পশ্চিমবঙ্গ: নাবালিকা মা, বাল্যবিবাহ ও demographic Islamization

নাবালিকা মায়ের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশঃ বাড়ছে। এ নিয়ে পরপর কয়েকটি তথ্য দেব এবং তথ্যগুলি কে পরপর সাজিয়ে correlate করব। একটা চিত্র চোখের ওপর ফুটে উঠবে স্পষ্ট। স্পষ্ট বোঝা যাবে পশ্চিমবঙ্গের ডেমোগ্রাফি কি দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। স্ট্যাটিসটিকাল তথ্য ও আরো কিছু খবর একত্রিত করলেই চোখের সামনে যে চিত্র ফুটে উঠবে তা বোধ করি রাজ্যের ডেমোগ্রাফিক ইসলামাইজেশনের চিত্র। কেন বলছি? দেখা যাক্।

প্রথমে নজর করা যাক্ ২০১১ র সেন্সাস ডেটার কিছু অংশের দিকে। ফেসবুক লিংকটিতে পাবেন censusindia.gov.in এর তথ্যের (Statement 28 & Statement 29) ইমেজ যা কিনা এই বিষয়ে প্রাসঙ্গিক।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=365276770705410&id=100016692693608


Statement 29 এ দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের age specific marital fertility rate বা ASMFR সবচেয়ে বেশি ১৫- ১৯ বছরবয়স্ক বাচ্চা মেয়েদের মধ্যে।

Age specific marital fertility rate বা ASMFR কথার মানে কি?

সেন্সাস গণনা ও শ্রেণীবিভাগের সুবিধার্থে বিবাহিত মেয়েদের কয়েকটি age-range বা বয়ঃক্রমে ভাগ করা হয়। যেমন, ১৫-১৯, ২০-২৪, ২৫-২৯, ৩০-৩৪, ৩৫-৩৯, ৪০-৪৪, ৪৫-৪৯. কোনো একটি জায়গার একটি বিশেষ বয়ঃক্রমের সমস্ত বিবাহিত মেয়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট বছরে যতগুলি সন্তানের জন্ম দেয় তার উপর ভিত্তি করেই গণনা করা হয় সেই জায়গায় সেই বয়ঃক্রমের ASMFR.

অর্থাৎ কোনো একটি particular স্থানে একটি বিশেষ বয়ঃক্রমের, ধরুন ২০-২৪ বছরের বয়ঃক্রমের যত বিবাহিতা মেয়েরা আছেন, তাঁদের সকলে একটি নির্দিষ্ট বছরে যতগুলি সন্তানের জন্ম দেন, সেটাই হল সেই স্থানের সেই বয়ঃক্রমের মহিলাদের ASMFR.

এবার ফেসবুক লিংকের ছবিগুলির মধ্যে থেকে censusindia.gov.in এর data sheet এর Statement 29 এর ইমেজ টা refer করছি। Statement 29 এ আছে ২০১১র সেন্সাস অনুযায়ী ভারতবর্ষের এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের ASMFR এর data. এখানে ASMFR হিসেব করা হয়েছে প্রতি ১০০০ জন মহিলা পিছু। অর্থাৎ ২০১১ র ইণ্ডিয়ান সেন্সাস ডেটার ক্ষেত্রে ASMFR এর সংজ্ঞা হল ভারতের কোনো একটি particular স্থানে (তা গোটা ভারতবর্ষও হতে পারে বা ভারতবর্ষের কোনো রাজ্যও হতে পারে) একটি বিশেষ বয়ঃক্রমের, ধরুন ২০-২৪ বছরের বয়ঃক্রমের প্রতি ১০০০ বিবাহিতা মহিলা একটি নির্দিষ্ট বছরে যতগুলি সন্তানের জন্ম দেন, সেটাই হল ভারতবর্ষের সেই স্থানের সেই বয়ঃক্রমের মহিলাদের ASMFR.

আবার refer করব censusindia.gov.in এর data sheet এর Statement 29. দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের এবং গোটা ভারতবর্ষেরও ASMFR ডেটা সিরিজ।

এখানে দেখা যাচ্ছে, গোটা ভারতবর্ষে ASMFR সবচেয়ে বেশি ২০-২৪ বছর বয়সী মেয়েদের। অর্থাৎ গোটা ভারতবর্ষে ২০-২৪ বছর বয়সী যত বিবাহিত মহিলা আছেন তাঁরাই প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি সন্তানের জন্ম দেন। অন্যান্য বয়ঃক্রমের মহিলারা ফি বছর এই ২০-২৪ বয়ঃক্রমের মহিলাদের চেয়ে কম সংখ্যায় সন্তান জন্ম দেন। দেখা যাচ্ছে বয়স যত বাড়তে থাকে সন্তান জন্মের সংখ্যা কমতে থাকে।

