Posts

Showing posts from November, 2024

মমতার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির শিকড় দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচারের স্পৃহার মধ্যে

কামালগাজিতে, রাজাবাজারে কালিপুজো ভাঙচুর হয়েছে শুনে এবং ভিডিও দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন। অথচ আজ থেকে মাত্র 20 বছর বা তার আগেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এমন জায়গা ছিল যেখানে মাতৃ মূর্তির সামনে নিম্নাঙ্গের পোশাক তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত কোনো কোনো লোককে। (এ হেন বাক্যটি অশ্লীল শোনালে আমি ক্ষমাপ্রার্থী কিন্তু সত্যের তো শ্লীল অশ্লীল হয় না।) তখন যখন কিছু কিছু লোক এ নিয়ে প্রমাদ গুনেছিল ও আপত্তি জানিয়েছিল, তখন সেই লোকেদেরকে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাম্প্রদায়িক বলে, বলা হয়েছিল তাঁরা নাকি অযথা বেশি চিন্তা করছেন যতটা করার নাকি প্রয়োজন ছিল না। অন্যদিকে, পুজো আক্রমণ করার মানসিকতা যাদের, মাতৃ মূর্তি আক্রমণ করার আগে তারা জোগাড় করে এলাকার রাজনৈতিক সমর্থন। আর এদেরকে সমর্থন দেয় যে সব রাজনৈতিক দল, সেই সব দলকে যে বিষবৎ পরিত্যাগ করাই উচিত, পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা তা বুঝতে পারে নি টাকার লোভে। আজ তাই সময় প্রায়শ্চিত্তের। কালের রথচক্র রেয়াত করবে না কাউকেই। ২০১১'য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন হিন্দুদের ভোটে।‌ মুসলমান ভোট সে বছরেও grossly রয়ে গিয়েছিল সিপিএমের কাছেই। অতঃপর ২০১৬'র নির্বাচনের আ

শব্দ ও শ্রুতি নির্ভর ভারত সভ্যতার আতসবাজি শব্দবিহীন হতে পারে না

জয়দীপ সেনের এই পোস্টটা পাবলিক পোস্ট ছিল না, আমি অনুরোধ করি বলেই হয়ত জয়দীপ এইটি পাবলিক করেছেন যাতে শেয়ার করতে পারি।👇 https://www.facebook.com/share/p/1BKyjaGduZ/?mibextid=oFDknk আমার এ হেন অনুরোধের কারণ হল এই যে এই পোস্টে পোস্টদাতা আমাকে ট্যাগ করেছিলেন, “দেবযানী দি, এইটা পড়ে দেখতে পারো” বলে। ফলে পড়েছি এবং শ্রী সেনের সঙ্গে কমেন্টালাপও করেছি। শ্রী সেনকে তখনই বলেছিলাম যে তাঁর এই পোস্ট যদি আমি আমার নোট সহ শেয়ার করি তাহলে কড়া সমালোচনা করব, এবং তাতে যেন পোস্টদাতা কিছু মাইণ্ড না করেন। আমার মনে হয়েছিল (মনে হওয়া ভুল হতেও পারে) যে জয়দীপ সেন আমাকে এতে ট্যাগ করেছেন আমার অন্য একটি পোস্ট দেখে যার লিঙ্ক দেওয়া হল এইখানে👇 https://www.facebook.com/share/p/17pUBt1P6A/?mibextid=oFDknk দীপাবলীর আগে আতসবাজিবিরোধী এই ধরনের পোস্টগুলি আদতে প্রোপাগান্ডা পোস্ট বলে প্রতীত হয়, এবং আমার বিশ্বাস এসব দেখলে মুখ বন্ধ করে থাকার দিন আমাদের এখন ফুরিয়েছে। কিন্তু মুখ খোলার সাহস যাঁরা করবেন তাঁদের শত্রু ঘরে বাইরে উভয় স্থানেই। যেমন, উক্ত পোস্টটি করার পরেই কোনো এক সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য (আমার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই এ

দীপাবলী, শব্দবাজি, শহুরে বাঙালী ও পোষ্য কুকুরের কড়চা

সেটিও ছিল কালিপুজোর কুচকুচে কালো রাত। আকাশের গায়ে বাজির ঝলকানি আর পটকার আওয়াজ নিরন্তর— কি ভাবছেন? কোনো সাহিত্যকর্ম শুরু করতে চলেছি? আদৌ নয়। যা করতে চলেছি, সাদা বাংলায় তাকে বলে ঝগড়া। অথবা ভদ্রভাবে বলা যেতে পারে বিতর্ক। তা সে ঝগড়াই হোক বা বিতর্ক, কালিপুজোর রাতে এই নিরন্তর পটকা ফাটার আওয়াজটা আমাদের থেকে কেড়ে নিতে চাইছে একদল লোক। প্রথমে তারা বলেছিল দীপাবলীতে বাজি পোড়ানো নাকি ভারতীয়দের শিখিয়েছে মুঘলরা। তারপর নিজেদের কানেই হয়ত বিষয়টা কিঞ্চিৎ বিসদৃশ ঠেকায় আরও বেশ খানিক পিছিয়ে গিয়ে প্রথম বাজি তৈরি করার কৃতিত্বটি তারা দেয় চৈনিকদের। বলে, সল্টপিটার/সল্পপেট্রে (অর্থাৎ সোরা, নাইটার জাতীয় সল্ট) নাকি প্রথম তৈরি হয়েছিল চীনে। অতএব আধুনিক আতসবাজির জনকও চীনই। ভারতে আতসবাজির চল কোনোদিন ছিল না এবং বাজি পোড়ানো হিন্দুদের কোনো রিলিজিয়নের অঙ্গও নয়। কোথায় লেখা আছে বাপু? কোন্ বইয়ে? দেখাও দেখি! বলেছিল তারা। কিন্তু হিন্দু ধর্ম কি কোনো একখানি বই মেনে চলে! আমাদের সমস্ত কৃষ্টির কথা কি কোনো একখানি বইয়ে লেখা আছে? তবে এসবের ফলে একদিক থেকে হয়েছে ভালোই। নিজেদের রিলিজিয়ন ও সংস্কৃতির দিকে ঘুরে তাকান