কোভিশিল্ড কাহিনী
কোভিডের মত একখানি বৈশ্বিক মহামারী চীনে বাপরা পৃথিবীকে উপহার দেওয়া সত্ত্বেও সেই প্যাণ্ডেমিকে ভারতবর্ষকে শ্মশান বানিয়ে ছাড়ার পরিকল্পনা সফল না হওয়ার দুঃখ বৈশ্বিক বামপন্থী লবি ভুলতে পারে নি। এতবড় সুযোগ ছিল যে সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে মোদীকে মাস মার্ডারার প্রুভ করে দেওয়া যেত। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ নিজস্ব ভ্যাকসিন বানিয়ে গোটা পৃথিবীর ১০০টি’র বেশি দেশকে তা পাঠিয়ে বৈশ্বিক মহামারীর হাত থেকে কেবলমাত্র নিজেকে নয়, অন্যান্য আরও বহু দেশকেও জীবনের মূলস্রোতের কনভেয়ার বেল্টের উপর তুলে দিল। এ আফশোস বুঝি বামপন্থীদের যাওয়ার নয়।
ভারতবর্ষকে একখানি তৃতীয় বিশ্বের বাজার বানিয়ে রাখার শপথই বুঝি বা নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। ভ্যাকসিন বানাবে প্রথম বিশ্ব অর্থাৎ কি না আমেরিকা, ইউরোপ আর ভারত হবে তার বাজার। সেই বাজারে যে জিনিস যে মূল্যে দিতে চাইবেন পশ্চিমী ধনকুবেররা, ভারতবর্ষকে সেই জিনিস নিতে বাধ্য হতে হবে সেই দামে, এমনই বুঝি বা ছিল বিশ্বরাজনীতির সেই অলিখিত শর্ত। তাতে যারা বাঁচতে পারবে বাঁচবে, আর যারা পারবে না তারা মরবে। কংগ্রেস ও তাদের সহযোগী বামপন্থীদের ইতিহাস ভারতের মানুষকে পোকামাকড় মনে করার ইতিহাস। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনাই হোক বা চীন যুদ্ধের সময় সম্পূর্ণ উত্তরপূর্ব ভারতকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দেওয়াই হোক, ভারতীয় মানুষের প্রাণের পরোয়া স্বাধীনতা উত্তরকালের কংগ্রেস করেছে বলে ইতিহাসে প্রমাণ নেই।
সেই ভারতবর্ষ যখন কোভিড প্যাণ্ডেমিকের সময় ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে রাজী হল না বরং শর্ত দিল যে ভারতকে ভ্যাকসিন সাপ্লাই করতে হলে ফাইজারকে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করতে হবে ভারতের পপুলেশনের উপর এবং ভারতের আবহাওয়ায়, তখন প্রমাদ গুনেছিল এদেশে অবস্থিত পশ্চিমী ধনকুবেরদের দালাল লবি। তাদের মধ্যে দু’জন এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দী। প্রবীর পুরকায়স্থ ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যদিকে ইউরোপীয় কম্প্যানি অ্যাসট্রা জেনেকার রিসার্চ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এদেশে তৈরি করে ফেলেছিল খাঁটি ভারতীয় কম্প্যানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া, আর ভারত বায়োটেক তৈরি করছিল সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি, ভারতের গবেষণালব্ধ ভারতের নিজস্ব ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন। সেই সঙ্গে এদেশে উপলব্ধ হয়েছিল রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিকV'ও। অর্থাৎ বিনা ভ্যাকসিনে অথবা গোলমেলে ভ্যাকসিন দিয়ে ভারতীয়দের প্রাণে অথবা ধনেপ্রাণে মারবার যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল, গোড়াতেই তাতে জল ঢেলে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর ভারত।
তারপর কেটে গিয়েছে চার চারটি বছর। গোটা পৃথিবী কোভিড প্যাণ্ডেমিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাইড ইফেক্টস তথা অ্যাডভার্স ইফেক্টস্ যেভাবে কাটিয়ে উঠেছে, ভারতবর্ষ কাটিয়ে উঠেছে তার চাইতে দ্রুততর গতিতে এবং তাতেও শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে বামপন্থী লবির। তাল তারা ঠুকছিলই যে কখন, কিভাবে, কোন্ উপায়ে ভারতবর্ষের গৌরবের বিষয়গুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় প্রপাগান্ডার মাধ্যমে। এইবার আবার এসেছে সুযোগ। ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের এক অতি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা, চলে গিয়েছে আদালতে এবং অভিযোগ করেছে যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের হতে পারে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের মত গুরুতর সমস্যা এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াও আদালতে দাঁড়িয়ে মেনে নিয়েছে সেই অভিযোগ। লোকসভা ভোট চলাকালীন এইটিই বামপন্থী লবির নবতম প্রপাগান্ডাভিযান। কিন্তু প্রপাগাণ্ডা বলছি কেন? সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া তো স্বীকার করে নিয়েছে যে এমন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভিশিল্ডের প্রকৃতই আছে। তাহলে? আসুন দেখা যাক্।
প্রথমতঃ, পৃথিবীতে অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনের মধ্যে হেন মেডিসিন একটিও নেই যে মেডিসিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যে কোনো মেডিসিনের তা আছে এবং এ হেন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। ১) সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কমন সাইড ইফেক্টস এবং ২) গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সিরিয়াস সাইড ইফেক্টস্। কোনো ওষুধ বাজারে প্রথমবার আসার আগে গবেষণার সময় তার সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নির্ণয়ন (identification) ও তালিকাভুক্তকরন (enlistment) হয়ে থাকে। অতঃপর বাজারজাত করার সময় ওষুধটির সম্পূর্ণ প্রেসক্রাইবিং ইনফরমেশন (complete prescribing information) চিকিৎসকদের কাছে সরবরাহ করা আইনতঃ বাধ্যতামূলক যে ইনফরমেশনগুলির মধ্যে উপরোক্ত দুই ধরনের সাইড ইফেক্টস্’এর উল্লেখও থাকতেই হয়।
এবার প্রশ্ন, এতরকম সাইড ইফেক্টস্’ই যদি থাকবে, তাহলে সেগুলিকে ঔষধ আদৌ বলা হয় কেন? সেগুলির প্রয়োজনীয়তাই বা কি? উত্তর হল, অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টটির (অর্থাৎ মূল ওষুধটির) কার্যকরী গুণ এই সাইড ইফেক্টগুলির তুলনায় বেশি কাঙ্খিত বলে চিকিৎসক যখন মনে করেন তখনই সেগুলি প্রেসক্রাইব করেন তাঁরা। অর্থাৎ একই জিনিসের উপকারিতা ও অপকারিতা দুই-ই আছে, উপকারিতা মূল্য অপকারিতা মূল্যের চাইতে বেশি হলে তখনই তা ব্যবহৃত হচ্ছে মেডিসিন হিসেবে। মনে রাখতে হবে যে কোনো অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনকে ব্যবহার করা যেতে পারে বিষ হিসেবেও। ওষুধ হিসেবে তার ব্যবহার তখনই indicated যখন তার উপকারিতামূল্য (efficacy) তার বিষাক্ততার (toxicity) চাইতে অপেক্ষাকৃত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ রিস্ক-বেনেফিট (risk-benefit ratio) রেশিও হিসেব করে বেনেফিট যখন রিস্কের চাইতে বেশি তখনই সে জিনিস প্রেসক্রাইব করে থাকেন চিকিৎসকরা।
অর্থাৎ কোভিশিল্ড যখন বাজারে এসেছিল তার আগেই কোভিশিল্ডের কমপ্লিট প্রেসক্রাইবিং ইনফরমেশন প্রকাশ করেছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। তার পরেই মানুষ সেই ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন এবং নিয়ে বেঁচে বর্তে আছেন। এ থেকে একটা প্রশ্ন ওঠেই। কোভিশিল্ডের যে সিরিয়াস সাইড ইফেক্টটি নিয়ে রাজনৈতিক অপপ্রচার চালাচ্ছে এদেশে পশ্চিমী ধনকুবেরদের (CIA) দালাল লবি, 2021 সালে কোভিশিল্ড নেওয়ার আগে এই কথাগুলি তাঁরা বলেন নি কেন? সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে কোভিশিল্ডের এই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটির ইনফরমেশন তো সেই সময়েও ছিল! তাহলে? এ থেকে এটুকু অন্ততঃ নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে চিৎকার চেঁচামেচি যা কিছু হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তা হচ্ছে না। যদি হত, তাহলে ভ্যাকসিনটি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে চেঁচামেচি জুড়তেন তাঁরা। কিন্তু তা তাঁরা করেন নি, বরং চেঁচামেচি শুরু করার জন্য বেছে নিয়েছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রায় চার বছর পর লোকসভা ভোটের সময়টিকে।
