আলাদা করে চিহ্নিত করে তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করতে হবে। তবেই তাঁরা সাধারণ সমস্ত অমুসলমান মানুষের সন্দেহের ঊর্দ্ধে উঠতে পারবেন।
আমাদের আলোচনা আরও এগিয়েছিল। সে গল্প না হয় আর এক দিনের জন্য তোলা রইল।
এই প্রশ্নের উত্তরে, বহু বন্ধু বহুভাবে আমাকে enlighten করেছেন। অনেক মুসলমান এবং অনেক অমুসলমানরা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার অনেকে জানিয়ে দিয়েছেন যে আমি কৌশলে বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করলেই একমাত্র তা সকলের জন্য মঙ্গলজনক, এমনকি, মুসলমানদের জন্যও। আমি বিশ্বাস করি মানুষের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো উচিত নয়, কিন্তু কুকর্ম এবং পাপের নাশ করতে গেলে প্রথমতঃ প্রয়োজন সেই পাপের অস্তিত্ব এবং তার প্রকৃতি সম্বন্ধে সচেতন থাকা। আর সচেতনতা আসতে পারে একমাত্র তথ্য ও মুক্ত চিন্তার মাধ্যমে সেই তথ্যের বিশ্লেষণের দ্বারা। তাকে বিদ্বেষ ছড়ানো বলে ভাবার ভুল অন্ততঃ পশ্চিমবঙ্গের মুক্তমনের মানুষেরা করবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
Calcutta Liberals গ্রুপে একজন অমুসলমান, মুক্তমনা বন্ধু আমাকে প্রচুর তথ্য সরবরাহ করেছেন এটা প্রমাণ করতে যে মুসলমানদের একটি অতি সামান্য, অকিঞ্চিৎকর ভগ্নাংশই terrorism এ লিপ্ত। তাদের জন্য সমগ্র মুসলমান সমাজকে terrorist বলে দাগিয়ে দেওয়াও উচিত নয় এবং অবিশ্বাস করাও উচিত নয়। তাঁর সঙ্গে একমত হয়েই আমি তাঁর দেওয়া তথ্য এবং তার arithmetic analysis আমি আপনাদের সামনে রাখতে চাই। ধরা যাক, এই মুসলমান-দরদী, মুক্তমনা বন্ধুটি হলেন SD.
SD বলছেন,
"Please get the original fact now. A Pew Research Study places the number of Muslims worldwide to be around 1.6 billion (or 23% of the world's population).
There are around 106,000 individuals members associated with Islamic terrorist organizations. So doing some basic math, we get that about .006625% of the Muslim population are "extremist".
http://www.cnn.com/2014/09/26/opinion/bergen-schneider-how-many-jihadists/
http://www.cnn.com/2014/09/26/opinion/bergen-schneider-how-many-jihadists/
ওঁর data অনুযায়ী ২০১০ সালে পৃথিবীতে খ্রীষ্টানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী, ২.২ বিলিয়ন এবং তারপরেই মুসলমানরা। ১.৬ বিলিয়ন।
ওঁর এই data দেখে আমার (অর্থাৎ DB'র) বক্তব্য ছিল যে ২০১০ এর data ২০১৭ তে এসে অনেক পুরোনো হয়ে গেছে, ৭ বছরে জনবিস্ফোরণ ঘটে গিয়ে থাকতে পারে।
তা সত্ত্বেও data striking fact reveal করছে। ইসলাম ধর্মের বয়স খ্রীশ্চানিটির থেকে প্রায় ৬০০ বছর কম। তার মধ্যেই ইসলামের জনসংখ্যা, খ্রীশ্চান জনসংখ্যার চাইতে খুব কম কিছু নয়। ২২০ কোটি - ১৬০ কোটি = ৬০ কোটি। ধর্মের বয়স ৬০০ বছর কম হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের সংখ্যা খ্রীশ্চানদের থেকে মাত্র ৬০ কোটি কম।
উপরন্তু তুল্যমূল্য জনসংখ্যার প্রকৃত চিত্র পাওয়ার জন্য আমাদেরকে শুধু জনসংখ্যার absolute value কত, তা জানলেই চলবে না। 'জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার' কেও compare করতে হবে মুসলমান ও খ্রীশ্চানদের মধ্যে। আমরা যদি বর্তমানে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যাবৃদ্ধির হারকে তুলনা করি, তাহলে হয়ত দেখব, মুসলমানদের সংখ্যাবৃদ্ধির হার খ্রীশ্চান বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় অনেক বেশী। এবং এই হারে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বা ৭০ বছরেই হয়ত মুসলমানরাই হবেন পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যা, খ্রীশ্চানরা নন।
তার চেয়েও বড় কথা হল, আমাদেরকে দেখতে হবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এবং zone এ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাবৃদ্ধির হার কি? কোন zone সবচেয়ে বেশী সংখ্যায় terrorist সরবরাহ করছে এবং সেই zone গুলিতে ইসলামের জনবৃদ্ধির হার কেমন এবং গত মাত্র দু-তিন বছরে terrorist এর সংখ্যা ঠিক কত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এত তথ্য অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই ওঁর কাছে ছিলনা। SD তখন google তথ্য দিয়ে বললেন যে
Now 1.8 billion.
