তেল-চিটচিটে রাজনীতি

এই ব্লগের প্রথমভাগটি খানিক একপেশে কংগ্রেস-নিন্দার মত লাগলেও পুরোটা পড়লে বোঝা যাবে যে আন্তর্জাতিক ফুয়েল পলিটিকসের চিত্রটিকে unbiased ও সহজবোধ্যভাবে তুলে ধরাই এর একমাত্র উদ্দেশ্য। Please kindly note that this blog contains my personal understanding of the international fuel politics. এটা লিখেছি 11th September এবং তার পরে আপডেট করেছি আরও দু'বার। একবার ৫ই অক্টোবর, আর একবার ৫ই নভেম্বর just to keep a track of the discourse. আর সেটা করতে গিয়ে তেল-রাজনীতি-চিত্রটির চিটচিটে-ভাব কেটে গিয়ে চিত্রটি ক্রমশঃ উজ্জ্বল ও চকচকে হয়ে উঠছে।


গতকাল একটা ভারতবন্ধ ডাকা হয়েছিল। ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে। কিন্তু এই তথাকথিত ভারতবন্ধে কোত্থাও কোনো কিচ্ছু বন্ধ হয় নি। গত চার বছর চার মাসে দেশের সংসদে predominantly অকংগ্রেসী রাজনীতি দেশের একটা বিরাট অংশের মানুষের মনে একটা বিশেষ পরিবর্তন ঘটিয়েছে। রাজনীতির নামে অপরাজনীতির বিষয়ে মানুষকে কিছুটা হলেও সচেতন করে তুলেছে। Hype তৈরি করার জন্য ছুতো খুঁজে বেড়ানো এবং লোককে তা নিয়ে অস্থির করে তোলা যে প্রকৃত ইতিবাচক রাজনীতি নয়, রাজনীতি মানে যে প্রকৃত অর্থে দেশ গঠন, সেটুকু অন্ততঃ দেশের বহু মানুষ আজকাল বোধ হয় বুঝতে পারছেন।

পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা যে hype টা তুলতে চাইল কিন্তু ব্যর্থ হল, সেটিও সেইরকমই  একটি অপরাজনৈতিক প্র্যাকটিস। বাস্তবে এটি ছিল একটি প্রোমোশনাল ক্যাম্পেইন। এবং অন্য একটি গুরুতর বিষয় থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা।

কেন বলছি? আসুন দেখা যাক্।

ফসিল ফুয়েলের দাম এদেশে বহুদিন ধরেই বেশি। In fact, UPA জমানাতেই ফুয়েলের দাম লাফ মেরে বেড়ে হয়েছিল প্রায় দ্বিগুণ। বরং ২০১৩ সালের তুলনায় আজকে ফসিল ফুয়েলের দাম মারাত্মক কিছু বেশি নয়। প্রায় একই। তখন দেশে ফুয়েলের দামও ছিল বেশি, আবার কংগ্রেসি নীতির ফলে তেলকোম্পানীগুলোও, ঋণগ্রস্ত, রুগ্ন হয়ে পড়েছিল।

http://www.opindia.com/2018/09/your-petrol-price-is-high-because-upa-left-2-lakh-crore-of-oil-debt-for-modi/amp/?__twitter_impression=true

মোদি আসার পরে আন্তর্জাতিক বাজারে ফসিল ফুয়েলের দাম কমলেও দেশের বাজারে দাম না কমিয়ে ভারতসরকার তেল অ্যাকাউন্টে কংগ্রেসের করে যাওয়া বিপুল পরিমাণ দেনা শোধ করতে থাকে। সেইভাবে ধার শোধ করে যাওয়ার ফলে এতদিনে দেশ সেই বিপুল কংগ্রেসি দেনার দায়মুক্ত হয়েছে। এবং মোদির এই ধার শুধবার নীতির ফলে এখন দেশের বাজারে ফুয়েলের দাম প্রায় একই রকম বেশি থাকলেও দেশের অর্থনীতির উপর থেকে ধারের বোঝা নেমে গিয়েছে। সরকারি তেল কোম্পানীগুলো লাভের মুখ দেখছে। অন্ততঃ তেলকোম্পানীগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে পারা গিয়েছে।

এবং কংগ্রেসের গাত্রদাহের কারণও সেটা। কংগ্রেসের চিরকালীন নীতি হল দেশকে, দেশের অর্থনীতিকে ফোঁপরা করে দিয়ে ঋণের বোঝার তলায় দেশকে পিষে দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রেখে গদিতে বসে থাকা এবং অর্থনৈতিক তছরূপের মাধ্যমে দেশের সব মানুষের টাকা কিছু সংখ্যক লোকের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা করে নেওয়া। সিংহভাগটাই যাবে গান্ধী পরিবারের অ্যাকাউন্টে, বাকিটা অনুগামীবৃন্দের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল ভারতবন্ধের দিন বিকেলে দিল্লী হাইকোর্ট সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর ২০১১-১২ অর্থবর্ষের আয়করের পরিমাণ পুনর্বিবেচনার আর্জিটি খারিজ করে দিল। মা-ছেলেকে বিপুল আয়কর দিতে হবে নয়ত ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ফেস করতে হবে। এই বিষয়টি থেকে পাবলিকের নজর সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সম্ভবতঃ এই বন্ধ করার attempt নিয়েছিল কংগ্রেস।

এখন যখন দেশের তেল-অর্থনীতি আসলে ভালো জায়গায় এসে পৌঁছেছে, তখন সেটা কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের পক্ষে সহ্য করা মুশকিল। কংগ্রেস সেই নেহরুর আমল থেকেই ভারতবর্ষে বিদেশী শক্তির প্রতিভূ। ফলে ভারতীয় অর্থনীতি ও ভারতীয় বিধিবন্দোবস্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠুক, এটা কংগ্রেস কোনোদিনই চায় না। দেশকে দুর্বল করে রাখলেই দেশের সম্পদের উপর যথেচ্ছ অধিকার কায়েম করা যায়, সম্পদ নয়ছয় করা যায়, এটা dynast রা ও তাদের সহযোগীরা খুব ভালো করে বোঝেন।

