Posts

মমতার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির শিকড় দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচারের স্পৃহার মধ্যে

কামালগাজিতে, রাজাবাজারে কালিপুজো ভাঙচুর হয়েছে শুনে এবং ভিডিও দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন। অথচ আজ থেকে মাত্র 20 বছর বা তার আগেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এমন জায়গা ছিল যেখানে মাতৃ মূর্তির সামনে নিম্নাঙ্গের পোশাক তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত কোনো কোনো লোককে। (এ হেন বাক্যটি অশ্লীল শোনালে আমি ক্ষমাপ্রার্থী কিন্তু সত্যের তো শ্লীল অশ্লীল হয় না।) তখন যখন কিছু কিছু লোক এ নিয়ে প্রমাদ গুনেছিল ও আপত্তি জানিয়েছিল, তখন সেই লোকেদেরকে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাম্প্রদায়িক বলে, বলা হয়েছিল তাঁরা নাকি অযথা বেশি চিন্তা করছেন যতটা করার নাকি প্রয়োজন ছিল না। অন্যদিকে, পুজো আক্রমণ করার মানসিকতা যাদের, মাতৃ মূর্তি আক্রমণ করার আগে তারা জোগাড় করে এলাকার রাজনৈতিক সমর্থন। আর এদেরকে সমর্থন দেয় যে সব রাজনৈতিক দল, সেই সব দলকে যে বিষবৎ পরিত্যাগ করাই উচিত, পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা তা বুঝতে পারে নি টাকার লোভে। আজ তাই সময় প্রায়শ্চিত্তের। কালের রথচক্র রেয়াত করবে না কাউকেই। ২০১১'য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন হিন্দুদের ভোটে।‌ মুসলমান ভোট সে বছরেও grossly রয়ে গিয়েছিল সিপিএমের কাছেই। অতঃপর ২০১৬'র নির্বাচনের আ

শব্দ ও শ্রুতি নির্ভর ভারত সভ্যতার আতসবাজি শব্দবিহীন হতে পারে না

জয়দীপ সেনের এই পোস্টটা পাবলিক পোস্ট ছিল না, আমি অনুরোধ করি বলেই হয়ত জয়দীপ এইটি পাবলিক করেছেন যাতে শেয়ার করতে পারি।👇 https://www.facebook.com/share/p/1BKyjaGduZ/?mibextid=oFDknk আমার এ হেন অনুরোধের কারণ হল এই যে এই পোস্টে পোস্টদাতা আমাকে ট্যাগ করেছিলেন, “দেবযানী দি, এইটা পড়ে দেখতে পারো” বলে। ফলে পড়েছি এবং শ্রী সেনের সঙ্গে কমেন্টালাপও করেছি। শ্রী সেনকে তখনই বলেছিলাম যে তাঁর এই পোস্ট যদি আমি আমার নোট সহ শেয়ার করি তাহলে কড়া সমালোচনা করব, এবং তাতে যেন পোস্টদাতা কিছু মাইণ্ড না করেন। আমার মনে হয়েছিল (মনে হওয়া ভুল হতেও পারে) যে জয়দীপ সেন আমাকে এতে ট্যাগ করেছেন আমার অন্য একটি পোস্ট দেখে যার লিঙ্ক দেওয়া হল এইখানে👇 https://www.facebook.com/share/p/17pUBt1P6A/?mibextid=oFDknk দীপাবলীর আগে আতসবাজিবিরোধী এই ধরনের পোস্টগুলি আদতে প্রোপাগান্ডা পোস্ট বলে প্রতীত হয়, এবং আমার বিশ্বাস এসব দেখলে মুখ বন্ধ করে থাকার দিন আমাদের এখন ফুরিয়েছে। কিন্তু মুখ খোলার সাহস যাঁরা করবেন তাঁদের শত্রু ঘরে বাইরে উভয় স্থানেই। যেমন, উক্ত পোস্টটি করার পরেই কোনো এক সুবর্ণা ভট্টাচার্য্য (আমার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই এ