এর বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়, গত সাত বছরে ২০১০ থেকে ২০১৭ র মধ্যে মুসলমান সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ কোটি। ১.৬ বিলিয়ন থেকে হয়েছে ১.৮ বিলিয়ন। অর্থাৎ গোটা পৃথিবীতে মুসলমানরা সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছেন প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ৮৫ লক্ষ, ৭১ হাজার ৪২৮ জন হারে in last 7 years! 😳😳কি সাংঘাতিক বৃদ্ধির হার!
SD আরও বলেন যে ২০১০ এ নথিভুক্ত terrorist এর সংখ্যা ছিল, ১০৬০০০ জন। আমরা যেন কাল্পনিকভাবে ধরে নিই যে ২০১৭ তে এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,০০০,০০. অর্থাৎ পৃথিবীর ১৮০ কোটি মুসলমান জনসংখ্যার মধ্যে ২০১৭ সালে ১০,০০০,০০ জন terrorist (ওঁর কথা অনুযায়ী)।
আলোচনার ঠিক এই জায়গায় আর এক বন্ধু কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখেন। ধরা যাক এই বন্ধুর নাম FS. আমি ওঁর ভাষাই তুলে দিচ্ছি আপনাদের সামনে।
Understood your point. It is true that when compared w.r.t. the total population, the proportion of terrorists is very meagre even among muslims. But sir, can you kindly enlighten me a little further by comparing it with similar proportions from among the population of other religions. For example, to be more precise, what is the total no. of Christian terrorists and what percentage is it compared to the total Christian population. Similarly what is the total no. of Hindu or Buddhist terrorists and what are their percentage proportions compared to the corresponding total population of respective religion. I'll remain grateful if you kindly enlighten me with such data.
অর্থাৎ মুসলমানদের মোট জনসংখ্যার মধ্যে যতজন terrorist, তার তুলনায় খ্রীশ্চানদের মোট জনসংখ্যার কতজন terrorist? বা হিন্দুদের? বা বৌদ্ধদের? অর্থাৎ ratio of No. of terrorists
: Total population কে তুলনা করতে হবে। দেখা যাবে, মুসলমানদের মধ্যে এই ratio টা অন্যদের মধ্যে এই ratioর চাইতে অনেক, অর্থাৎ statistically significant ভাবে বেশী।
এর উত্তরে SD'র উত্তর কি ছিল, তা আমি ওঁর ভাষাতেই তুলে দিচ্ছি।
Thank you very much for your kind reply.
It may be ZERO for all other religion. I'll be very glad if it is so. But here my priority was different. What was it?
I just tried to help those who had the misconception that most of the Muslims are terrorist.
I just tried to prove it logically that MOST OF THE MUSLIM are also piece loving people like all other religion. People shouldn't hate the entire community just because of that that 0.006625%(or assume it 0.01% if you wish) people(!!!).
According to me, we should boycott that 0.006625%, not the the whole community.
Now coming to your question...
Sorry, but I'll not do it now as it is not required. But if any day I find people to vituperate Christians or Buddhist or any other religion just because of the very less percentage of terrorist, you'll surely find me there to protest against it.
That is what I had to say. Thank you.
আমি আবার SDকে প্রশ্ন করি, বর্তমানে মোট মুসলিম জনসংখ্যা যদি হয় ১.৮ বিলিয়ন এবং সন্ত্রাসবাদীর সংখ্যা যদি হয় ১০ লাখ (যা কিনা SD নিজেই বলেছেন assume করতে) তাহলে ১,৮০,০০,০০,০০০ কে ১০,০০,০০০ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ১৮০০ আর প্রতি ১৮০০ জনে একজন মানে শতাংশের হিসাবে (১/১৮০০)x১০০ = ০.০৫৫৫৬%| এর অর্থ দাঁড়ালো ২০১৭ তে এসে পৃথিবীতে প্রতি ১৮০০ জন মুসলমানের মধ্যে ১ জন terrorist! অর্থাৎ যদি পরিবার পিছু পাঁচজন লোক ধরি তাহলে ১৮০০ / ৫ = ৩৬০ টি পরিবারপিছু ১ জন terrorist. কি বিভীষিকা! 😱😱
আমাদের আলোচনা আরও এগিয়েছিল। ২০১০ এর SD'র দেওয়া google তথ্যের বিশ্লেষণ করলে দেখা গেল, ২০১০ সালের ১.৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৬০ কোটি মুসলমানের মধ্যে নানা terrorist organisation এ officially নথিভুক্ত terrorist এর সংখ্যা (SD'র তথ্যানুযায়ী) ছিল ১০৬০০০. অর্থাৎ ১৬০,০০,০০,০০,০ কে ১০৬০০০ দিয়ে ভাগ করলে দাঁড়ায় ১৫,০৯৪.৩৩৯৬= ১৫০০০.
