রিকশ, রোহিঙ্গা, রামনবমী ও রাজনীতি

এই ব্লগটি লিখেছিলাম মার্চ মাসের ১৭ তারিখে। ২৫শে মার্চ রাজ্যে রামনবমী উদযাপনের পর বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। পড়ুন ও বিচার করুন, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী হিন্দুদের জীবনে ঘনিয়ে আসছে সংকট। পড়তে পড়তে যদি খারাপ লাগে, সাম্প্রদায়িক ঘৃণার প্রসার করছি বলে যদি মনে হয়, তাহলেও ব্লগটা পুরোটা একবার অন্ততঃ পড়বেন, এ আমার অনুরোধ। যা কিছু লিখেছি, সে তথ্যের প্রামাণ্য লিঙ্ক দিয়েছি। বিষয়টি বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, জানা থাকা ভালো।
 
মমতাদেবী রিকশ বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই নিয়ে ঠাট্টাতামাশা চলছে। মানুষ ফুট কাটছেন, "শিল্প বলতে চপ, যানবাহন বলতে রিকশ।" কিন্তু একটু ভাবলে বোঝা যাবে, বিষয়টি ঠাট্টাতামাশার নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেটেরান রাজনীতিক। বিনা কারণে এবং বিনা রিটার্নে কিছু করার মানুষ তিনি নন। গ্রামীন ও মফস্বল পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস এবং জনসংখ্যার আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত মানের দিকে তাকালে বোঝা যাবে যে তাদের অধিকাংশের কর্মসংস্থান করতে গেলে, চপ ও রিকশরই প্রয়োজন। ভারী শিল্প ইত্যাদি শুরু করে white collar job সৃষ্টি করলে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার খুব সামান্য অংশের মানুষ উপকৃত হবেন কিন্তু, চায়ের দোকান, চপ বা ফুচকার দোকান, রিকশ চালানো ইত্যাদি কাজ রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা হতে পারে। ওঁর যুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষের জীবিকার সুরাহা করাই ওঁর প্রাথমিক কর্তব্য। এবং সেটাই উনি করছেন।

বদলে যাচ্ছে গোটা রাজ্যের ডেমোগ্রাফি। রোহিঙ্গারা হাজির। ডেমোগ্রাফি বদলাবে আরও দ্রুত। কারণ রোহিঙ্গারা দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করে। রিকশ ওরাই চালাবে, চপও ওরাই ভাজবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় OBC কোটায় মুসলমানদের দ্রুত পাইয়ে দিচ্ছেন জমি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি, ব্যবসা। এই প্রসঙ্গে পড়ুন 2017 এর এই সময় পত্রিকার এই লিংক টি। এবং ভাবার চেষ্টা করুন যে এসবের সর্বশেষ ফলাফল কি হতে পারে।
https://m.eisamay.com/west-bengal-news/95-persent-mushlim-now-in-resevation-catagory-/articleshow/57138789.cms এই প্রসঙ্গে বলা দরকার যে সাম্প্রতিক অতীতকাল থেকে এ রাজ্যে, এমনকি কলকাতা শহরেও, কিছু কিছু ব্যবসার লাইসেন্স মুসলমান ছাড়া কোনো হিন্দু ব্যবসায়ীকে দেওয়া হচ্ছে না।

Calcutta Burial Boards Act ১৮৮৯ সালের একটি সুপ্রাচীন আইন। আইনটি কি তা ইন্টারনেটে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। এই আইনের প্রয়োগে কেবলমাত্র মুসলমানদেরই চাকরি হওয়া সম্ভব। মমতা ম্যাডাম এই সুপ্রাচীন আইনের অস্তিত্বের সুযোগ নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনে মুসলমানদের চাকরির ব্যবস্থা করছেন। এ খবর একেবারে সাম্প্রতিক অতীতের।