দীপাবলী, শব্দবাজি, শহুরে বাঙালী ও পোষ্য কুকুরের কড়চা

সেটিও ছিল কালিপুজোর কুচকুচে কালো রাত। আকাশের গায়ে বাজির ঝলকানি আর পটকার আওয়াজ নিরন্তর— কি ভাবছেন? কোনো সাহিত্যকর্ম শুরু করতে চলেছি? আদৌ নয়। যা করতে চলেছি, সাদা বাংলায় তাকে বলে ঝগড়া। অথবা ভদ্রভাবে বলা যেতে পারে বিতর্ক। তা সে ঝগড়াই হোক বা বিতর্ক, কালিপুজোর রাতে এই নিরন্তর পটকা ফাটার আওয়াজটা আমাদের থেকে কেড়ে নিতে চাইছে একদল লোক। প্রথমে তারা বলেছিল দীপাবলীতে বাজি পোড়ানো নাকি ভারতীয়দের শিখিয়েছে মুঘলরা। তারপর নিজেদের কানেই হয়ত বিষয়টা কিঞ্চিৎ বিসদৃশ ঠেকায় আরও বেশ খানিক পিছিয়ে গিয়ে প্রথম বাজি তৈরি করার কৃতিত্বটি তারা দেয় চৈনিকদের। বলে, সল্টপিটার/সল্পপেট্রে (অর্থাৎ সোরা, নাইটার জাতীয় সল্ট) নাকি প্রথম তৈরি হয়েছিল চীনে। অতএব আধুনিক আতসবাজির জনকও চীনই। ভারতে আতসবাজির চল কোনোদিন ছিল না এবং বাজি পোড়ানো হিন্দুদের কোনো রিলিজিয়নের অঙ্গও নয়। কোথায় লেখা আছে বাপু? কোন্ বইয়ে? দেখাও দেখি! বলেছিল তারা। কিন্তু হিন্দু ধর্ম কি কোনো একখানি বই মেনে চলে! আমাদের সমস্ত কৃষ্টির কথা কি কোনো একখানি বইয়ে লেখা আছে? তবে এসবের ফলে একদিক থেকে হয়েছে ভালোই। নিজেদের রিলিজিয়ন ও সংস্কৃতির দিকে ঘুরে তাকান

Movie Review: RAZAKAR

Razakar is a duly well-made movie based on historic facts. While there is nothing fictional in the movie, the presentation of various incidents is loud & hard-hitting just as South movies generally are.  Nizam's Army (Razakars) under the leadership of the radical Islamic bigot Qasim Rizvi, a pure monster, had rampaged on the ground to ravage the Hindu society from all angles— economic, social, political and last but not the least, religious. They engaged in bloody episodes of communal genocide in order to convert Hindus & grab their properties. The Razakars didn't spare those one or two Muslims too who resisted against their evil action-plan. Post poll violence 2021 in West Bengal was a 21st century version of the same oppression. The movie has shown different episodes of resistance against such Razakars by Hyderabad's common populace with their limited capacity & the resultant bloody devastation till Sardar Vallabhbhai Patel sent Indian Army to annex Hyderabad

SSC চাকরি বাতিল: যোগ্য - অযোগ্য বিভাজন আদৌ সম্ভব?

পরীক্ষা হল 2016'য়, চাকরি হল 2018'য় আর 2019'এ SSC নষ্ট করে দিল সমস্ত উত্তরপত্র i.e. OMR শিট। আইনের প্রভিশন অনুযায়ী এইভাবে সরকারি রেকর্ড ডেসট্রয় করতে হলে তার কপি রেখে ডেসট্রয় করার কথা, তাও আবার সে বিষয়ে কোনো লিটিগেশন না থাকলে তবে। কিন্তু এইসব আইনি নিয়মকে কাঁচকলা দেখিয়ে SSC শুধু OMR শিট ডেসট্রয় করল তাই নয়, কোনো scanned কপি পর্যন্ত রাখল না। গোটা 23 লক্ষ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য তাই চলে গেল ভোগের বাড়ি। পরীক্ষা দিয়েছিল 23 লক্ষ চাকরিপ্রার্থী ক্যাণ্ডিডেট। তাদের মধ্যে চাকরি পেল 25000 জন। ধরা যাক্ এর মধ্যে 5000 জন পেয়েছে grossly বেআইনি পদ্ধতিতে (অর্থাৎ যাদের জন্য সুপারনিউমেরারি পদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল মন্ত্রীসভা) আর বাকি 20,000 পেয়েছে তথাকথিত আইনি পদ্ধতিতে। অর্থাৎ পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পায় নি 22 লক্ষ 75 হাজার চাকরিপ্রার্থী। এবার আসা যাক পরবর্তী ধাপে। SSC যে তথাকথিত 'মেরিট লিস্ট' প্রকাশ করেছিল তাতে চাকরিপ্রার্থী ক্যাণ্ডিডেটদের নাম থাকলেও প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ ছিল না। অর্থাৎ এই লিস্ট আদৌ মেরিট লিস্ট কি না তা বোঝার কোনো উপায় সাধারণ মানুষের নেই। তাহলে ক