তাই আজ যখন তেলের ধার শোধ হয়ে গেছে তখন কংগ্রেস GOI এর উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে যে এবার সরকার অবিলম্বে excise duty কমিয়ে দেশের বাজারে তেলের দাম কমাক। কেন? কারণ তাতে সরকারের আয় কমবে, অর্থনীতি দুর্বল হবে, সরকার দেশের পরিকাঠামোর পিছনে যে খরচ করছে, তার ভাঁড়ারে টান পড়বে। অর্থাৎ দেশের সামগ্রিক উন্নতি, গরীব মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই, তাঁদেরকেও যে অর্থব্যবস্থার মূলধারার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে সেগুলো কংগ্রেসের পছন্দ নয়। খুব স্বাভাবিক যে এই পদক্ষেপগুলো কংগ্রেসের পছন্দ হবে না। কারণ প্রকৃত সাধারণ ভারতবাসী বলতে আসলে যাঁদের বোঝায়, তাঁদের প্রকৃত উন্নতি হলে কংগ্রেস কি করে তাঁদের প্রতি রাজদাক্ষিণ্যের রুটির টুকরো ছুঁড়ে দিয়ে নাম কিনবে? রাজা আর প্রজার তফাৎ বজায় না থাকলে যে রাজতন্ত্র চালানো যায় না। অর্থব্যবস্থা যদি well-defined হয় এবং accountability যদি maximize করা হয়, অর্থাৎ জল যদি ক্রমশঃ স্বচ্ছ হয়ে ওঠে, তাহলে ঘোলা জলে চুরি করে এবং confusion তৈরি করে মাছ ধরার age-old প্র্যাকটিসটা অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে। স্বচ্ছ জলে মাছ ধরলে কে কতগুলো মাছ নিল, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে!


তাই মোদি'র স্বচ্ছতার নীতিগুলি কংগ্রেস ও তার সহযোগীদেরকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলছে।

তাই বোধ করি তেলের দাম নিয়ে এই প্রোপাগ্যাণ্ডা ও hue n cry raise করার এই উদ্যোগটি গতকাল নেওয়া হয়েছিল।

এই যে একটা বিষয়ের আসল দিকটি থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য একটা অসার কারণ তৈরি করে তাই দিয়ে লোকক্ষেপানো, এ-ই হল রাজনীতির নামে অপরাজনীতির প্র্যাকটিস। এ হল কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের বিশেষত্ব। এই অপরাজনীতি তখনই প্র্যাকটিস করা যায় যখন দেশের মানুষকে কেউ 'মানুষ' মনে না করে কেবলই 'ভোট' বলে মনে করতে পারে। এই হল সেই কলোনিয়াল মানসিকতা যে মানসিকতা থাকলে দেশের অন্য সব মানুষকে 'ডার্টি নেটিভ' মনে করা যায় আর কেবলমাত্র নিজে(দের)কে তাদের থেকে আলাদা ভাবা যায়। তাদের কারুর কাছে ভারতবর্ষ হল 'বারট'। কারুর কাছে আবার 'ইণ্ডিয়া'। তারা ভারতবর্ষ শাসন করতে চায়। কিন্তু ভারতবর্ষকে ভালোবাসবার, ভারতবর্ষে belong করার মন তাদের নেই।


এই ধরণের ধৃষ্টতাপূর্ণ রাজনীতির একটা প্রতিস্পর্ধাই গত চার বছর চার মাস যাবৎ আমরা দেখছি। এই প্রতিস্পর্ধী রাজনীতি আপাদমস্তক ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, যেটি অকারণে জনমোহিনী নয় এবং যার একমাত্র driving force হল দেশের সামগ্রিক স্বার্থ।

তবে একথা মনে হতেই পারে যে ফুয়েলের দাম তো বাড়ছেই। আর সেই বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের পক্ষে অসুবিধাজনকও বটে। ফলে মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের কি উচিত নয় ব্যবস্থা নেওয়া? প্রয়োজনে excise duty কমিয়ে হলেও দেশের বাজারে তেলের দাম কমানো?

এ কথা অংশতঃ সত্যও বটে। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেহেতু অনেকটাই কমেছে, ফলে একদম grassroot লেভেলের মানুষের ফুয়েলের দাম নিয়ে তেমন অসুবিধা কিছু হচ্ছে না। এটাও বাস্তব সত্য। ফুয়েলের দাম হয়ত কিছুটা কষ্ট দিচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষকে। গাড়ি, বাইক ইত্যাদি চালানোর খরচ বাড়ছে, যদিও ফুয়েলের এই দামে ভারতবাসী বহুদিন যাবৎই অভ্যস্ত। সেই UPA সরকারের আমল থেকেই ফুয়েলের দাম এমনই। মোদির নেতৃত্বাধীন NDA সরকারের আমলে তেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি বড় জোর পাঁচ টাকা। বিরাট একটা কোনো বৃদ্ধি সেটা নয়। যে দ্রব্যগুলি প্রতিটি সাধারণ মানুষের জীবনধারণের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়, যেমন খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ইত্যাদি, সেগুলির দাম এই সরকারের নীতির ফলে বিগত UPA সরকারের আমল থেকে বহু কমেছে। ফলে তেলের দাম বাস্তবে বিরাট একটা সমস্যা কিছু নয়।

তবে ফুয়েলের দামের এই বৃদ্ধির আসল কারণ হল একটি আন্তর্জাতিক রাজনীতি যার মধ্যে ভারতবর্ষ এই মুহূর্তে পরোক্ষে যতটুকু অংশগ্রহন করছে, ততটুকু অংশগ্রহন করে অপেক্ষা করা ও কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তপোক্ত করে রাখা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই।

এই অয়েল প্রাইস বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ঝগড়ায় পরিণত হয়েছে। অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো ও আমেরিকা এই ঝগড়ায় পরস্পরের প্রতি যুযুধান। অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো তেলের দাম বাড়াচ্ছে, আর আমেরিকা সেই বর্ধিত দাম দিতে চায় না। বাস্তব হল আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওঠাপড়ায় আমেরিকা এতদিন affected হত না। বড়দা আমেরিকাকে আমেরিকার নির্দিষ্ট দামেই তেল বিক্রি করতে হত অয়েল প্রোডিউসিং কান্ট্রিগুলোকে। কিন্তু তাদের মাটির নীচের তেলের ভাণ্ডার এখন আস্তে আস্তে ফুরিয়ে আসছে। ফলে তারা এখন নিজেদের লভ্যাংশ বাড়াতে চায় এবং তার ফলে সমস্ত ক্রেতার জন্যই তেলের দাম বাড়াতে চায় তারা। তাতে আমেরিকার আপত্তি। তাই আমেরিকাও ক্ষেপে গিয়ে তাদের ব্যবসা বানচাল করতে চাইছে। আমেরিকা যে শুধু নিজে ওদের থেকে তেল কিনবে না বলছে তাই নয় আমেরিকা চাইছে যে আমেরিকার সহযোগী দেশগুলিও ওদের থেকে, বিশেষতঃ ইরাণের থেকে, ওদের বর্ধিত দামে তেল না কিনুক।


