মরুমানব
আরবের মরুভূমিতে তাঁর যখন যৌবনকাল চলছে, তাঁর বয়স যখন ৩৬ বছর, ভারতবর্ষে কনৌজের সিংহাসনে তখন হর্ষবর্ধনের রাজত্বের শুরু।
গৌড়বঙ্গের রাজা তখন শশাঙ্ক।
আমাদের সিনেমার কাল্পনিক গল্পটা যদি এরকম হয় যে রাজা শশাঙ্কর নিজের ভাই শশাঙ্কের চেয়েও বেশি বীর, dynamic ও বোহেমিয়ান প্রকৃতির এবং দাদার ন্যাওটা, ভবঘুরে।
এই ভাইটি ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যায় মরুভূমির দেশে। দেখে সেখানে আমাদের সেই pre-existing মরুভূমি ম্যান মহিলাদেরকে sexually উপভোগ করার জন্য মরিয়া। সমস্ত বয়সের মহিলাদের প্রতিই তাঁর একই দৃষ্টি।
আমাদের গল্পের হিরোর তা খুব অদ্ভুত মনে হলেও তার বোহেমিয়ান প্রকৃতির জন্য সে মরুভূমির উষরতার মধ্যেও রোম্যান্টিসিজম্ খুঁজে বেড়াতে থাকে। কিন্তু একদিন তার চোখে পড়ে সেই sexual-maniac আমাদের মরুভূমি ম্যান একটি আট-ন'বছরের বালিকার প্রতিও কামাতুর হয়ে পড়েছেন। এবং বালিকা প্রাণভয়ে পালাতে চাইছে।
আমাদের বাঙালী হিরোর রোম্যান্টিক, বোহেমিয়ান সেল্ফ এখানে ধাক্কা খায় এবং সে সেই ছোট্ট রাবিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সোজা এই দেশে। পথে তার সাথে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয় মরুভূমি ম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গোদের। কিন্তু বুদ্ধি, বীরত্ব ও কুশলতার জোরে উদ্ধার হয় রাবিয়া। পার হয়ে আসে এই বাংলার মাটিতে।
মরুভূমি ম্যানের অনুগামী যে দলটি তাকে তাড়া করে আসছিল, তারা উত্তুঙ্গ হিন্দুকুশের উপর থেকে ভারতভূমির এক ঝলক প্রথম দেখেই একই সঙ্গে মুগ্ধ, লোভাতুর অথচ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ( সুঠামদেহী আর্যযোদ্ধাদের দেখে)। হিন্দুকুশ পার হওয়ার মত যথেষ্ট সংখ্যার ও মনের জোর না থাকায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হলেও ভারতের যে রূপ তারা দেখেছে, তা তাদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে যায়। সেই সোনার দেশের গল্পকথাই বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হতে থাকে এবং মরুভূমি ম্যানের অনুগামীরা ও তাদের বংশধরেরা স্বপ্ন দেখতে থাকে কবে তারা যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে সেই বিশাল শক্তিশালী ও অকল্পনীয় ঐশ্বর্যের দেশ আক্রমণ করার মত।
প্রায় এক'শ বছর লাগে তাদের প্রথমবার সেই সাহস সঞ্চয় করতে। মহম্মদ-বিন-কাশিম সিন্ধু অভিযান করে। সেই ভারতের দুর্ভাগ্যের শুরু। বাকিটা ইতিহাস।
গৌড়বঙ্গের রাজা তখন শশাঙ্ক।
আমাদের সিনেমার কাল্পনিক গল্পটা যদি এরকম হয় যে রাজা শশাঙ্কর নিজের ভাই শশাঙ্কের চেয়েও বেশি বীর, dynamic ও বোহেমিয়ান প্রকৃতির এবং দাদার ন্যাওটা, ভবঘুরে।
এই ভাইটি ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যায় মরুভূমির দেশে। দেখে সেখানে আমাদের সেই pre-existing মরুভূমি ম্যান মহিলাদেরকে sexually উপভোগ করার জন্য মরিয়া। সমস্ত বয়সের মহিলাদের প্রতিই তাঁর একই দৃষ্টি।
আমাদের গল্পের হিরোর তা খুব অদ্ভুত মনে হলেও তার বোহেমিয়ান প্রকৃতির জন্য সে মরুভূমির উষরতার মধ্যেও রোম্যান্টিসিজম্ খুঁজে বেড়াতে থাকে। কিন্তু একদিন তার চোখে পড়ে সেই sexual-maniac আমাদের মরুভূমি ম্যান একটি আট-ন'বছরের বালিকার প্রতিও কামাতুর হয়ে পড়েছেন। এবং বালিকা প্রাণভয়ে পালাতে চাইছে।
আমাদের বাঙালী হিরোর রোম্যান্টিক, বোহেমিয়ান সেল্ফ এখানে ধাক্কা খায় এবং সে সেই ছোট্ট রাবিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সোজা এই দেশে। পথে তার সাথে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয় মরুভূমি ম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গোদের। কিন্তু বুদ্ধি, বীরত্ব ও কুশলতার জোরে উদ্ধার হয় রাবিয়া। পার হয়ে আসে এই বাংলার মাটিতে।
মরুভূমি ম্যানের অনুগামী যে দলটি তাকে তাড়া করে আসছিল, তারা উত্তুঙ্গ হিন্দুকুশের উপর থেকে ভারতভূমির এক ঝলক প্রথম দেখেই একই সঙ্গে মুগ্ধ, লোভাতুর অথচ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ( সুঠামদেহী আর্যযোদ্ধাদের দেখে)। হিন্দুকুশ পার হওয়ার মত যথেষ্ট সংখ্যার ও মনের জোর না থাকায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হলেও ভারতের যে রূপ তারা দেখেছে, তা তাদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে যায়। সেই সোনার দেশের গল্পকথাই বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হতে থাকে এবং মরুভূমি ম্যানের অনুগামীরা ও তাদের বংশধরেরা স্বপ্ন দেখতে থাকে কবে তারা যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে সেই বিশাল শক্তিশালী ও অকল্পনীয় ঐশ্বর্যের দেশ আক্রমণ করার মত।
প্রায় এক'শ বছর লাগে তাদের প্রথমবার সেই সাহস সঞ্চয় করতে। মহম্মদ-বিন-কাশিম সিন্ধু অভিযান করে। সেই ভারতের দুর্ভাগ্যের শুরু। বাকিটা ইতিহাস।
Comments
Post a Comment