এই প্রসঙ্গে ২০১৬সালের WBCS পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কিত তথ্য জানতে নীচের লিংকটি পড়ুন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের administration কতটা মুসলমান প্রধান হতে চলেছে, সে বিষয়ে পাবেন striking তথ্য। ফেসবুক পোস্টের লিঙ্ক বলে এড়িয়ে যাবেন না। এর মধ্যে আছে সরকারি তথ্যের ফটোকপি। WBCS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সরকারি তালিকা।
https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=231849604048128&id=100016692693608

অর্থাৎ এ রাজ্যে মুসলমানদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করার সবরকম ব্যবস্থা সেরে ফেলা হচ্ছে। অফিসিয়ালি এই মুহূর্তে মুসলমান ভোটারের শতকরা অংশ রাজ্যে ৩১%. ইতিহাস সাক্ষী, এই অংশটি ৪০ পেরিয়ে গেলেই এ রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকট। মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে চাইবে। হিন্দুদের মেরে, কেটে জবাই করে এবং তাড়িয়ে নিজেদের শতকরা উপস্থিতি বাড়িয়ে নিতে চাইবে তারা। সংখ্যায় ৪০% শতাংশ হলেই মুসলমানরা হিন্দু নিধন করতে শুরু করবে, এ কথার ভিত্তি কি? ভিত্তি তাদের antecedents.


আর একটি তথ্যপূর্ণ উদাহরণ, যা থেকে বোঝা যাবে এ রাজ্যে মুসলমানদের যেভাবে সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে তা থেকে মনে হয় যে যথাশীঘ্র সম্ভব যেন তেন প্রকারেণ তাদের প্রতিষ্ঠিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য, শুধুমাত্র তাদের 'সংখ্যালঘু' পরিচয়ের সুবাদে। যারা যোগ্য, যারা দক্ষতা ও কৃতিত্বের দাবীতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য না করা যেমন সরকারের অন্যায়, তেমন যারা আদতে যোগ্য কিছু নয়, শুধুমাত্র জাতধর্মের পরিচয় ও সংখ্যালঘুত্বের দাবীতে তাদেরকেও সরকারি অনুদান পাইয়ে দেওয়া কি জনগণের অর্থের অপচয় এবং অন্যায় নয়? নীচের লিঙ্কটি দেখলে বোঝা যাবে এ রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন কর্পোরেশন কিভাবে ৫০% শতাংশের কম নম্বর পাওয়া মুসলমান ছাত্রদেরও stipend বিতরন করছে। অর্থাৎ they are rewarding even the failures only based on their religion. কম নম্বর পেলেও যদি সে stipend পায়, তাহলে কোন্ motivation এ এইসব ছাত্ররা ভালো লেখাপড়া করার extra initiative  নেবে? কেন নেবে? পড়াশোনা না করা ছাত্রদের জন্য স্টাইপেণ্ড, পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি?

Please kindly read the link, section, Post Matric Stipend (Under Talent Support Program) http://wbmdfc.org/about-us.php


আরো আছে। শুধু স্টাইপেণ্ড নয়, অনেক ক্ষেত্রেই নিতান্ত অযোগ্য, অমেধাবী মুসলমান ছাত্রদের OBC A কোটায় পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে এঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল সায়েন্সেসের পাঠক্রমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ। সেই কারণেই এঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের অল ইণ্ডিয়া এন্ট্রাস পরীক্ষাগুলিতে পশ্চিমবঙ্গকে নথিভুক্ত রাখতে মমতাদেবীর এত আপত্তি। বিশেষতঃ ডাক্তারির অল ইণ্ডিয়া প্রবেশিকা NEET পরীক্ষায় বহু প্রতিবাদ আন্দোলনের পর পশ্চিমবঙ্গ গত বছরই প্রথম যোগ দেয় এবং রেজাল্ট বেরোনোর পরেই প্রতিবাদ ওঠে যে বাংলা ভাষার NEET প্রশ্নপত্র নাকি ইংরিজি ভাষার ওই একই প্রশ্নপত্রের চেয়ে দুরূহতর হয়েছে। এবছরের NEET পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে ৪ঠা জুন, ২০১৮ এবং তার ঠিক পরদিনই অর্থাৎ গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা রাজ্যভিত্তিক আলাদাভাবেই হবে, পশ্চিমবঙ্গ NEET এর আওতাভুক্ত থাকতে চাইবে না এবং এই বিষয়টি তিনি নাকি সংসদে উত্থাপন করবেন। কারণ এবছরের NEET পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের মাত্র ৭% ছাত্র আদৌ নির্বাচিত হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য বোর্ডের মেধা মান এমনই নিম্নমুখী যে রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা অল ইণ্ডিয়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুবিধা করতে পারছে না। সংবাদটি যাচাই করতে এই খবরটি পড়ুন। https://www.anandabazar.com/national/neet-2018-results-declared-by-cbse-bengal-does-not-want-to-stay-under-control-of-neet-1.810946