তবে মুশকিল হল, আমেরিকা ইরাণের থেকে তেল কিনতে বারণ করছে ঠিকই, কিন্তু কোনো alternative option নিজে থেকে এখনও পর্যন্ত অফার করে নি। অথচ তেল এমন একটি উপাদান, যা ভারতবর্ষ আমদানি করেই নিজেদের আভ্যন্তরীন চাহিদা মেটায়। ফলে আমেরিকার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে ইরাণের থেকে তেল কেনা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ তাতে ভারতের বাজারে তেলের জোগানেই টান পড়ে যাবে। আবার আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত এই মুহূর্তে ভারতের যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে আমেরিকার ইচ্ছাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করাও ভারতের পক্ষে সম্ভব না, উচিতও না। তাই ভারতবর্ষ নিয়েছে একটি মধ্যপন্থা। কি সেটা? আসুন বিষয়টাকে একদম সহজ করে দেখি। আসল বিষয়টা যদিও এতটা সহজ নয়, কিন্তু সকলের বোঝার সুবিধার জন্য বিষয়টাকে খানিক অতি সরলীকৃত করেই বোঝার চেষ্টা করব আমরা।

ভারত আমেরিকার নির্দেশ মানছে আবার পুরোপুরি মানছেও না। ভারত ইরাণের থেকে এবং অন্যান্য অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো থেকে তেল কিনছে ঠিকই, কিন্তু ওদের অতিরিক্ত লাভের খাঁইকে মেটাচ্ছে না।

কিভাবে? আসুন দেখা যাক।

আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল যেহেতু কিনতে হয় ইউ এস ডলারে, ফলে অন্যান্য দেশগুলি, যাদের নিজস্ব কারেন্সি বিশ্বের বাজারে fully convertible নয়, যেমন ভারত, তারা তাদের নিজেদের সুবিধার্থে এবং বর্ধিত দামে তেল বেচে অয়েল প্রোডিউসিং কান্ট্রিগুলো যাতে অতিরিক্ত লাভ করতে না পারে, সেই জন্য নিজেদের  কারেন্সিকে de-value করে দিয়েছে। তার ফলেই টাকার মূল্যে বাড়ছে ডলার প্রাইস। ডলার প্রাইসের এই বৃদ্ধি সম্পূর্ণ ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং ইচ্ছাকৃত। কেন? কারণ তার ফলে তেল কিনবার খাতে খরচা বাড়ছে এবং তার ফলে তেল কেনার পরিমানটাই যাচ্ছে কমে। অর্থাৎ ডলারের দাম ভারত বাড়িয়ে দেওয়াতে দেশের ভিতরে ফসিল ফুয়েলের যথেচ্ছ ব্যবহারে রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে। ফলে অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো এই তালে ব্যবসার অ্যাবসলিউট ভ্যালু এবং লাভের অঙ্ক যতটা বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল, ততটা বাড়াতে পারছে না। কারণ ডলারের তুলনায় নিজেদের কারেন্সির অবমূল্যায়ন করে ভারত নিজেদের তেলের আমদানির পরিমাণই কম করতে চাইছে।



অর্থাৎ এ হল এক আন্তর্জাতিক প্রাইস ওয়ার এবং ডিমাণ্ড-সাপ্লাই ওয়ার যাতে ভারতবর্ষের উচিত মাথা ঠাণ্ডা রেখে, বুদ্ধি করে চলা। অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো চাইছে তেলের দাম বাড়িয়ে তাদের ক্লায়েন্ট দেশগুলিকে exploit করে তাদের থেকে বেশি টাকা শুষে নিতে, আর তার কূটনৈতিক জবাবে ভারত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে অয়েলের ইমপোর্টের পরিমাণই কমিয়ে অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোর নেট ব্যবসার অ্যাবসলিউট ভ্যালুই কমিয়ে দিয়েছে।


ভারতবর্ষ আমেরিকা নয়। তাই কথায় কথায় হুঙ্কার ছাড়তে পারে না। কিন্তু ভারতবর্ষ ভারতবর্ষ। তার শক্তি কম নয়। উপরন্তু ভারতবর্ষ বিশ্বাস করে যে there's nothing so strong as real gentleness & there's nothing so gentle as real strength. তাই অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোর এই অতিরিক্ত লাভের খাঁইয়ের gentle yet strong প্রতিবাদে US ডলারের নিরিখে টাকার সাময়িক অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে দিয়েছে ভারত। এ প্রকৃতপক্ষে ভারতের দিক থেকে একটি স্ট্র্যাটেজিক পদক্ষেপ। তাতে সাময়িকভাবে ভারতের বিরাট কোনো ক্ষতি নেই।

আবার ভারত যে শুধু অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোর থেকে আমদানি কমিয়ে দিয়ে তাদেরকে বিরক্ত করছে আর আমেরিকাকে খুশী করছে, তা-ও কিন্তু নয়। ভারতের সঙ্গে ইরাণের অর্থনৈতিক, বিশেষতঃ তেল-অর্থনৈতিক সম্পর্কও একটা ভবিষ্যৎমুখী ব্যবসায়িক বোঝাপড়ার ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে বোঝাপড়াও নষ্ট করা চলে না। কিভাবে এবং কেন? আগেই বলেছি, ভারত তেল আমদানি করে। কিন্তু তার কারণ এই নয় যে ভারতের নিজের তেল নেই। ভারতেরও সমৃদ্ধ পেট্রোলিয়াম ভাণ্ডার আছে, কিন্তু ভারত সেই তেল ব্যবহার করতেও চায় না, আবার আরব দেশগুলোর মত তেল বিক্রি করে বড়লোক হতেও চায় না। সেটা ভারতের পন্থা নয়। ভারত তার নিজস্ব পেট্রোলিয়াম ভাণ্ডার ধরে রাখতে চায়। ঠিক একইভাবে আমেরিকাও নিজেদের তেলের ভাণ্ডার ধরে রাখতে চায়। যাতে ভবিষ্যতে আরবদেশগুলি যখন তেলশূন্য হবে তখন যাতে তাদের নিজেদের তেলের  ভাণ্ডার অক্ষত থাকে। সেই কারণে আমেরিকাও নিজেদের তেলের ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো থেকে তেল আমদানি করে।


