ইসলামে নারী: No Less than An Industry?

পাকিস্তানের বিচারকরা বলেছেন একটি মেয়ের প্রথমবার menstruation হওয়া মানেই সে বিবাহযোগ্যা। ইসলামে বিবাহ সম্ভবতঃ সমাজ গঠনের একটি প্রক্রিয়া মাত্র নয়, বরং একটি উৎপাদনশিল্পের শুভ সূচনা। ইসলাম নারীকে সম্মান করে, তাকে অপরিসীম গুরুত্ব দেয়। ইসলামই একমাত্র নারীর উৎপাদনশীলতার যথার্থ মূল্যায়ন করে। নারী তার দৃষ্টিতে একটি অনন্ত সৃষ্টিশীল ইণ্ডাস্ট্রি বোধ করি। তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির প্রত্যেকটি সেই উৎপাদনকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার সৃষ্টি একটি অপূর্ব সুষমামণ্ডিত যন্ত্র হিসেবেই। সেই যন্ত্রকে চালু করতেও আনন্দ আর যন্ত্র চালু হলে শিল্পোৎপাদনেও মুনাফা। উৎপাদনের প্রতিটি batch এ growth of production minimum 100%.

উৎপাদনের অন্যতম অপর কাঁচামালটি হল পুরুষের বীর্য বা sperm-containing seminal fluid. পুরুষ তার সাধ্যমত কাঁচামাল নারীযন্ত্রে প্রবেশ করিয়ে যন্ত্র চালু করা মাত্রই তা হয়ে ওঠে productive. পুরুষের প্রয়োজন ও সাধ্যমত তার র' মেটিরিয়ালকে ধারণ করে প্রয়োজনীয় produce yield করাতেই নারীজন্মের ও নারীযন্ত্রের সার্থকতা।

তবে menstruation না হওয়া পর্যন্ত যন্ত্রটি উৎপাদনশীল হয়ে ওঠে না। সন্তান উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রূপায়ণের ক্ষমতা কেবলমাত্র ঋতুমতী নারীরই থাকে। তাই menstruation হওয়া মাত্র নারীকে টার্গেট দেওয়া প্রয়োজন, যাতে সে production efficacy & efficiency দুই-ই বাড়াতে পারে। প্রয়োজনে দিনের মধ্যে দুই বা ততোধিক shift এ উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে। একই নারীযন্ত্রের যথেষ্ট ব্যবহার যদি একজন মাত্র পুরুষের পক্ষে সম্ভব না হয়, তবে একাধিক জনের সম্মিলিত যন্ত্রচালনার দ্বারা উৎপাদন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। (শ্বশুর, ভাসুর, মৌলবীদ্বারা হালালা প্রথাটি স্ব স্মর্তব্য) একটি নির্দিষ্ট নারীযন্ত্রের ব্যক্তিগত সক্ষমতা যতখানি, তার utilization তদনুপাতে হলে তবেই যন্ত্রের efficiency ও output কে maximize করা সম্ভব।

নারীর প্রতি ইসলামের ঔদার্য অনুভব করতে হলে নন-ইসলামিকদের চিন্তার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে হবে। নারীর উৎপাদনশীলতাকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য নারীকে তাঁরা ক্ষুদ্র সম্পর্কের গণ্ডিতে বাঁধেন নি। মানবিক সম্পর্কের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে আবদ্ধ করে নারীর প্রকৃত মেটিরিয়াল ভ্যালুকে তাঁরা ছোট করেন না। বাপ-মেয়ে, ভাই-বোন, শ্বশুর-পুত্রবধূ ইত্যাদি কোনো সম্পর্কই তাঁদের দৃষ্টিতে নারীর উৎপাদনশীলতার ঊর্ধ্বে নয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ইরাণ সাম্প্রতিক অতীতে আইন পাশ করেছে যে নারীর বায়োলজিক্যাল ফাদারও তার উৎপাদনশীলতাকে explore করতে পারবে। আধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইণ্ডাস্ট্রির দৃষ্টিতে দেখলে এ হল optimum utilization of production capacity & exhaustive utilization of available raw material এর একটি প্রকৃষ্ট প্রদর্শন।

অর্থাৎ ইসলামে নারী একটি মানুষ মাত্র নয়। নারী কোনো সম্পর্কও নয়। নারী মা, স্ত্রী, কন্যা, ভগিনী বা বধূমাতা নয়, বরং একটি উৎপাদন-শিল্পক্ষেত্র। এতখানি সম্মান, ইণ্ডাস্ট্রি ভ্যালু, এতখানি ব্যবসায়িক মর্যাদা, অন্য কেউ নারীকে কোনোদিন দিয়েছে কি? এ-ই প্রশ্ন।

এবিষয়ে নিম্নোল্লিখিত নিউজ লিংকটি দ্রষ্টব্য।

https://www.indiatoday.in/amp/world/story/pakistan-minor-girl-forced-abduction-conversion-judges-adult-claim-menstruation-period-1644205-2020-02-07

এই সংবাদটি থেকে প্রতীত হয় যে, প্রথমবার কন্যার পিরিয়ড হওয়ার অর্থ হল, তার ওভারিদ্বয় ডিম্বাণু তৈরি করা এবং বের করা শুরু করেছে। যতগুলি ডিম্বাণু সারা জীবনে তার বেরোবে, ততগুলিকেই তো মানবশিশুর রূপ দান করা পুরুষের কর্তব্য, তাই না? তাই প্রথমবার menstruation হওয়া মাত্রই, সে মেয়ের বয়স ১২/১৩/১৪/১৫ যা-ই হোক না কেন, মেয়েটিকে জোর করে কনভার্ট করে বিয়ে করে মুসলমান সমাজের বিস্তার করা ইসলামের prescribed practice. পাকিস্তানের জজেদের ওপর অনেকে রাগ করছেন। কিন্তু ওঁদের ওপর রাগ করে কি হবে? ওঁদের জাজমেন্ট কি হবে, তা বোধ করি ওঁদের doctrine এই লেখা আছে। এবং এরকম একটি indoctrinated Nation কেই ইসলামিক নেশন বলে। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। প্রশ্ন অন্যখানে। প্রশ্ন হল, এদেশে যাঁরা সেক্যুলার, তাঁরা এই বিষয়ে কি বলেন? বিদ্যাসাগর মহাশয় বিধবাবিবাহ চালু করতে গিয়ে নিজপুত্রের বিবাহ বিধবার সঙ্গে দিয়েছিলেন। এ দেশের সেকুলাররাও কি তাঁদের কন্যাসন্তানদের এইরকম একটি ইসলামিক নেশনে পড়তে পাঠাবেন? পাঠিয়েছেন কেউ? মিডল্ ইস্টে কিন্তু প্রচুর ভালো ভালো চাকরিও আছে। এদেশের কোনো সেক্যুলার পেরেন্ট কি তাঁর উপযুক্ত কন্যাকে মিডল্ ইস্টে চাকরি করতে পাঠিয়েছেন? জানতে চাই। জানি না জানতে পারব কি না। সেই সঙ্গে এই ভিডিওটিও দেখা প্রয়োজন।👇

https://video.twimg.com/ext_tw_video/1228392723196993536/pu/vid/400x222/UV5lueVgMmdB6zOc.mp4?tag=10

এতে দেখা যাচ্ছে যাঁরা মহিলাদের যথার্থ সম্মান করেন, তাঁরা শাস্তিস্বরূপ এক নারীকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলছেন। কিন্তু এমন শাস্তি কেন? এমন শাস্তিও কি নারীর সম্মানার্থে?