অথচ গোটা ভারতবর্ষের তুলনায় যদি পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর করা যায় তবে দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেয় ১৫-১৯ বছর বয়সী বাচ্চা মেয়েরা। পশ্চিমবঙ্গের প্রতি ১০০০ জন ১৫-১৯ বছরের বাচ্চা মেয়ে সেন্সাসের বছরে জন্ম দিয়েছে ৩২০.৪ টি সন্তান যেখানে গোটা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা হল ২৭০.৪. গোটা ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেয় ২০-২৪ বছর বয়সী মহিলারা। গোটা ভারতবর্ষের প্রতি ১০০০ জন ২০-২৪ বছরের মহিলা সেন্সাসের বছরে জন্ম দিয়েছে ৩৩৪ টি সন্তান যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি হল ২২৯.১

অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের বাচ্চা মেয়েরাই অধিকাংশ সন্তানের জন্ম দেয়। আর গোটা ভারতবর্ষের নিরিখে যেটা proper reproductive age range অর্থাৎ ২০-২৪, পশ্চিমবঙ্গের সেই মহিলারা পশ্চিমবঙ্গের ১৫-১৯ বছরের বাচ্চা মেয়েদের চেয়ে সন্তান জন্ম দেন অনেক কম।

পশ্চিমবঙ্গের প্রতি ১০০০ মহিলা পিছু অল্পবয়সী মা আর সঠিক বয়সী মায়েদের জন্ম দেওয়া সন্তান সংখ্যার তফাৎ প্রায় ১০০. স্ট্যাটিসটিক্যালি এই তফাৎ অত্যন্ত বেশি।

এবার ভাবা যাক্ সমাজ ও ডেমোগ্রাফির ওপর ১৫-১৯ বছরের বয়ঃক্রমের মেয়েদের ASMFR বেশি হওয়ার আসল implication কি। ASMFR কি বোঝায়?

ASMFR বোঝায় প্রজন্মের দৈর্ঘ্য। অর্থাৎ? অর্থাৎ, ১৬ বছরের মেয়ের মা হওয়ার অর্থ হল ১৬ বছরের মধ্যে একটি প্রজন্ম কেটে যাওয়া এবং প্রতি ১৬ বছর অন্তর একটি নতুন প্রজন্ম আসা। This means generations would revamp at the rate of once in every sixteen years. আর একটু স্পষ্ট করে বললে ১৬ বছরের যে মেয়ের আজ সন্তান জন্মালো, ধরুন কন্যাসন্তান, আজ থেকে ১৬ বছর বাদে সেই সন্তানও আবার মা হবে। অর্থাৎ এইভাবে চলতে চলতে ১০০ বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের মধ্যে কেটে যাবে ১০০/১৬=৬(প্রায়)টি প্রজন্ম। সেই তুলনায় যে রাজ্যে ২০-২৪ বছরের বয়ঃক্রমের ASMFR বেশি, অর্থাৎ যে রাজ্যে ২২/২৩ বছরের মেয়েরাই অধিকাংশ সংখ্যায় মা হচ্ছেন, সেই রাজ্যে একইভাবে প্রজন্ম পরিবর্তন হবে প্রতি ২২/২৩ বছরে। অর্থাৎ ১০০ বছরে সেই রাজ্যে কাটবে ১০০/২৩ = ৪(প্রায়)টি প্রজন্ম।

একই সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কাটছে ৬ টি প্রজন্ম, আর গোটা ভারতবর্ষে কাটছে ৪টি প্রজন্ম। এর আসল implication কি?

আসল implication হল পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার বিষ্ফোরণ। কিভাবে?

যদি ধরে নিই যে ভারতবর্ষের ফার্টিলিটি রেট অর্থাৎ প্রতিটি প্রজননক্ষম মহিলাপিছু সন্তান সংখ্যা ২, তাহলে ১ম প্রজন্মের একজন মহিলা ২ টি সন্তানের জন্ম দেবে। ২য় প্রজন্মে এই দুই সন্তানের প্রতিটি সন্তান ২ টি করে সন্তান জন্ম দেবে। অর্থাৎ ২য় প্রজন্মে গিয়ে মোট সন্তান সংখ্যা দাঁড়াবে 2 to the power 2 = 4, অনুরূপভাবে তৃতীয় প্রজন্মে এই চারটি সন্তানের প্রতিটি সন্তান দুটি করে সন্তানের জন্ম দেবে, অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মে গিয়ে মোট সন্তান সংখ্যা দাঁড়াবে 2 to the power 3 = 8, চতুর্থ প্রজন্মে 2 to the power 4 = 16, অর্থাৎ প্রতিটি প্রজন্ম কাটবার সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা বাড়বে exponentially, গুণোত্তর হারে। Please kindly note যে এখানে আমি ধরে নিয়েছি যে সবজায়গায়, সবকটি প্রজন্মের সবকটি সন্তান কন্যা হবে। কিন্তু বাস্তবে যেহেতু তা হবে না, ফলে ultimate end population would be less everywhere. কিন্তু আসল বিষয়টা একই থাকছে।