কিন্তু, on the other hand, অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো থেকে নিজেদের আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিলেও ভারত কিন্তু চায় অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো তাদের তেল বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাক। কেন? কারণ ভারত চায় জমা তেল বিক্রি করে তারা তাদের জমা তেল ফুরিয়ে ফেলুক। কারণ তেলই তাদের একমাত্র প্রধান সম্পদ। তেল ফুরোলেই বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাস ছড়ানোর নিয়ন্ত্রক হিসেবে আরবদুনিয়ার মুঠি আলগা হবে।


এবার ভারতের যথার্থ উপলব্ধি হল তাদের মাটির নীচের তেল যদি যথাশীঘ্র সম্ভব ফুরিয়ে ফেলতে হয়, তাহলে তারা যাতে তাদের সমস্ত ক্লায়েন্ট দেশগুলিতে ফুয়েল সাপ্লাই নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে ভারতের উচিত প্রয়োজনে তাদেরকে সাহায্য করা। সেই জন্য প্রয়োজনে ভারত আরব দেশগুলিকে কিছু কিছু তেল সাপ্লাইও করে।


ভেবে দেখুন, ভারত নিজে কিন্তু সরাসরি অয়েল কনজিউমার দেশগুলির কাছে ফুয়েল সাপ্লাই করে না। ভারত অপেক্ষাকৃত কম দামে অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোকে কিছু কিছু ফুয়েল সাপ্লাই করে যেটা অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলো বেশি দামে তাদের ক্লায়েন্ট দেশগুলির কাছে বিক্রি করে।


হয়ত ভাবছেন এতে ভারতের কি লাভ? লাভ আছে। এই সাহায্য করার বিনিময়ে ভারত অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোকে কিছু কিছু টার্ম ডিক্টেট করে। যেমন ইরাণের চাবাহার বন্দর। যেমন ইরাণের সঙ্গে মোদি-নেতৃত্বাধীন ভারতসরকারের চুক্তি হয়েছে যে ইরাণ অয়েল রিফাইনারি বানাবে ভারতবর্ষে। সেই রিফাইনারি ভারতের কাজে লাগবে, ভারতের প্রয়োজনীয় ক্রুড অয়েল প্রায় নিখরচায় পরিশোধিত হবে, ভারতের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে, ভারতে কর্মসংস্থান হবে, আবার ইরাণ সেই রিফাইনারিতে অন্যান্য দেশে সাপ্লাইয়ের জন্যও ক্রুড অয়েল পরিশোধন করতে পারবে।


অর্থাৎ নিজেদের ব্যবসার প্রয়োজনে এইভাবে তারা নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ও পড়বে ভারতের উপর। এইভাবে অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোকে সামান্য কিছু কিছু সাহায্য করে মোদির ভারতবর্ষ ক্রমশঃ এই মুসলিম দুনিয়াকে নিজেদের উপর নির্ভরশীল করে ফেলবার নীতি নিয়ে নিয়েছে। আরবনিয়ন্ত্রিত মুসলিম দুনিয়া ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের আগ্রাসন চালাতে চায়। মোদির ভারত ঘুরিয়ে তাদের টিকির একটা বড় অংশ নিজেদের মুঠোর মধ্যে নিয়ে এসে তাদের আগ্রাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার পলিসি নিয়েছে। গত চার বছরে নরেন্দ্র মোদীর বিদেশযাত্রার তথ্য যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে মোদী তাঁর বিদেশ ভ্রমণের একটা বিরাট অংশ ব্যয় করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে।

সেই কারণেই একটা উল্টো সাংস্কৃতিক প্রভাব নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত বিস্তার করার চেষ্টা করেছে আরবে। সেই কারণেই আমরা দেখেছি যে আরবে মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে, আরবের শেখ রামায়ণ মাথায় নিয়ে হেঁটে আসছেন। এ হল পুরো ইসলাম দুনিয়াকে মোদির তরফ থেকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যে দেখো, তোমাদের বাপদাদারা  আমাদের সংস্কৃতি গ্রহন করছেন। এ হল মোদি-ম্যাজিক যার ফলে গোটা পৃথিবীর মুসলিমদের দৃষ্টিতে তাদের আরবীয় প্রভুদের গরিমা কিছুটা হলেও বোধ হয় ক্ষুন্ন হয়েছে। আরবদেশগুলিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমশঃ নিজের উপর নির্ভরশীল করে তুলে, তাদেরকে সাহায্য করার বদলে একটু একটু করে তাদেরকে টার্ম ডিক্টেট করছে মোদির ভারত যাতে ভারতবর্ষেরও লাভ আবার মুসলিম দুনিয়ারও লাভ। আর মুসলিম দুনিয়া যাদের উপর নির্ভরশীল তাদের উপরেই ধর্মীয় আগ্রাসনের থাবা বিস্তার করতে গেলে তারা যে মুশকিলে পড়বে, সে-ই স্বাভাবিক নয় কি?

এবার মনে করার চেষ্টা করুন দেখি, যেদিন আবু ধাবিতে মোদি মন্দির উদ্বোধন করছেন, সেদিন কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান হামলা করার চেষ্টা করেছিল। অর্থাৎ মোদি-নীতি তাদেরকে কতখানি চিড়বিড়িয়ে তুলছে তা বুঝতে খুব বেশি ভাবতে হয় কি?