প্রশ্ন হল, অল ইণ্ডিয়া মেধা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে পশ্চিমবঙ্গের উপযুক্ত ছাত্ররা ডাক্তারি পড়বে। এতে অসুবিধা কোথায় হচ্ছে মমতাদেবীর? অসুবিধা বোধ করি একটাই। অল ইণ্ডিয়া মেধা মানের NEET পরীক্ষায় অযোগ্য ছাত্রদের কোনো স্থান হয় নি। সেই পরীক্ষায় অবাধে টোকাটুকি এবং আলোচনার মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়াও সম্ভব হয় নি যা রাজ্যভিত্তিক ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ইদানীং হচ্ছিল। তার দ্বারা অযোগ্য, বিশেষতঃ মুসলমান ছাত্রদের অন্যায্য সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল। প্রশ্ন হল, কেন ডাক্তারি পরীক্ষাটির প্রতিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিশেষ পক্ষপাতিত্ব? কারণ হল, রাজ্যে মুসলমানদের ক্ষমতায়ন করতে গেলে প্রশাসন ছাড়া আর যে বিভাগটিকে মুসলমান অধ্যুষিত করে তোলা অবশ্য প্রয়োজন, তা হল হেলথ্কেয়ার। সে বন্দোবস্তই মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ ডাক্তারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক যে মধুর নয়, তা এইমুহূর্তে একটি ওপেন সিক্রেট। ডাক্তাররা বিরক্ত, অনেক সময়ই পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষেই প্রতিবাদী। এই প্রতিবাদী, অহংকারী পেশাদার শ্রেণীটিকে কবজা করার জন্য উনি ভেবেছেন ওঁর প্রিয় মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে ওঁর বশংবদ চিকিৎসক দল গঠন করবেন। তাতে ওনারও লাভ, আবার মুসলিমদেরও। মুসলমানরা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সুপ্রতিষ্ঠিত হলে উনিও বশংবদ চিকিৎসককুল তৈরি করতে পারবেন যাদেরকে ব্যবহার করে উনি অধুনা অহংকারী ও প্রতিবাদী ডাক্তারদের হয়ত 'শায়েস্তা' করার পরিকল্পনা নিতে পারবেন। এই ভয়ংকর পরিকল্পনা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে করে তুলেছে অতি নিম্ন মানের। মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার গুণগত মানের প্রায় কোনো গ্যারান্টিই বর্তমানে নেই। "লাগলে তুক না লাগলে তাক" অবস্থায় পর্যবসিত হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিষেবা। ফলতঃ পশ্চিমবঙ্গের সরকারী এবং অধিকাংশ বেসরকারী স্বাস্থ্যপরিষেবার উপর ভরসা করার উপায় আজকাল আর প্রায় নেই। ডাক্তার যাঁরা হচ্ছেন, তাঁদের হাতে নিজের শরীর, মনের চিকিৎসার ভার দেওয়া আদৌ যায় কিনা, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ। অথবা বলা ভালো যে সন্দেহ নেই যে ভার দেওয়া যায় না।


অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন যে রাজ্যবোর্ডের ছাত্ররা যদি ডাক্তারি পড়ার সুযোগ না পায়, তবে তো রাজ্যে ডাক্তার-সংকট দেখা দেবে। এমনিতেই এ রাজ্যে ডাক্তারের এবং উপযুক্ত ডাক্তারের প্রবল অভাব। সে অভাব আরও বাড়লে তো স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত সেই চিন্তাই করছেন। আমার মতে সে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ হল শিক্ষার মানোন্নয়ন, উপযুক্ত বেতনে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীদের পাওনা DA মিটিয়ে দিয়ে যথাযথ বেতনে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক নিয়োগ করা। তার পরিবর্তে চিকিৎসক সংকট মেটানোর নাম করে নামমাত্র মূল্যে অযোগ্য সিভিকদের হাতে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্যরক্ষার দায় চাপিয়ে দিয়ে রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কি মুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্য জনপ্রতিনিধির আছে?



আসুন আরও দেখা যাক আমাদের রাজ্যে, সংখ্যালঘু কারা? লঘু অর্থাৎ কম। দেখা যাক্ এ রাজ্যে সংখ্যায় কম বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে। তারা কি সত্যিই significantly সংখ্যায় কম?

এ রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ন'কোটি। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী ৩১% সংখ্যালঘু অর্থাৎ দু'কোটি ঊনআশি লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষ আছেন এই রাজ্যে। এই সংখ্যাটি কি আদৌ 'লঘু' বা কম? না। বরং আদতে সংখ্যাটি বিরাট। দু'কোটি ঊনআশি লক্ষের বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সংখ্যায় কম বলা কি number-blindness এর উদাহরণ নয়?

যদি ধরা যায় যে রাজ্যের এক একটি পরিবারে গড়ে ৫ জন করে সদস্য আছে, তাহলে এ রাজ্যে মোট পরিবারের সংখ্যা ৯,০০,০০০,০০ / ৫ = ১,৮০,০০,০০০ অর্থাৎ এক কোটি আশি লক্ষ।

যদি আরও ধরি যে এই এক কোটি আশি লক্ষ পরিবারের মধ্যে সংখ্যালঘু পরিবারের শতকরা হার সংখ্যালঘু জনসংখ্যার শতকরা হারের সমান, তাহলে রাজ্যের এক কোটি আশি লক্ষ পরিবারের মধ্যে সংখ্যালঘু পরিবারের সংখ্যা হল ৩১% of ১,৮০,০০,০০০ = ৫৫,৮০,০০০.

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারীর আনন্দবাজার পত্রিকার তিন নম্বর পৃষ্ঠার সংবাদ অনুযায়ী এ রাজ্যে সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা চুয়ান্ন লক্ষ। অর্থাৎ আনুমানিক পঞ্চান্ন লক্ষ আশি হাজার সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে মোট চুয়ান্ন লক্ষ পড়ুয়া আছে। উক্ত সংবাদে এ-ও উল্লেখিত হয়েছে যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

তথ্য অনুযায়ী পরিবারপিছু প্রায় একজন (৫৪,০০,০০০ / ৫৫,৮০,০০০ = ০.৯৮ জন) পড়ুয়া প্রতিটি সংখ্যালঘু পরিবারে আছে। পাঁচ জনের পরিবারে একজন পড়ুয়া পরিবারের বাকি কনিষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে শিক্ষাসচেতনতা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয় কি? তার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসেতাদেরকে বৃত্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি? সরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচ এমনিতেই যৎসামান্য। তাই এই বৃত্তির আসলে কোনো প্রয়োজন নেই। তাছাড়া যে টাকা সরকার যেচে পড়ুয়া ধরে নিয়ে এসে তাদেরকে দিচ্ছে, সে টাকা আদৌ পড়াশোনার কাজে ব্যয় হবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করার অবকাশ রয়েই যায়!