তাতেই বা কি হল? সে তো গোটা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেই সত্যি।

কিন্তু ১০০ বছরে গোটা ভারতবর্ষে যখন কাটবে ৪ টি প্রজন্ম, ততদিনে পশ্চিমবঙ্গে কেটে গেছে ৬ টি প্রজন্ম। অর্থাৎ একজন প্রজননক্ষম মহিলার থেকে ভারতবর্ষে যে সময়ের মধ্যে জন্ম হবে 2 to the power 4 = 16টি বাচ্চার, সেই একই সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে জন্ম হবে 2 to the power 6 = 64টি বাচ্চার। কারণ পশ্চিমবঙ্গে ১৫-১৯ বয়ঃক্রমের ASMFR বেশি অর্থাৎ প্রজন্মের দৈর্ঘ্য কম, যার অর্থ হল জনসংখ্যার বিষ্ফোরণ। Please kindly note যে এখানে আমি ধরে নিয়েছি যে সবজায়গায়, সবকটি প্রজন্মের সবকটি সন্তান কন্যা হবে। কিন্তু বাস্তবে যেহেতু তা হবে না, ফলে ultimate end population would be less everywhere. কিন্তু আসল বিষয়টা একই থাকছে।

অর্থাৎ ভারতবর্ষের অন্যত্র জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যা হবে, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে তার চেয়ে significantly বেশি।

উপরোক্ত হিসাব আমি করেছি ২০১১র সেন্সাস ডেটার উপর। তারপর কেটে গেছে আরও প্রায় ৮ বছর। এই চিত্র নিশ্চিত ভাবে আরো বদলেছে। আজ যখন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্টেড হয়েছে (ফেসবুক লিংকে দেওয়া আছে খবরের কাগজের নিউজশটটি) যে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে বেশি, তার অর্থ সম্ভবতঃ এই যে এই মুহূর্তে ১৫-১৯ বয়ঃক্রমের ASMFR পশ্চিমবঙ্গে আরও বেড়েছে। তবেই তা strikingly নজরে পড়েছে।

অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে জনবিষ্ফোরণের বাস্তবচিত্র এই মুহূর্তে আরও অনেক বেশি ভয়াবহ।

অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে যে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বাড়ছে, তা কোন নতুন ঘটনা নয়। ২০১১ সেন্সাসেও যে তার indication ছিল, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আমিই দেখতে পাচ্ছি, অর্থাৎ statistician রা তো নিশ্চয়ই আরো বিস্তারিত ভাবে দেখেছেন বলে আশা করতে পারি! কিন্তু তার ফল কি হয়েছে? আসুন দেখা যাক।

গত ফেব্রুয়ারিতে ব্লগ করেছিলাম যে ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাল্যবিবাহে দেশের মধ্যে ১ নম্বরে পৌঁছেছে। এবং বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের মত রাজ্যে যেখানে বাল্যবিবাহ কমছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ বাল্যবিবাহে অন্য সমস্ত রাজ্যকে পেরিয়ে গিয়েছে। ব্লগ টাইটেল ছিল “'প্রগতিশীল পশ্চিমবঙ্গ' ও বাল্যবিবাহ” Given below please find the said blog link.

https://dbsdesk.blogspot.com/2018/02/blog-post.html

অর্থাৎ above-mentioned ব্লগে এই apprehension প্রকাশ করেছিলাম যে বাল্যবিবাহ বেশি হলে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। আজ দেখা যাচ্ছে সেই apprehension সত্যি হয়েছে। আজ সংবাদমাধ্যমও রিপোর্ট করেছে যে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে।