ফলে এই মুহুর্তে ভারতের উচিত আন্তর্জাতিক বাজারের এই প্রাইস ওয়ারে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কূটনৈতিক সম্পর্কগুলিকে শক্তপোক্ত করে চলা। সুখের বিষয় হল ভারত করছেও তাই। ইউ এস এ র সঙ্গে সম্পর্ক ও বোঝাপড়া শক্তিশালী করার পর ভারত এবার এগোচ্ছে রাশিয়ার দিকে।

https://m.economictimes.com/news/politics-and-nation/after-us-focus-on-russia-as-swaraj-heads-to-moscow/amp_articleshow/65747675.cms?__twitter_impression=true

"Significant deals in defence, nuclear energy and energy are expected to be concluded at this meeting between Prime Minister Narendra Modi and President Vladimir Putin."

অর্থাৎ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক  সম্পর্কে নিজের পায়ের তলার জমিকে শক্ত করে নিতে ভারত কোনো ভুল করছে না। আন্তর্জাতিক বাজারেই তেলের দাম অদূর ভবিষ্যতেই পড়বে এবং তখনই তেল খানিক সস্তা হবে। সুতরাং অযথা তেলের দাম নিয়ে বাজার গরম করা নিরর্থক।

তাছাড়া দেশের বাজারে তেলের দাম কিছু বেশি হলেও সেই টাকা দেশের বাজারেই থাকছে। দেশবাসীরই একজনের পকেট থেকে আর একজনের পকেটে যাচ্ছে। আবার তার পকেট থেকে বেরিয়ে আর একজনের পকেটে ঢুকছে। সে টাকা দেশের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে না। Closed economy র মধ্যে থাকছে। দেশের তাতে সামগ্রিকভাবে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু ভারতসরকার যদি জোর করে তেলের দাম কমিয়ে দেয়, তবে তেলের আমদানি বাড়বে অর্থাৎ দেশের টাকা চলে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির হাতে যারা তেলের দাম বাড়িয়ে নিজেদের মুনাফা বাড়াতে চাইছে। কংগ্রেস চাইছে সেটাই হোক কারণ কংগ্রেস চায় ভারতের অর্থনীতি দুর্বল হোক আর মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলি ধনী হোক যাতে প্রয়োজনে দেশকে তাদের কাছে বেচে দিয়ে গান্ধী পরিবার পয়সা লুটতে পারে। আর এই কাজে তাদের চিরকালীন দালাল হল কমিউনিস্টরা। কমিউনিস্টরা চিরকাল দালালি খেয়ে এসেছে, এখনও দালালের ভূমিকাই religiously পালন করে যাচ্ছে।

তেল রাজনীতিটা মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতসরকার এত দুর্দান্তভাবে handle করায় কংগ্রেস ও তাদের সহযোগী দলগুলি চিড়বিড় করছে! কারণ যে ২ লক্ষ কোটি ডলারের ধার কংগ্রেস রেখে গিয়েছিল মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতসরকারের জন্য, কংগ্রেস ভাবতে পারে নি যে NDA সরকার সেই ধার শোধ করে ফেলবে। বরং কংগ্রেস ভেবেছিল সেই ধার টাকা দিয়ে শোধ দিতে না পেরে ভারত অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং কান্ট্রিগুলোকে নিজেদের তেলের ভাণ্ডার থেকে তেল সাপ্লাই করতে বাধ্য হবে।


অর্থাৎ কংগ্রেস চেয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলির কাছে ভারতবর্ষ চিরকাল তেলের দায়ে বাঁধা পড়ে থাকুক। টাকা দিয়ে না হোক্ দেশের তৈলসম্পদ দিয়ে ভারত সেই দায় মেটাক। তার ফলে দেশ দুর্বল থাকবে এবং দুর্বল দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রয়োজনে বেচে দিতে সুবিধে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, বেচতে হলে যে ক্রেতার প্রয়োজন, সেই ক্রেতা হবে কে? ইউরোপের দেশগুলির অবস্থা শোচনীয়। ব্রিটেন বেরিয়ে গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। ইটালি এই মুহূর্তে বিশ্বের পাঁচটি সবচেয়ে বেশি ধারে ডুবে থাকা দেশগুলোর অন্যতম। ইটালি প্র্যাকটিক্যালি ভিখিরি হয়ে গিয়েছে। ভারত থেকে পাঠানো টাকাতেই বোধ করি বহুকাল সংসার চলছিল ইটালির। এখন পড়েছে মহা আতান্তরে। ইটালির মেয়ে ও মেয়ের ঘরের নাতি দুজনের অবস্থাই এখন টালমাটাল। তার উপর আবার আরব দেশগুলির তেলের ভাণ্ডার ফুরিয়ে ফেলে তাদেরকেও যদি এভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয় এবং ভারতবর্ষ যদি তার প্রাকৃতিক তেলের ভাণ্ডার অক্ষত রেখেও নিজের সব ধারদেনা শোধ করে এমন মহা সবল হয়ে ওঠে, উপরন্তু আরব দেশগুলিকেও নিজের উপর নির্ভরশীল করে তোলে, তবে তো সেই দেশকে dominate করার সামর্থ্য এই সব দেশগুলোর কারুরই থাকা সম্ভব নয়।


অধমর্ণ কখনও ক্রেতা হতে পারে কি?

আর সেইখানেই অসুবিধা হচ্ছে কংগ্রেসের। দেশ বেচার উৎসাহ কংগ্রেসের চিরকালীন কারণ কংগ্রেস দেশ বেচলে দেশের সম্পদ বেচার আর্থিক লাভ দেশের অ্যাকাউন্টে ঢোকে না। ঢোকে গান্ধীদের পারিবারিক অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ দেশ বেচে নিজেরা বড়লোক হওয়ার আশা যাতে চিরকালের জন্য নিভে না যায়, তার জন্যই এসব করে লোকক্ষেপাতে চাইছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা।


এ বিষয়ে দালালি করছে কম্যুনিস্টরা কারণ ওরা চিরকালের দালাল। আর পায়ের তলা থেকে জমি ক্রমশঃ সরে যাচ্ছে দেখেই আন্তর্জাতিক দালাল আরবান নক্সালদেরও কাজে লাগাতে চাইছে দেশদ্রোহী ব্রিগেড। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিরতরে সরিয়ে দিতেও পিছপা নয় তারা।

আর ঠিক এই কারণেই অমিত শাহ বলেছেন যে ২০১৯ এ বিজেপি জিতবে এবং তার পর আগামী ৫০ বছরে কেউ সরাতে পারবে না বিজেপিকে। অমিত শাহের মত লোক না ভেবে কোনো কথা বলার লোক নন। যে গ্রাউণ্ডওয়ার্ক বিজেপি নীরবে করে চলেছে তার সুফল দেশ এমনভাবেই পাবে যে কেউ বিজেপির বাইরে কিছু ভাবতেই পারবে না।