যদি রাজ্যের মোট জনসংখ্যার নিরিখেও বিচার করা যায়, তাহলেও রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৫৪,০০,০০০ / ৯,০০,০০,০০০ * ১০০ = ৬ শতাংশ সংখ্যালঘু পড়ুয়া। statistical significance বিচার করলে এই পারসেন্টেজ একটা ধনমানহীন দরিদ্র রাজ্যে আদৌ কম নয়।

আরেকটা হিসাব করা যাক্। রাজ্যে গতবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় দশলক্ষ। সেই হিসাবে রাজ্যের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা খুব বেশি করেই রাউণ্ড অফ করে ধরা যাক্ তার পনেরো গুণ,(তার বেশি হওয়া সম্ভব নয়) অর্থাৎ দেড় কোটি। সংবাদবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী এদের মধ্যে ৫৪ লক্ষ হল সংখ্যালঘু পড়ুয়া। অর্থাৎ রাজ্যের মোট পড়ুয়ার ৫৪,০০,০০০ / ১,৫০,০০,০০০ * ১০০ = ৩৬% সংখ্যালঘু।

এই প্রশ্ন তোলা কি অসঙ্গত হবে যে রাজ্যের মোট পড়ুয়ার প্রায় ৩৬% হওয়া সত্ত্বেও ওঁদেরকে সংখ্যালঘু বলা হচ্ছে কেন?

এ রাজ্যে 'সংখ্যালঘু'র সংজ্ঞা নতুন করে ফিক্স করা উচিত নয় কি? মোট সংখ্যার কত পারসেন্ট হলে তাকে 'সংখ্যালঘু' বলা যাবে, তাকে re-define করার প্রয়োজন কি নেই? নাহলে তো পাটিগণিতের নিয়মে ৪৯.৯% ও ৫০% এর চেয়ে কম বা 'লঘু'। অর্থাৎ ৪৯.৯%<৫০% তা বলে কি ৪৯.৯% সত্যিই 'লঘু' বা কম? তাহলে অযৌক্তিকভাবে তাদেরকে সংখ্যালঘু বলা হচ্ছে কেন?


এবার নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধে নেই যে কেন পশ্চিমবঙ্গে কম্যুনিজম্ ঢোকানো হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী যে পশ্চিমবঙ্গকে হিন্দুবাঙালীর জন্য সংরক্ষিত রাখতে পেরেছিলেন এবং  এ রাজ্যকে পূর্ব পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার নেহরুভিয়ান পরিকল্পনাকে বানচাল করে দিয়েছিলেন, তার প্রতিশোধ নেওয়াই হয়ত ছিল আদত উদ্দেশ্য। কম্যুনিজমের নামে ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের psyche কে slow poison করে ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গকেও ইসলামিক বাংলাদেশের অঙ্গীভূত করাই হয়ত ছিল অভিপ্রায়। আর এই উদ্দেশ্য পূরণেই কি আজও অক্লান্ত কাজ করে চলেছে বামপন্থীরা ও জ্যোতি বসুর আশীর্বাদধন্যা অতি বামপন্থী মমতা ব্যানার্জী?
তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক অবস্থান যা, তাতে পশ্চিমবঙ্গ অসুরক্ষিত হওয়ারওয়ার অর্থ গোটা নর্থ-ইস্টের সঙ্গে বাকি ভারতবর্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং সেই সূত্রে নর্থ-ইস্টও চলে আসবে চীনের থাবার মধ্যে। এবার নিশ্চয়ই স্পষ্ট হয়েছে 'ভারত তেরে টুকড়ে হোঙ্গে' স্লোগানের মর্মার্থ। পশ্চিমবঙ্গ ও নর্থ-ইস্টের উপর ভারতের রাশ আলগা হওয়ার সাথে সাথেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে পড়বে সীমান্তবর্তী এবং আজ পশ্চিমবঙ্গে যে আনরেস্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তা তখন পৌঁছবে বিহার, ঝাড়খণ্ডে। গোটা উপমহাদেশকে বিদেশী শক্তির থাবায় নিয়ে আসার বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনার অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গের বাম-মমতা জুটি এবং ওদিকে ডোকলাম নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক যখন শীতল ও উদ্বেগজনক, তখন চীনা রাষ্ট্রদূত এবং পরবর্তীকালে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতিনিধির সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠকের কথা স্মরণ করলেই খানিক অনুমান করা যায় দেশদ্রোহীতার এই ষড়যন্ত্রে কংগ্রেস, কম্যুনিস্ট ও মমতার মধ্যেকার silent co-operative alliance এর অস্তিত্বের কথা।