এবার আসা যাক তথ্যগত বিষয়ে। কি সেই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা কোভিশিল্ডের আছে বলে আদালতে মেনে নিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া? তা হল TTS বা থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। সহজ ভাষায় বললে— রক্তে থ্রম্বোসাইট বা প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যেতে পারে সেই সঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে ব্রেইনে অথবা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের মধ্যেকার শিরা, ধমনী আদি রক্তনালীর মধ্যে। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া বলছে— ভারত সরকার তাদেরকে এই ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করার অনুমতি দেওয়ার পর যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ভ্যাকসিনটির হয়েছে, তাতে “Very rare events of serious thrombosis with thrombocytopenia, including unusual sites such as cerebral venous sinus thrombosis and splanchnic vein thrombosis, some associated with arterial thrombosis, have been observed following vaccination during post-authorization use.” অর্থাৎ এইটি কোভিশিল্ডের একটি অতি বিরল সাইড ইফেক্ট।
TTS যদি হওয়ার হয় তাহলে হতে পারে ভ্যাকসিনেশনের পর প্রথম 14 থেকে 33 দিনের মধ্যে। অর্থাৎ বামপন্থী লবির যাঁরা নিজেরা সেই 2021 সালে কোভিশিল্ড নিয়েছেন এবং এখন আদালতে দৌড়োদৌড়ি করছেন কোভিশিল্ডের সিরিয়াস পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে লোক ক্ষেপানোর জন্য, সৌভাগ্যজনকভাবে হোক্ বা দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তাঁদের TTS হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। Subrata Saha Roy’দা’কে নিশ্চিন্ত করতে চাই এই বলে যে তথ্য অনুযায়ী কোভিশিল্ড অত্যন্ত সেফ এবং এফিকেশিয়াস একটি ভ্যাকসিন যা থেকে মৃত্যু বা অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থতা (অত্যন্ত বিরল কিছু ক্ষেত্রে) যদি হওয়ার হত, তবে তা ঘটত ভ্যাকসিন নেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই। এখন আর তার কোনো সম্ভাবনা বস্তুতঃ নেই।
কোভিশিল্ড যেহেতু অ্যাসট্রা জেনেকার রিসার্চ প্রডাক্ট, ফলে বাজারজাত করার আগে দ্য ইউরোপীয়ান মেডিক্যাল এজেন্সির অনুমতি ব্র্যাণ্ডটিকে নিতে হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে লেখা তথ্য অনুযায়ী কোভিড-19’এর প্রতিরোধে কোভিশিল্ডের বেনেফিট সমস্ত রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিস্কের চাইতে বেশি বলেই কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে দ্য ইউরোপীয়ান মেডিক্যাল এজেন্সি (EMA)।
“The European Medical Agency (EMA) stated that the overall benefits of the vaccine in the prevention of COVID-19 outweigh risks from adverse events including thrombosis in combination with thrombocytopenia (TTS).” অতএব এই নিয়ে বাজার গরম করা নিরর্থক। কোভিশিল্ড নেওয়ার ফলে 2021’এ যাঁদের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি হয় নি, আজ 2024’এ সেই একই কারণে তাঁদের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটার সম্ভাবনা শূন্য, জিরো।
এতদসত্ত্বেও যাদের মনটা খচখচ করছে, যাঁরা ভাবছেন, (মানে যদি আদৌ ভাবেন) যে ‘এত গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে ভ্যাকসিনটার? আগে জানলে ভালো হত’, তাঁদের উদ্দেশ্যেও আছে দুটো কথা। জ্বর হলে প্যারাসিটামল খান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বুঝি বা দুষ্কর। আসুন দেখে নেওয়া যাক প্যারাসিটামলের জন্য তালিকাভুক্ত সিরিয়াস কয়েকটি (এক ডজন) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নাম।