তেলের দাম নিয়ে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা যে মিথ্যেই বাজার গরম করছেন তার আর একটি বড় প্রমাণ হল এই যে ভারতবর্ষ যে ফসিল ফুয়েলের বিকল্প হিসাবে শক্তির অন্যান্য নানা উৎসকে explore করছে এবং সেই মত infra ও তৈরি করে চলেছে, তা নিয়ে কেউ টুঁ শব্দটিও করছেন না। তা একটু আশ্চর্য বৈ কি! এটা বুঝে নেওয়া ভালো যে কোনো দেশেরই তেলের ভাণ্ডার মোটেই অফুরন্ত নয়। তা ফুরোচ্ছে এবং এই মুহূর্তেই বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা জোগানের চাইতে বেশি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অয়েল প্রোডিউসিং ও এক্সপোর্টিং দেশগুলো তেলের দাম যে দিনে দিনে বাড়াবেই তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। তাই সব দেশকেই করতে হচ্ছে বিকল্প ক্লীন শক্তির সন্ধান। ভারতবর্ষও করছে। নিজের ফসিল ফুয়েলের ভাণ্ডারকে back up system হিসেবে intact রেখেই করছে। সেই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি হিসেবে আগামী দশকেই হয়ত ভারতবর্ষের রাস্তায় প্রচুর সংখ্যায় দেখা যাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। প্রতিটি পেট্রল পাম্পকে গাড়ির ব্যাটারীর চার্জিং স্টেশনে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাছাড়া ভারতসরকারের পেট্রোলিয়াম মিনিস্ট্রি মিউনিসিপ্যাল  ওয়েস্ট প্রডাক্টস এবং ভেষজ উৎস থেকে ইথাইল অ্যালকোহল তৈরি করার জন্য প্রাথমিক ভাবে ৫ টি প্ল্যান্ট তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে যা থেকে ডিজেল উৎপাদিত হবে লিটারপ্রতি ৫০ টাকায় এবং পেট্রলের বিকল্প তৈরি হবে লিটারপ্রতি ৫৫ টাকায়।

Ref: https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=332119444021143&id=100016692693608

পৃথিবীর ফসিল ফুয়েলের ভাণ্ডার যেহেতু ফুরোবেই, ফলে প্রতিটি দেশই শক্তির বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে এবং সেই মত কাজ করছে। আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। তাই বন্ধ পালন না করে কংগ্রেস যদি বিকল্প শক্তির জোগানের আরও সুলভ বন্দোবস্ত তারা থাকলে কিভাবে করতে পারত সেই বিষয় নিয়ে রাস্তায় নামত ও জনসংযোগ করার চেষ্টা করত, তবে সেই বিরোধিতাকে বলা যেত গঠনমূলক বিরোধিতা।

কিন্তু কংগ্রেস প্রমাণ করল, তারা সেই কলোনিয়াল, ছদ্মরাজতন্ত্রই যারা ভারতবর্ষকে কেবলই লুট করে যেতে চায়, ভারতবর্ষের প্রকৃত উন্নতি নিয়ে তারা আদৌ ভাবিত নয়।

সাধারণ ভারতবাসীর উচিত কংগ্রেসের এই তেল চিটচিটে নোংরা রাজনীতির ফাঁদে পা না দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা। তেলের দাম এমনিই খুব কিছু বাড়ে নি। আবারও এমনিই কমে যাবে। একজন সাধারণ মানুষ যথার্থই বলেছেন "পেট্রল ২০০ রুপেয়া লিটার ভি চলেগা, লেকিন কংগ্রেস
নহি চলেগা"! এই একই কথা আমারও।


Further updated on 5.10.2018👇👇

কংগ্রেস, কম্যুনিস্ট ও তার অন্যান্য সহযোগীদের আসল concern যে তেলের বর্ধিত মূল্য নয়, তা আরও নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হল  যখন দেশের কিছু কিছু জায়গায় পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৯০ টাকা ছোঁয়ার ফলে গতকাল, ৪ঠা অক্টোবর GOI পেট্রল ও ডিজেলের উপর excise duty লিটার প্রতি 1.50 টাকা কমালো ও অয়েল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানীগুলোকে লিটার প্রতি 1.00 টাকা কমানোর নির্দেশ দিল, তখনও কংগ্রেসী, অবিজেপি ও কম্যুনিস্ট ব্রিগেড সরকারের এই responsive gesture কে appreciate করতে পারল না দেখে।

ওঁরা বোধ হয় চাইছেন ফুয়েলের এক্সাইজ ডিউটি থেকে ভারতসরকার যে উপার্জন করে তা এত কমে যাক যে social welfare scheme গুলো suffer করতে শুরু করে এবং তাই নিয়ে ওঁরা সরকারকে দুষবার অপরাজনীতি শুরু করতে পারেন।

অথবা হয়ত চান পূর্ববর্তী UPA সরকারের মত NDA সরকারও ফুয়েলের পিছনে এত ধার করুক যাতে  দেশের এক্সচেকার ফোঁপরা হয়ে যায়। কেন? তা আগেই ব্যাখ্যা করেছি।

ভারতের অর্থনীতি পূর্বাপেক্ষা ভালো আছে বলেই কংগ্রেস ও কম্যুনিস্টরা বিরক্ত। অন্ততঃ আমার সেরকমই মনে হচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতি সত্যি সত্যি stable হোক্, এটা বিদেশী শক্তির প্রতিভূ, বিদেশী শক্তির চরেদের ভালো লাগার কথা নয়।