এ থেকে এ-ও  আন্দাজ করা যায় যে কেন জ্যোতিবাবু লণ্ডনে ইন্দিরা ও সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও দেশে ফিরে হঠাৎ 'বিপ্লবী' হয়ে উঠেছিলেন। কার পরামর্শে এবং কোন্ উদ্দেশ্যে? পরামর্শ বোধ হয় ছিল জওহরলাল নেহরুর। এবং deal টি ছিল একটি win-win deal. নেহরুও খুশী, জ্যোতি বসুও। জ্যোতি বসু কি পেলেন? আজীবন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার রাশ। জ্যোতি বোস চলে গেলেন, পশ্চিমবঙ্গে CPMও অফিসিয়ালি শেষ হল।

নেহরুর পরিকল্পনা অনুযায়ীই হয়ত জ্যোতিবাবুর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের আসল সমস্যা থেকে চোখ ঘোরাতে ওপার বাংলা থেকে খেদানি খেয়ে আসা উদ্বাস্তু বাঙালীদেরকে বোঝানো হয়েছিল "মুসলমানরা নয়, তোমাদের সব সমস্যার মূলে দিল্লীর ওই পুঁজিবাদী কংগ্রেস সরকার।" উদ্দেশ্য ছিল উদ্বাস্তু মানুষের চরম বিক্ষোভের অভিমুখকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে সেই বিক্ষোভকে নিজেদের রাজনীতির ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করা এবং পূর্ববঙ্গ থেকে উৎখাত হওয়া অসহায় হিন্দুদের তাদের আসল শত্রুদের স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে না দেওয়া। আশা করি বোঝা যাচ্ছে যে কংগ্রেসের সাথে এ রাজ্যের কম্যুনিস্টদের লড়াইটা ছিল কংগ্রেস ও জ্যোতি বসুর নিজেদের মধ্যেকার আণ্ডারস্ট্যাণ্ডিং-এ একটি লোক দেখানো লড়াই। নেহরুর অ্যাজেণ্ডাই সংবিধান-সংশোধন করে আরও conclusively carry forward করেছিলেন ইন্দিরা।

এবার নিশ্চয় বুঝতে পারা যাচ্ছে যে ১৯৭৬ সালে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে কেন ভারতবর্ষকে সেকুলার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন ইন্দিরা? কারণ তা নাহলে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে হিন্দুদের জন্য সৃষ্ট শ্যামাপ্রসাদের পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান-প্রবেশে নৈতিক বাধা থাকত যা আইনগত জটিলতার সৃষ্টি করতে পারত।

সেই জরুরী অবস্থার সময় জ্যোতিবাবু লুকিয়ে বাস করছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দোর্দণ্ডপ্রতাপ শ্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের বাড়িতে। তাঁর স্ত্রী মায়া রায়ের তত্ত্বাবধানে। সেই জন্যই জরুরী অবস্থার সময় বহু কংগ্রেস বিরোধী রাজনীতিক গ্রেফতার হলেও জ্যোতি বসুর হদিশ পুলিশ পায় নি। ইন্দিরা-জ্যোতি বোঝাপড়ার বিষয়ে এটি একটি ওপেন সিক্রেট।