1) Toxic epidermal necrolysis (স্কিনের উপর অসংখ্য ব্লিস্টার তৈরি হয়ে স্কিন গলে যেতে পারে, it’s a skin emergency)
2) Severe allergic reaction (anaphylaxis) (অ্যানাফাইল্যাকটিক শক, ফলে অবধারিত মৃত্যু)
3) Liver failure(লিভার ফেইল করে মৃত্যু)
4) Gastrointestinal hemorrhage (অর্থাৎ অন্ত্রে রক্তপাত শুরু হয়ে যাওয়া
5) Laryngeal edema (গলা ফুলে choking হয়ে গিয়ে মৃত্যু)
6) Kidney toxicity (কিডনি ফেইলিওর হয়ে মৃত্যু)
7) Liver toxicity/liver failure (লিভারের বারোটা বেজে যেতে পারে)
8) Hyperammonemia (রক্তে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বেড়ে গিয়ে মৃত্যু)
9) Agranulocytosis
10) Low white blood cell count (leukopenia, neutropenia) (উভয়ের ফলেই ইমিউনিটি সিস্টেমের বারোটা বেজে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সাধারণ ইনফেকশনও প্রাণঘাতী)
11) Low platelet count (thrombocytopenia) (রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া সেক্ষেত্রে রক্তপাত শুরু হলে আর বন্ধ হবে না, ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে)
12) Low red and white blood cell count and low platelet count (pancytopenia)
এগুলি ছাড়াও আরও বহু তালিকাভুক্ত সিরিয়াস পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্যারাসিটামলের আছে। এবার প্রশ্ন — সত্যিই কি এমন কাউকে আমরা জানি, সাধারণ ক্রোসিন ক্যালপল, ডোলো 650, পাইরিজেসিক আদি ওষুধ খেয়ে যার/যাদের উপরোক্ত ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির একটিও আদৌ হয়েছে? বাস্তব উত্তর হল, না। চিকিৎসকদের জিজ্ঞেস করলে 100 জনের মধ্যে 99 জনই হয়ত বলবেন যে প্যারাসিটামল হল the safest analgesic. অর্থাৎ safest’টির’ও এই এত্তগুলি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তালিকাভুক্ত সাইড ইফেক্ট হিসেবে রয়েছে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তালিকাভুক্তির পদ্ধতিটি আদতে একটি স্ট্যাটিসটিক্যাল পদ্ধতি। বাস্তবে এগুলির কতগুলি আদতেই ওষুধটির ফার্মাকোলজিক্যাল অ্যাকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আর কতগুলি eventually enlisted in the statistical enlisting process তার পৃথকীকরণ অতি দুরূহ কাজ। অর্থাৎ ক্রোসিন যদি নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়, কোভিশিল্ডও সেক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে নেওয়া যায়।
এবার লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট — রক্তনালীর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দেওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে কেবল কোভিশিল্ডের আছে তা নয়। এই একই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এমন আর এক ধরনের মেডিসিনের নাম শুনলে চমকে যাবেন হয়ত অনেকেই কারণ বহু বহু বছর ধরে অসংখ্য ভারতীয় প্রত্যহ করে আসছেন সে ওষুধের নিয়মিত সেবন। ওষুধটি হল— অরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল দ্যাট কনটেইনস্ এস্ট্রোজেন। এই অরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা এস্ট্রোজেন কনটেইনিং ইনট্রা ভ্যাজিনাল কন্ট্রাসেপটিভ ডিভাইসেরও একটি অন্যতম কমন সাইড ইফেক্ট হল— ভেনাস থ্রম্বোএম্বলিসম্ বা VTE যা কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হতে পারে। OCP’র ব্যবহারের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে VTE হতে পারে হাতে, পায়ে, ব্রেইনে, হার্টে বা ফুসফুসে পর্যন্ত। অরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার করেন এমন প্রতি দশ হাজার মহিলার মধ্যে 2 থেকে 6 জন মহিলার রক্তনালীর মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং 35 বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য এই ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত বেশি। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটি আদতে অতি বিরল একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিন্তু তার অস্তিত্ব আছে। তৎসত্ত্বেও গোটা পৃথিবীর 9% মহিলা এবং উন্নত দেশগুলির 18% মহিলা প্রতিদিন তা ব্যবহার করেন এবং সুখে শান্তিতে বেঁচে বর্তে থাকেন, মারা যান না। সেই প্রেক্ষিত থেকে দেখলে জীবনে দু’বার মাত্র কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে TTS হয়ে মানুষ মারা যাবেন এ সম্ভাবনা বস্তুতঃ শূন্য। অতএব CIA’এর দালাল লবির আদালত-অ্যাক্টিভিজমে বিচলিত হয়ে মনের শান্তি নষ্ট হতে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কোভিশিল্ড নিয়ে এঁরা যা করছেন তা হল Zohnerism. এই Zohnerism কি জিনিস তা নিয়ে একটি বহুল প্রচলিত গল্প ঘুরে বেড়ায় WhatsApp’এ। সেই মজার গল্পটাই এখানে শেষে দিলাম আরেকবার। Enjoy!!
What is this notorious concept of *Zohnerism*?
*Zohnerism* - is all about twisting of simple facts to confuse people!
To know more about it, please read this:
In 1997, 14 year old Nathan Zohner presented his science fair project to his classmates, seeking to ban a highly toxic chemical from its everyday use.
The chemical In question? Dihydrogen monoxide.
Throughout his presentation, Zohner provided his audience scientifically correct evidence as to why this chemical should be banned.
He explained that dihydrogen monoxide:
--Causes severe burns while it’s in gas form.
--Corrodes and rusts metal.
--Kills countless amounts of people annually.
--Is commonly found in tumors, acid rain etc.
--Causes excessive urination and bloating if consumed.
--Zohner also noted that the chemical is able to kill you if you depend on it and then experience an extended withdrawal.
He then asked his classmates if they actually wanted to ban dihydrogen monoxide.
And so, 43 out of the 50 children present voted to ban this clearly toxic chemical.
However… this chemical isn’t typically considered toxic at all.
In fact, dihydrogen monoxide is simply H2O, which is nothing but water.
Nathan Zohner’s experiment wasn’t a legitimate attempt to ban water, but instead an experiment to get a representation of how gullible people can really be.
Also, all of the points that Zohner used to convey his point were 100% factually correct; he just skewed all of the information in his favour by omitting certain facts.
In recognition of his experiment, journalist James K. Glassman coined the term “Zohnerism” to refer to “the use of a true fact to lead a scientifically and mathematically ignorant public to a false conclusion”.
And this occurs a lot more often than you think, especially when politicians, conspiracy theorists, etc., use proven facts to persuade people into believing false claims.
The fact that people can mislead, and be misled so easily, is highly unsettling.
A very meaningful sensible Writeup that applies to today’s world more than anytime before.* This is what is happening every day on the social media.
Comments
Post a Comment