ব্লগটা পড়ে এই বিষয়টা নিশ্চয় স্পষ্ট হয়েছে যে তেলের দাম কেবল আমাদের দেশের সমস্যা নয়। বরং এটা একটা আন্তর্জাতিক জটিলতা। অন্যান্য দেশের মত  আমাদেরকেও তা honestly address করতে হবে বৈ কি! Crude oil এর দাম কমবে কি না, তা ভারতসরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। আর তেল যেহেতু ভারত আমদানি করে, ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি যদি তার দাম বাড়ায়, তবে সেই বর্ধিত দামের বোঝা দেশের মানুষকে হয় বইতে হবে, নয়ত তেলের চাহিদা কমাতে হবে। মানুষকে দামে ছাড় দিতে গিয়ে সরকার যদি গরীব হয়ে যায় বা দেনার দায়ে ডুবে যায়, তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী individuallyও গরীবই হয়ে যাবে। সরকারি এক্সচেকারের স্বাস্থ্য ভালো না করে ব্যক্তি মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো করার নামই হল চুরি। সেই চুরি-সংস্কৃতিই এতদিন দেশে চালু রেখেছিল গান্ধীপরিবারঅধ্যুষিত কংগ্রেস। কিন্তু প্রকৃত মানসিক স্বাধীনতা যদি আমাদের অর্জন করতে হয়, তবে ব্যক্তিস্বার্থকে দেশের স্বার্থের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা অভ্যেস করতে হবে। ইন ফ্যাক্ট, crude oil এর চাহিদা যদি বিশ্বব্যাপী কমে, তবে অয়েল প্রোডিউসিং দেশগুলোও crude oil এর দাম কমাতে বাধ্য হবে। তাই দেশের বাজারে তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি তেলের চাহিদা কমানোর উপরেও জোর দেওয়া প্রয়োজন। তাতে তেল কেনার খাতে সরকারের খরচও কমবে, পরিবেশও বাঁচবে।


Again updated on 5.11.2018👇👇


https://www.ndtv.com/business/petrol-diesel-prices-cheaper-fuel-rates-november-4-cut-by-over-4-rupees-per-litre-1942618

১৭ই অক্টোবরের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়তে শুরু করে এবং সেই সঙ্গে আমাদের এখানেও। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় টাকার মূল্যে ইউ এস ডলারের দামও কমতে থাকে। কিন্তু তেলের দাম বাড়া বা ইউ এস ডলারের মহার্ঘ্য হয়ে ওঠা যেমন 'খবর' হয়েছিল, তেলের দাম পড়া বা ডলারের দাম কমা কিন্তু তেমন কোনো sensational খবর হল না। অথচ আসলে বিষয়টি যথেষ্ট sensational.

https://timesofindia.indiatimes.com/business/india-business/petrol-diesel-prices-continue-to-dip-on-softer-crude/articleshow/66487004.cms

অর্থাৎ এই ব্লগে যে আগেই উল্লেখ করেছিলাম যে আন্তর্জাতিক বাজারেই তেলের দাম অদূর ভবিষ্যতেই পড়বে এবং তখনই তেল খানিক সস্তা হবে, সুতরাং অযথা তেলের দাম নিয়ে বাজার গরম করা নিরর্থক, তা সত্যি বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

আমেরিকা ইরাণের তেলব্যবসাকে choke করতে চায় কারণ তেলব্যবসাই ইরাণের প্রধান revenue earner এবং আমেরিকা মূলতঃ চায় ইরাণের টেররিজম ব্যবসার ডানা ছাঁটতে। সেই উদ্দেশ্যেই আমেরিকা চায় ইরাণের ব্যবসা বন্ধ করে ইরাণকে অর্থনৈতিক চাপে ফেলতে যাতে ইরাণের হাতে টেরর প্রোমোট করার fund কমে এবং সেই চাপে নিউক্লিয়ার এনার্জি চুক্তি renewal এর জন্য ইরাণ আবার নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে উদ্যোগী হয়।

এই উদ্দেশ্যেই আমেরিকা তার সহযোগী সমস্ত দেশের উপর ইরাণের থেকে তেল কেনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৮ থেকে ইরাণের থেকে তেল কিনতে গেলে আমেরিকার যে কোনো সহযোগী দেশের আমেরিকার অনুমোদন প্রয়োজন হবে। আমেরিকার কোনো সহযোগী দেশ আমেরিকার অনুমোদন ছাড়া ইরাণের থেকে তেল কিনলে সেই দেশ আমেরিকার অর্থব্যবস্থার সহযোগ থেকে বিযুক্ত হতে পারে।

তবে কোনো দেশ আমেরিকার অনুমোদন সাপেক্ষে নির্দিষ্ট time period এর জন্য ইরাণের থেকে তেল কিনতেই পারে। যেমন ভারত পেতে চলেছে আমেরিকার sanction waiver. আগামী মার্চ পর্যন্ত ভারত মাসে ১.২৫ মিলিয়ন টন করে তেল ইরাণের থেকে কিনতে পারবে। যে পরিমাণ তেল ভারত ইরাণের থেকে কিনত এই পরিমাণ তার এক-তৃতীয়াংশ কম। ইরাণের থেকে তেল আমদানি significantly কমানোর শর্তেই ভারত ইরাণের থেকে তেল আমদানির জন্য আমেরিকার অনুমোদন পেতে চলেছে।

সঙ্গের নিউজ লিঙ্কগুলি পড়লেই বোঝা যাবে যে ভারতবর্ষ আমেরিকাকে আশ্বস্ত করেছে যে ভারতের কাছে তেল বিক্রির পয়সা ইরাণ সন্ত্রাসব্যবসায় বিনিয়োগ করবে না।

https://m.economictimes.com/industry/energy/oil-gas/us-agrees-to-grant-india-waiver-from-iran-sanctions/articleshow/66454042.cms

 https://m.economictimes.com/industry/energy/oil-gas/india-to-continue-iranian-oil-imports-post-us-sanctions/articleshow/66088584.cms

একটু তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রটিতে কতখানি crucially strategic position hold করছে ভারত।

ইরাণ তার টাকা সন্ত্রাসব্যবসায় ব্যবহার করবে কি করবে না সে বিষয়ে ভারত দায়িত্ব নিয়ে আমেরিকাকে commit করছে কি করে? করতে পারছে কারণ ইতিমধ্যেই ভারত অর্থনৈতিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে ইরাণকে বহুলাংশে তার নিজের উপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। খাদ্যশস্য, ওষুধের মত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য ইরাণ ভারতের উপর নির্ভরশীল। এই দ্বিমুখী কৌশলগত রাজনীতি তখনই করা যায় যখন কোনো দেশ তার আভ্যন্তরীণ জাতীয় স্বার্থের বিষয়টিতে uncompromisingly honest থাকে। মোদী'র কূটনীতি ও বিদেশনীতি সেই straightforwardness এ ঋদ্ধ।

ইউ এস ডলার ব্যবহার না করেও যাতে ইরাণের থেকে তেল কিনে ইরাণকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তার জন্য ভারত ভারতীয় মুদ্রায় ইরাণের থেকে তেল কিনতে চলেছে। কোনো দেশকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা অন্য যে দেশের থাকে, তাকে মারবার ক্ষমতাও সেই দেশের হাতেই থাকে। ভারত ঠিক এই ভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক দেশগুলির উপর ইতিবাচক, সহযোগিতাপূর্ণ কিন্তু টার্ম ডিক্টেটিং নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। Nicely, softly but firmly.