এইসব ঘটনার মর্ম উপলব্ধি করতে পারলে তা থেকে এ-ও আন্দাজ করা শক্ত নয় যে কেন কম্যুনিস্টরা বাঙালীদের তথাকথিত আঁতেল বানাতে চেয়ে স্ট্যালিন, ট্রটস্কি ভজিয়েছিল। কেন বাঙালীদের শরীরচর্চা, তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি হঠিয়ে লেনিন জপিয়েছিল। যাতে হিন্দু বাঙালীকে ছদ্ম-আঁতলামি সর্বস্ব, বাকতাল্লা-প্রধান, উদ্যমহীন ও শারীরিক বলহীন একটি অপদার্থ জাতিতে পরিণত করা যায়। যাতে হিন্দু বাঙালীরা প্রত্যেকেই ফাঁপা অহংকারে নিজেকে কেউকেটা ও বিরাট জ্ঞানী ভাবতে থাকে, "আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়", তাদের ভিতরকার পারস্পরিক সম্মানজনিত একতাবোধ নষ্ট হয় এবং আপৎকালে যাতে শত্রুর আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হতে তাদের বেশি সময় না লাগে। এতদূর পড়বার পর অনায়াসে বোঝা যায় যে কেন মমতাদেবীর শিক্ষামন্ত্রী শ্রী পার্থ চ্যাটার্জী রাজ্যের কিছু স্কুলে শারীরশিক্ষা ক্লাসে শেখানো হয় বাংলার যে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যশালী লাঠিখেলা, তা বন্ধ করে দিতে চাইছেন। হিন্দুবাঙালী শারীরিক বলে বলীয়ান ও সুদক্ষ হয়ে উঠুক, তা এঁরা চান না। হিন্দুঐক্যও এঁদের পক্ষে বিপজ্জনক। কারণ United we stand, divided we fall. Ego জনিত কারণে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য পশ্চিমবঙ্গবাসী হিন্দুবাঙালীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই ফালতু ego বামপন্থী রাজনীতির by product.

বাঙালী হিন্দুর সর্বনাশের ছক আজকের নয়। এবং আমরা প্রত্যেকেই তার শিকার। দুইবাংলার একত্রিকরণের নামে ইসলামিকরণের অ্যাজেণ্ডা বহুদিনের। আমার মনে পড়ে সেই কোন্ ছোটোবেলায় দমদম লোকসভা কেন্দ্রের MP নীরেন ঘোষের দুই বাংলাকে এক করার পক্ষে সওয়াল করার সংবাদ।  পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীরা এবং অতি-বামপন্থী মমতা মেটিকুলাসলি সেই অ্যাজেণ্ডায় কাজ করে যাচ্ছেন। সেই জন্যই মমতাদেবীর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নির্দ্বিধায় বলতে পেরেছেন যে আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে দুই বাংলা এক হবে।

তবে দুই বাংলা এক হলে সেই বৃহত্তর বাংলাদেশকে সেকুলার বানানোর কোনো দাবী এই বামপন্থীরা করবে বলে মনে হয় কি? এদের এতদিনের মুসলমান-তোষণের ট্রেণ্ড দেখে কি মনে হয়? বৃহত্তর বাংলাদেশ অবশ্যই হবে ইসলামিক। হিন্দু বাঙালীকে বেছে নিতে হবে হয় প্রাণ, নয়ত মান।

আশা করি অনেকখানিই স্পষ্ট হয়েছে যে কেন বাঙালীদের সেকুলার বানানোর চেষ্টা হয়েছে এতকাল। যাতে দুই বাংলা এক হয়ে গোটাটা ইসলামিক রাষ্ট্র হয়ে গেলে হিন্দুবাঙালী অনায়াসেই মুসলমান হয়ে যেতে পারে! অর্থাৎ ধর্মান্তরকরণের জন্য হিন্দু বাঙালীর যাতে তেমন কোনো মনোঃকষ্ট বা অপরাধবোধ না হয়, তার জন্য কম্যুনিস্টরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখে নি। সেই ষাটের দশক থেকে হিন্দু বাঙালীকে তারা শুনিয়ে গিয়েছে উদারতা ও সেকুলারিজমের বাণী, যাতে তাঁদের কাছে হিন্দুধর্মের কোনো আলাদা মূল্য না থাকে, এবং সময় হলেই যাতে নির্দ্বিধায়, কোনো অপরাধবোধ ছাড়াই তাঁরা ধর্ম-পরিবর্তন করে নিজের জীবন বাঁচাতে পারেন।