কোভিশিল্ড কাহিনী

কোভিডের মত একখানি বৈশ্বিক মহামারী চীনে বাপরা পৃথিবীকে উপহার দেওয়া সত্ত্বেও সেই প্যাণ্ডেমিকে ভারতবর্ষকে শ্মশান বানিয়ে ছাড়ার পরিকল্পনা সফল না হওয়ার দুঃখ বৈশ্বিক বামপন্থী লবি ভুলতে পারে নি। এতবড় সুযোগ ছিল যে সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে মোদীকে মাস মার্ডারার প্রুভ করে দেওয়া যেত। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ নিজস্ব ভ্যাকসিন বানিয়ে গোটা পৃথিবীর ১০০টি’র বেশি দেশকে তা পাঠিয়ে বৈশ্বিক মহামারীর হাত থেকে কেবলমাত্র নিজেকে নয়, অন্যান্য আরও বহু দেশকেও জীবনের মূলস্রোতের কনভেয়ার বেল্টের উপর তুলে দিল। এ আফশোস বুঝি বামপন্থীদের যাওয়ার নয়।  ভারতবর্ষকে একখানি তৃতীয় বিশ্বের বাজার বানিয়ে রাখার শপথই বুঝি বা নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। ভ্যাকসিন বানাবে প্রথম বিশ্ব অর্থাৎ কি না আমেরিকা, ইউরোপ আর ভারত হবে তার বাজার। সেই বাজারে যে জিনিস যে মূল্যে দিতে চাইবেন পশ্চিমী ধনকুবেররা, ভারতবর্ষকে সেই জিনিস নিতে বাধ্য হতে হবে সেই দামে, এমনই বুঝি বা ছিল বিশ্বরাজনীতির সেই অলিখিত শর্ত। তাতে যারা বাঁচতে পারবে বাঁচবে, আর যারা পারবে না তারা মরবে। কংগ্রেস ও তাদের সহযোগী বামপন্থীদের ইতিহাস ভারতের মানুষকে পোক

স্বদেশী আন্দোলন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ইফতার, উমর খালিদ ও রামনবমী

ভারী উৎসাহিত হয়ে ছেলেগুলো ভেবেছিল সত্যিই বুঝি বা অনুমতি মিলল রামনবমী পালনের । মানে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের ভিতরে আর কি ! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সৌরভ বোসের লেখা আবেদনপত্রে গত 12 ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রাপ্তিস্বীকারের সিলমোহর । রেজিস্ট্রার ম্যাডাম 12 তারিখেই আবেদনপত্রে নোট দিয়েছিলেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে , অতঃপর 15 তারিখের মিটিং ’ এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের 3 নং গেটের কাছে রামনবমী উদযাপনের মৌখিক অনুমতি ছেলেগুলোকে দিয়েছিলেন প্রো ভিসি । সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া আবেদনপত্রের ছবির উপরে দৃশ্যমান ছিল প্রো ভিসির নোট — “ রেজিস্ট্রার ম্যাডাম , প্লিজ ডু দ্য নিডফুল অ্যাজ ডিসকাসড্ ইন দ্য মিটিং ” । এ হেন নোটে রামনবমী উদযাপনের অনুমতি যে দেওয়া হয়েছে তার ইঙ্গিত থাকলেও লিখিত উল্লেখ ছিল না । কিন্তু অনুমোদন - প্রার্থী ছাত্ররা সেই গ্লিচটিকে হয়ত গুরুত্ব দেয় নি , তারা প্রো ভিসির মৌখিক সম্মতিকেই গ্রহন করেছিল এবং তাদের দিক থেকে চিন্তা