অর্থাৎ ২০১০ সালে পৃথিবীর প্রতি ১৫০০০ জন মুসলমানের মধ্যে একজন terrorist। ☠️☠️☠️😱
যদি এই global data কে পশ্চিমবঙ্গে adopt করি এবং ধরি একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই জনা ১৫০০০ এর বাস, তবে, প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতপিছু একজন terrorist. যেহেতু ১৬ টি করে গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে একটি ব্লক, ফলে প্রতি ব্লকে তার মানে ১৬ জন করে terrorist. সর্বনাশ! ভাবতে পারছেন কি? ১জন terrorist কে কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে মারাত্মক ভুল হবে!!!!😳😳😳😳
আমার বক্তব্য হল, আমাদের দেশে ১৫০০০ সংখ্যাটা জনসংখ্যা হিসেবে খুব বড় কোন সংখ্যা নয়। যে কোন সাধারণ ভিড়ভাট্টার মধ্যেও ১৫০০০ লোক থাকে। এবার ভেবে দেখুন মাত্র ১৫০০০ অসচেতন, নিরীহ, সাধারণ মানুষের উপর মাত্র একজন প্রশিক্ষিত terrorist এর কি বিধ্বংসী প্রভাব থাকতে পারে! ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়। ভুললে চলবে না এই data google এর declared data. সুতরাং বাস্তবে terrorist এর সংখ্যা আরও বেশী! আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, data টা ২০১০ এর। ২০১৭ তে officially recorded terrorist এর সংখ্যা কত as per Google, সেটা জানা নেই। কিন্তু গত ৭ বছরে সংখ্যাটা যে leaps and bounds এ বেড়েছে তা নিশ্চয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না! 😱😱😱
মুসলমানদের defend করতে গিয়ে SD প্রকৃতপক্ষে সেমসাইড করে বসলেন। Unknowingly he ended up giving a clear, precise & correct picture of the horrific situation of Islamic terror!😱😱😧
এর পরে SD বললেন, (ওঁর ভাষাতেই পড়ুন)
"১৫০০০ জনে এক জন আতঙ্কবাদী থাকলে আপনি কি বাকি ১৪৯৯৯ জনকেও আতঙ্কবাদী হিসেবেই ধরে নেন?
এবং আমার বক্তব্য ঠিক এই জায়গাতেই। এই ১ জনের জন্য ১ টা সুন্দর দেখে বুলেট রেখে বাকি ১৪৯৯৯ জনকে সুস্থভাবে বাচতে দিন। সবসময় মুসলমান মানেই জঙ্গি এই বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে বাকি ১৪৯৯৯ জনের জীবন জর্জরিত করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত???
মানে পশ্চিমবঙ্গে ২.৪৬ কোটি মুসলিমের মধ্যে ১৬৩০ জন আতঙ্কবাদী। অর্থাৎ ২৪৬০০০০০ কোটি মুসলিমের মধ্যে ২৪৫৯৮৩৭০ জন সাধারন মুসলিমকে আতঙ্কবাদীর দলে ফেলা উচিৎ নয়। যেটা অনেকেই করছেন!"
SD' র এই বক্তব্যের সঙ্গে theoretically একমত না হয়ে তো পারা যায় না। কিন্তু মুশকিল হল, এরা তো মিশে আছে! বুঝতে পারলে তো মিটেই যেত! তাহলে তো আর এই কথাই উঠত না। কিন্তু বিপদ এবং সাধারণ নিরীহ মুসলমানদের প্রতিও সন্দেহটা রয়েই যাচ্ছে কারণ ঐ সামান্যসংখ্যক terrorist কেও আমরা তো আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারিনা এবং তারা সাধারণ মুসলমানদের ভিড়ে মিশে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার দায় গোটা মুসলমান সমাজকে বহন করতে হয়। এবং অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে তাঁরা অমুসলমান অনেকেরই অবিশ্বাসের পাত্র হয়ে থাকেন।
আমার মনে হয়, এর জন্য সাধারণ মুসলমানদেরকেই রুখে দাঁড়াতে হবে, নিজেদের ভেতর থেকে বেছে বেছে terrorist দের আলাদা করে চিহ্নিত করে তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করতে হবে। তবেই তাঁরা সাধারণ সমস্ত অমুসলমান মানুষের সন্দেহের ঊর্দ্ধে উঠতে পারবেন।
আমাদের আলোচনা আরও এগিয়েছিল। সে গল্প না হয় আর এক দিনের জন্য তোলা রইল।
একটা জিনিসকে কেউ হিসাবে ধরছেন না।
ReplyDeleteযারা এইসব টেররিস্ট দের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করেন, বা তাদের ভাবধারা কে সমর্থন করেন তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেন তাদেরকেও যদি এর সঙ্গে যুক্ত না করা হয়, তাহলে কিন্তু বিসমিল্লায় গলদ থেকে যাবে। ঐ 0.1% এর হিসেব টা এক ধরনের eyewash, মানুষকে বোকা বানানোর জন্য।
অমুসলমান দের ঘৃণা করা টা এদের ধর্মের শিক্ষা। যতদিন ঐ পবিত্র বইটি থেকে ঐ বিদ্বেষমূলক আয়াত গুলো ছেঁটে ফেলা না হচ্ছে ততদিন এইরকম চলতে থাকবে।