আবার আমেরিকাকেও ভারত জানিয়েছে যে ভারত ইরাণের থেকে তেল কেনে কারণ ইরাণের তেল দামে সস্তা। সুবিধাজনক টার্মে পেলে ভারত আমেরিকার থেকেও তেল কিনবে। অর্থাৎ আমেরিকা জানে যে আমেরিকার জন্যও ভারত সবসময়েই একটি potential buyer বা prospect. ফলে এ বিষয়ে ভারতকে খুব বেশি ডমিনেট করতে আমেরিকাও কখনওই যাবে না। ভারতের বাজার আমেরিকার জন্যও প্রবল লোভনীয়।

অর্থাৎ ভারত এক্ষেত্রে দু দিক থেকেই win-win position এ। সেই strength নিয়ে আন্তর্জাতিক টেরর ব্যবসার মোকাবিলায় ভারত ও আমেরিকা পরস্পরের সহযোগী। In this regard, they are strategically partnering each other. আমেরিকার আছে অপরিসীম শক্তি ও সম্পদ, আর ভারতের আছে বিপুল সম্পদ ও সুবিশাল বাজারের শক্তি।

বস্তুত, তেল রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে সন্ত্রাসের রাজনীতি। সেই জন্যই কংগ্রেস ও তার সমস্ত সহযোগী দলগুলি চেয়েছিল যে ভর্তুকি দিয়ে দেশে তেলের দাম কমানো হোক যাতে তেলের চাহিদা বাড়ে, ফলে আমদানি বাড়ে ও তার দ্বারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির হাতে বেশি টাকা চলে যায় যাতে তারা সেই টাকা উপমহাদেশের মধ্যে সন্ত্রাসব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারে।

দেশের মধ্যে প্রতিটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্ভবতঃ কংগ্রেসী ডাইন্যাস্টদের জন্য অর্থকরীভাবে লাভজনক। তাই এদেশে টেরর অ্যাটাক হলে কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের সুবিধা হয়।

এ ব্যাপারে মনে রাখা দরকার যে এদেশে টেরর ব্যবসার মুখ পাকিস্তান হলেও, টেরর ব্যবসায় মূল বিনিয়োগকারী কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিই। তাই পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকে তাদের নিজের নিজের দুর্বলতা অনুযায়ী successfully divide n rule করছে মোদীর ভারত।

এমন কূটনীতি certain amount of honesty & straightforwardness ছাড়া সম্ভব নয়। মোদী'জীর বিদেশযাত্রার schedule follow করলে স্পষ্ট দেখা যাবে মোদী'জী একটা লম্বা সময় ব্যয় করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে আর মনমোহন সিং তাঁর tenure এ সেখানে পদার্পণও করেন নি। কেন? প্রশ্নটা কিন্তু জাগেই। মোদী ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বজুড়ে। অনেক কম গিয়েছেন ইউরোপ, আমেরিকা। আর মনমোহন সিং গিয়েছেন মূলতঃ ইউরোপ, আমেরিকায়ই। তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য দুই প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রার schedule এর। এবং অবশ্যই মোদী'জীর schedule টিই unbiased, মনমোহন সিং এরটি biased towards the developed countries.
 
সৌদি আরবে মোদী'জী নিয়েছেন আর একটি মোক্ষম পদক্ষেপ। সেখানেও promote করেছেন শ্রীমদ্ভাগবতগীতা। খবরে প্রকাশ যে সেখানে বেড়েই চলেছে গীতার প্রসার ও বিক্রয়।

https://modi.site/2018/05/31/%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%9f%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a8/

ইসলামিক দুনিয়ার মনোভূমিতে হিন্দুদর্শনতত্ত্ব গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করার মাধ্যমে অনেক কিছু করেছেন মোদী'জী। খুলে বলার বোধ হয় প্রয়োজন নেই।

তেল-রাজনীতির আয়নায় যেহেতু চকচক করে উঠছে অনেক প্রতিচ্ছব্বিই, তাই প্রয়োজনে এই ব্লগ আপডেট করব পরে আবার।


আজ ৮ই নভেম্বর USA moves to grant waiver to India on Chabahar Port and rail link to Afghan border অর্থাৎ ইরাণে চাবাহার বন্দর তৈরি ও আফগানিস্তান বর্ডার পর্যন্ত রেল লাইন তৈরির যে কাজ ভারত করছে, তা আমেরিকার আপত্তিতে থেমে যাবে না। আমেরিকাও এতে অনুমোদন দিয়েছে। আমেরিকা অনুমোদন না দিলেও অবশ্য ভারতের সঙ্গে এশিয়া-প্যাসিফিকের সংযোগসাধনকারী এই পরিকাঠামো তৈরির কাজ যাতে চালিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে সম্ভাব্য সমস্ত বিষয়ে ইরাণ ও আফগানিস্তান ও নিজেদের মধ্যে ক্রমাগত ত্রিপাক্ষিক আলোচনা ও প্রয়াস জারি রেখেছিল ভারত। আপাততঃ আমেরিকাও ভারতের এই পরিকাঠামো তৈরির উদ্যোগকে মানবিক সাধুবাদ জানিয়ে কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায়ই অনুমোদন দিয়েছে। (নিউজ লিঙ্ক নীচে)
https://m.economictimes.com/news/international/world-news/us-exempts-india-from-certain-sanctions-for-chabahar-port-in-iran/articleshow/66533611.cms





Comments

  1. খুব সুন্দর। চমৎকার বিশ্লেষণ

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

রথযাত্রা: কুমুদরঞ্জন মল্লিক

কোভিশিল্ড কাহিনী

নব্য কথামালা: শেয়াল ও সারসের গল্প

SSC চাকরি বাতিল: যোগ্য - অযোগ্য বিভাজন আদৌ সম্ভব?