অর্থাৎ নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হল বাল্যবিবাহের বৃদ্ধি। এবং কোন্ জেলাগুলিতে? মূলতঃ মুসলমান অধ্যুষিত জেলা গুলিতে, যেমন মালদা। উপরোক্ত ব্লগে উল্লেখ করেছি যে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত survey তে দেখা গেছে ২০১৭ তেও বাল্যবিবাহে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। এবার দেখা যাক ২০১৮র চিত্র। পশ্চিমবঙ্গে বাল্যবিবাহের প্রবনতা কি কমছে নাকি বাড়ছে নাকি একই আছে। নীচের নিউজলিঙ্কটি দেখুন। লিঙ্কটি দ্য টেলিগ্রাফের এবং ২০১৮ র জুলাইয়ের। এই খবরও বলছে পশ্চিমবঙ্গ বাল্যবিবাহে এক নম্বরে। অর্থাৎ ২০১৭ র অক্টোবরের চিত্র ২০১৮র জুলাইয়েও পরিবর্তিত হয় নি।

https://m.telegraphindia.com/states/west-bengal/bengal-tops-list-of-child-marriages/cid/1420820

এবার refer করা যাক্ ICRW ও UNICEF এর একটি রিসার্চ পেপারের প্রাসঙ্গিক কিছু অংশের ইমেজ। (উপরে given ফেসবুক লিংকে আছে এই ইমেজ) এই গবেষণাটি স্পষ্ট বলছে মুর্শিদাবাদ হল পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি জেলা যেখানে স্ত্রী সাক্ষরতার হার যথেষ্ট বেশি, sex ratio অর্থাৎ প্রতি পুরুষপিছু নারীর সংখ্যাও খুব কম নয়, পুরুষ ও নারীর সাক্ষরতার হারেও খুব বেশি তফাৎ নেই। অর্থাৎ প্রগতিশীলতা বিচার করার যে common parameter গুলি আছে, সেগুলির নিরিখে জেলাটিতে মেয়েরা পিছিয়ে নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই জেলায় বাল্যবিবাহের হার ৭১%.

কেন?

কারণ বোধ হয় এই যে মুর্শিদাবাদও মুসলমান অধ্যুষিত জেলা। এবং একটি hypothesis & assumption আছে যে শিক্ষাই বাল্যবিবাহ ইত্যাদি কুপ্রথা থেকে সমাজকে মুক্তি দিতে পারে, মুর্শিদাবাদ সেই hypothesis কে ভুল প্রমাণ করছে। প্রগতিশীল জেলা হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বাল্যবিবাহ ৭১%.

অর্থাৎ বাল্যবিবাহে পশ্চিমবঙ্গের দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসার কারণ বোধ হয় এরাজ্যে মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধি।

অস্বস্তিকর হলেও এটা একটা logical derivation. কারণ বাল্যবিবাহ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বেআইনি হলেও মুসলমানদের মধ্যে স্বাভাবিক ঘটনা। এবং দেখা যাচ্ছে বাল্যবিবাহের সংখ্যাও মুসলমান অধ্যুষিত জেলাগুলিতেই বেশি।

অতঃপর নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে আমরা যদি বাল্যবিবাহকে correlate করি তাহলে কি খুব ভুল হবে? বোধ হয় না। বাল্যবিবাহের increasing প্রবণতাই ১৫-১৯ বয়ঃক্রমের মেয়েদের মাতৃত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।

অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাবার আসল কারণ by almost all probabilities হল রাজ্যে মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধি। কেবল মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া নয়, আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং বাঁকুড়াতেও বাড়ছে বাল্যবিবাহের prevalence. এবং এটিই সম্ভবতঃ একটি index যেটি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে এই জেলাগুলিতেও মুসলমান জনসংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। এবং এই মুসলমানদের মধ্যেই সম্ভবতঃ বাড়ছে নাবালিকা মায়ের সংখ্যাও যার direct outcome হল মুসলমান জনসংখ্যার বিষ্ফোরণ।

২০১১ র সেন্সাসের পর ১৭ বছরের মধ্যে দেশের অন্য অধিকাংশ রাজ্যে যেখানে একটি গোটা প্রজন্মও কাটবে না, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এক প্রজন্ম কেটে গিয়ে আর একটি নতুন প্রজন্ম চলে আসবে। এবং এই প্রজন্ম মূলতঃ মুসলমান জনগণের।

অর্থাৎ ২০২৯ এ রাজ্যের ভোটার লিস্টে যেসমস্ত নতুন ভোটারের নাম উঠবে তাদের অধিকাংশই সম্ভবতঃ হবে মুসলমান।

অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে। আর ইতিহাস বলে যে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেশের শান্তি শৃঙ্খলার পক্ষে অমঙ্গলজনক। আশু সমাধান প্রয়োজন।

Comments

  1. শুধু মুসলমানদের কথা না বলে দলিত দের কথা কে বলবে

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

রথযাত্রা: কুমুদরঞ্জন মল্লিক

নব্য কথামালা: শেয়াল ও সারসের গল্প

এত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে শিল্প-খরা: কেন?

West Bengal: A Security Threat to India