এই হল বামপন্থী ও অতি-বামপন্থীদের দালালির দীর্ঘদিনের অ্যাজেণ্ডা। অনেকেরই হয়ত মনে পড়বে যে, যে জ্যোতিবাবুর মুণ্ডপাত না করে মমতাদেবীর একটা দিনও কাটত না, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সেই জ্যোতিবাবুর কাছেই আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়েছে বামপন্থীদের ঘাঁটি জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি থেকে ওঠা 'ভারত তেরে টুকড়ে হোঙ্গে' স্লোগানের মর্মার্থ? 'কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি', 'মনিপুর মাঙ্গে আজাদি'র পর এবার কি উঠবে 'পশ্চিমবঙ্গাল মাঙ্গে আজাদি'রও স্লোগান? নাকি ঠেকানো যাবে?

মমতাদেবী তাঁর কমিটমেন্ট অনুযায়ী এ রাজ্যকে একটি চা ও চপশিল্পপ্রধান আধুনিক মুসলমান বস্তি হিসেবেই গড়ে তুলছেন। আর বাঙালী হিন্দুরা রাজ্যের উন্নয়নের গল্প শুনে, রাস্তাঘাট দেখে, ক্লাব ও পুজোর চাঁদা পেয়ে, প্রোমোটারির বখরা পেয়ে মমতাদেবীকে ভোট দিচ্ছেন, কিন্তু ভাবতে পারছেন না যে রাজ্যের উন্নয়ন যা-ই হোক না কেন, তা এখানকার হিন্দুদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাজে আসবে না। এসবই হচ্ছে দুই বাংলাকে এক করে বৃহত্তর ইসলামিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য।

যে রাজ্যে সরকারি কর্মীরা মাইনে পায় না, যে রাজ্য একগলা ঋণে ডুবে আছে, সেই রাজ্যে বাংলা সিনেমার অ্যাওয়ার্ড শো হয় দুবাইতে। সেই উপলক্ষ্যে পয়সার অভাব হয় না। টাকা বোধ করি আসে পাকিস্তান বা বাংলাদেশের হাত ঘুরে আরব থেকে। বাংলার ইসলামিকরণের অ্যাজেণ্ডায় মমতাদেবীর পরোক্ষ সহযোগী বাংলার সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী নামক ভিক্ষাজীবীশ্রেণী এবং টালিগঞ্জ ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রি।

আমরা এমনভাবে এই দীর্ঘ ও সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি, যে সব জেনে বুঝেও আমি বড়জোর এই ব্লগ লিখছি আর আপনি পড়ছেন। অথচ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে এবং হিন্দুদের জন্যই। আজ সেই হিন্দুদেরই অস্তিত্ব পুনরায় বিপন্ন। সেই জন্যই এমনকি রামনবমীর মিছিল করতে গেলেও আক্রান্ত হতে হচ্ছে হিন্দুকে। জেগে ঘুমোনোর সময় আমাদের বোধ হয় আর নেই।

"Arise! Awake! And stop not till the goal is reached!"

Comments

  1. একদম ঠিক 👌 মূলে আঘাত করেছেন।

    ReplyDelete
  2. RSS The truth Revealed...
    https://sudeshdjvindia.blogspot.com/2018/06/rss-truth-revealed.html?m=0

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

রথযাত্রা: কুমুদরঞ্জন মল্লিক

নব্য কথামালা: শেয়াল ও সারসের গল্প

Karnataka Election Result 2023: Observations

এত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে শিল্প-খরা: কেন?